বাগমারা, রাজশাহী প্রতিনিধি:
তরুণ প্রকৌশলী মিজানুর রহমানের (২৬)
নিজের জন্য দুপুরে পাত্রী দেখার কথা ছিল তরুণ প্রকৌশলী মিজানুর রহমানের (২৬)। এ জন্য পাত্রীর পরিবার থেকে আয়োজনও করা হয়। তবে তার আগেই প্রাণ হারালেন মিজানুর। আজ শনিবার জেলার মোহনপুরে পিকআপ ভ্যানের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই নিহত হন তিনি। মিজানুর রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার গোবিন্দপাড়া ইউনিয়নের কোটগ্রামের অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা আকরাম আলীর ছেলে। এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তির পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
পুলিশ ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ সকালে মিজানুর মোহনপুরে তাঁর চাচাতো ভাইয়ের কাছে থাকা মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়িতে ফিরছিলেন। বেলা ১১টার দিকে রাজশাহী-নওগাঁ মহাসড়কের বড়াইল উচ্চবিদ্যালয়ের সামনে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি পিকআপ তাঁর মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়। পিকআপের ধাক্কায় সড়কের পাশে ছিটকে পড়েন তিনি। এতে গুরুতর আঘাত পেয়ে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। পরে আশপাশের লোকজন ও মোহনপুর থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে দ্রুত রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে ময়নাতদন্তের পর তাঁর লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পুলিশ দুর্ঘটনার শিকার মোটরসাইকেল ও পিকআপটি জব্দ করেছে।
মোহনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌহিদুল ইসলাম মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, পুলিশ খবর পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে। এ বিষয়ে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেওয়া পিকআপটি জব্দ করা হয়েছে।
নিহত মিজানুর রহমানের স্বজনেরা বলেন, তিনি এবার মৌলভীবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে রেফ্রিজারেশন এন্ড এয়ার কন্ডিশনিং ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পাস করেছেন। তিন ভাইবোনের মধ্যে তিনি সবার বড়। পরিবারের পক্ষ থেকে তাঁর বিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। আজ দুপুরে উপজেলার একটি গ্রামে কনে দেখতে যাওয়ার কথা ছিল। এ জন্য কনেপক্ষ আয়োজনও করে। সেখানে যাওয়ার জন্য চাচাতো ভাইয়ের কাছে থাকা মোটরসাইকেলটি আনতে গিয়ে মারা যান বলে জানিয়েছেন স্বজনেরা। পাত্রী পছন্দ হলে বিয়ের দিনক্ষণ ঠিক করা হতো বলে পরিবারের লোকজনের বরাত দিয়ে তাঁর প্রতিবেশী ভাই আলমগীর হোসেন জানিয়েছেন।