গলাচিপা প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলা পানপট্রি ইউনিয়নের গুপ্তের হাওলা গ্রামে বাবার বাড়ীতে ঘুমন্ত অবস্থায় তয়না বেগম নামক এক নারীর শরীরে এসিড নিক্ষেপ করার ঘটনা ঘটেছে। রাত আনুমানিক চারটার দিকে পানপট্টির গুপ্তের হাওলা গ্রামে বাবার বাড়িতে ঘুমন্ত অবস্থায় তয়না বেগমের উপর এসিড নিক্ষেপ করা হয়। বুধবার (২ মার্চ) ভোররাত চারটায় এ ঘটনা ঘটে। আক্রান্ত নারীকে প্রথমে গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে কর্তব্যরত ডাক্তার রোগীকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। বর্তমানে তয়না বেগম শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
গলাচিপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এম আর শওকত আনোয়ার জানান, রাত আনুমানিক চারটার দিকে পানপট্টির গুপ্তের হাওলা গ্রামে বাবার বাড়িতে ঘুমন্ত অবস্থায় তয়না বেগমের উপর এসিড নিক্ষেপ করা হয়। পাতার ঘরের বেড়া কেটে দুর্বৃত্ত এসিড নিক্ষেপ করে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে আলামত হিসেবে অর্ধেক কাটা সেভেন আপের একটি বোতল জব্দ করা হয়।
পরিবারের বরাত দিয়ে তিনি আরও জানান, চার বছর আগে বরিশালের মুলাদির মিলন খানের সাথে বিয়ে হয় গুপ্তের হাওলা গ্রামের মৃত জলিল হাওলাদারের মেয়ে তয়না বেগমের। তিন বছরের একটা ছেলে সন্তানও রয়েছে তাদের। স্বামীর সাথে দাম্পত্য কলহ ও নির্যাতনের কারণে বাবার বাড়ি থাকতেন তয়না। সম্প্রতি ছেলেকে নিয়ে যায় শ্বশুড়বাড়ির লোকজন। তয়নার এক ননদ রুবি বেগম পাশের গ্রামের বাসিন্দা ও মহিলা মেম্বার হওয়ায় তনয়া বেগমকে ফেরত আনার জন্য বিভিন্ন ভাবে চাপ সৃষ্টি করে আসছিলো। এসব কারণেই স্বামীর বাড়ির লোকজন এসিড নিক্ষেপ করতে পারে বলে মনে করেন তয়নার মা মাহফুজা বেগম।
গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা: মো: সাইফুল ইসলাম বলেন, ভোর রাত ৪ টা ৫০ মিনিটে ভিকটিমকে হাসপাতালে আনা হয়। রোগীর বাম গাল ও দুই হাতে সহ শরীরের ১২ ভাগ অংশ পুড়ে গেছে। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। তয়না বর্তমানে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।