শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি:
অনিয়ম, দুর্নীতির অভিযোগে পরিচালনা পর্ষদের মিটিং থেকে দৌড়ে পালিয়ে যান অধ্যক্ষ।
গাজীপুরের শ্রীপুরে এক মাদ্রাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া পর পরিচালনা পর্ষদের মিটিং হয়। মিটিংয়ে বিভিন্ন শিক্ষকদের তোপের মুখে মিটিং থেকে দৌড়ে পালালেন মাদ্রাসার অধ্যক্ষ। মাদ্রাসার পরিচালনা পর্ষদের সভাপতির বরাবরে দায়ের করা অভিযোগ দীর্ঘদিনেও নিষ্পত্তি হয়নি।
মঙ্গলবার গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলা বরমী ইউনিয়নের গাড়ারণ খলিলিয়া ফাজিল মাদ্রাসায় এই ঘটনা ঘটে। এ সময় স্থানীয় সাংবাদিকেরা উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আব্দুল খালেক ৬ লাখ টাকা ঘুষ দিয়ে চাকরি নেন। পরে তিনি জড়িয়ে পড়েন নানা অনিয়ম, দুর্নীতি, মামলা মোকদ্দমায়। অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে মাদ্রাসার শিক্ষক, কর্মচারী, অভিভাবক ও এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে মাদ্রাসার পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটির) বরাবর অভিযোগ দায়ের করেন। দীর্ঘদিনেও এসব অভিযোগের বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
মঙ্গলবার দুপুরে মাদ্রাসার অফিস কক্ষে গভর্নিং বডির (পরিচালনা পর্ষদ) পূর্ব নির্ধারিত সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি সভার কার্যক্রম স্থগিত করেন। এ নিয়ে মাদ্রাসার শিক্ষক কর্মচারীদের সঙ্গে পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি আব্দুল লতিফ মোড়লসহ অন্য সদস্যরা মতবিনিময়ের সময় বের হয়ে আসে অধ্যক্ষের আর্থিক অনিয়ম দুর্নীতির কথা। এ সময় শ্রীপুরে কর্মরত গণমাধ্যম কর্মীরা অধ্যক্ষের বক্তব্য নিতে গেলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে কোনো বক্তব্য না দিয়ে দ্রুত দৌড়ে পালিয়ে যান।
মাদ্রাসার সহযোগী অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘দীর্ঘ বছর ধরে অভিযুক্ত অধ্যক্ষ নিয়মবহির্ভূতভাবে বেতনের টাকা কেটে নেন। এ ছাড়াও কয়েক বছর যাবৎ আমার বেতনভাতা বন্ধ করে রেখেছে। অভিযুক্ত মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আব্দুল খালেক এ বিষয়ে কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হয়নি। বক্তব্য জানতে চাইলে দ্রুত সময়ে দৌড়ে পালিয়ে যান।’
মাদ্রাসার পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) অঞ্জনকুমার সরকার মোবাইলে জানান, মাদ্রাসায় পরিচালনা পর্ষদের একটি মিটিং হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এটি স্থগিত করা হয়েছে, পরবর্তী সহসভাপতির নেতৃত্বে মিটিং হয়েছে শুনেছি। অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে দুর্নীতি অনিয়ম স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ তদন্তাধীন রয়েছে। তদন্ত শেষে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।