-
- অর্থনীতি, তথ্য-প্রযুক্তি
- জেলা পরিষদের আপত্তির কারণে আটঁকে গেল ঝিকরগাছা পৌরসভার উন্নয়ন প্রকল্প
- আপডেট টাইম : মার্চ, ১৩, ২০২২, ৬:৫৫ অপরাহ্ণ
- 132 বার পঠিত
ঝিকরগাছা, যশোর, প্রতিনিধি:
যশোরের জেলা পরিষদের আপত্তির করণে আটঁকে গেল ঝিকরগাছা পৌরসভার দু’টি উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ। বর্তমানে পৌরসভার দু’টি উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ বন্ধ রয়েছে। পৌরসভা এলাকার উন্নয়নে সেকন্ড সিটি রিজিওন ডেভেলপমেন্ট প্রোজেক্ট এর আওতায় পৌর সদরের কাটাখালের উপর ৩৬ মিটারের আরসিসি গার্ডার ব্রিজ ও খালের দু’পাশে ৫শ মিটার ওয়াকওয়ে নির্মাণ, ভূমি সংরক্ষণ এবং সৌন্দর্য্য বর্ধন প্রকল্পের কাজ শুরু করেছিল। কিন্তু প্রকল্প সংশ্লিষ্ট জায়গা নিজেদের দাবি করে সেখানকার কাজ বন্ধ রাখার জন্য চিঠি পাঠিয়েছেন জেলা পরিষদ। সম্প্রতি ১৪ ফেব্রুয়ারী ১(২০১১)-৮৬ নং স্মারকে জেলা পরিষদ পৌরসভা সদরের কৃষ্ণনগর মৌজায় কাটাখালের সৌন্দর্য্যবর্ধন ও উন্নয়নমূলক কাজ বন্ধ রেখে যৌথভাবে জেলা পরিষদের মালিকানাধীন খালের উভয় পার্শ্বে সীমানা নির্ধারণ পূর্বক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, জীবিত ও মূল্যবান গাছ চিহ্নিত করণ, বিধি মোতাবেক নাম্বারিং করার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে কাজ বন্ধ রাখতে নির্দেশ প্রদান করেছেন। এই চিঠির ফলে উল্লেখিত দু’টি উন্নয়ন প্রকল্প এর কাজ আটঁকে গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুনছিলাম পৌরসভার দু’টি উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ হাতে নিয়েছে এবং কিছুদিন কাজ করতেও দেখেছিলাম কিন্তু হঠাৎ দেখছি কাজ বন্ধ হয়ে গেছে। এখন যদি বৃষ্টি শুরু হয় তবে পানির চাপে খালের দু’ধার ভেঙ্গে, আমাদের বাড়ি-ঘর স্রোতে ভেসে যাবে। কারণ আগে গাছের শেকড়ে মাটি আকঁড়ে ছিল এখনতো আর গাছ নেই। আমরা চাই এই কাজ তাড়াতাড়ি শেষ করা হোক।
পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব মোস্তফা আনোয়ার পাশা জামাল জানান, জেলা পরিষদ দাবি করছে এটা তাদের সম্পতি কিন্তু আমাদের জানা মতে ওটা ওয়াপদাহের বা পানি উন্নয়ন বোর্ডের। কাটাখালের পশ্চিম পাশের একটি বৃহৎ জনগোষ্ঠির দূর্ভোগ লাঘব, ছাত্র ছাত্রীদের স্কুল-কলেজে যাতায়াতের পথ সুগম করা, কৃষকের উৎপাদিত পন্যের পরিবহনের সুবিধার্থে জনগনের জনদাবী পুরোনের লক্ষ্যে আমারা একটি ব্রিজ নির্মান ও খালের দু’পাশের ভাঙ্গন বন্ধ করে দৃষ্টিনন্দন ওয়াকওয়ে নির্মান, বৃক্ষ রোপন সহ সমন্বিত প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। এই প্রকল্পটি শেষ হলে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট ঐ এলাকার জনগনের জীবনমান উন্নত সহ দীর্ঘদিনের সরকারি জমি অবৈধ দখলদারদের কবল থেকে রক্ষা পাবে। মানুষ ওই এলাকায় তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে রিক্রিয়েশনের জন্য বেরোতে পারবে। যেহেতু জেলা পরিষদ ঐ জায়গার মালিকানা দাবী করে কাজ বন্ধ রাখতে চিঠি দিয়েছে তাই আমরা সাময়িক ভাবে কাজ বন্ধ রেখেছি। সেই সাথে আমরা জেলা পরিষদকে সকল বিষয় অবহিত করে অনাপত্তি পত্র চেয়ে চিঠি প্রদান করেছি। আশা করি খুব শীঘ্রই আমরা এই অনাপত্তি পত্র হাতে পেয়ে যাবো এবং পুনঃরায় উন্নয়ন প্রকল্প দু’টির কাজ শুরু করতে পারবো।
যশোর জেলা পরিষদের সার্ভেয়ার আল আমিন জানান, সিএস, এসএ ও আরএস রেকর্ড অনুযায়ি খালের বর্তমান জমির মালিক জেলা পরিষদ, যশোর। ঝিকরগাছা পৌরসভা আমাদের কিছু না জানিয়ে সেখানে কাজ করার উদ্যোগ নিয়েছে, তাই আমরা সেখানে কাজ বন্ধ রাখতে চিঠি দিয়েছি। এখন পৌরসভা আবার আমাদের কাছে অনুমতি চেয়ে চিঠি দিয়েছে। জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন। এছাড়াও জেলা পরিষদ বিগত একশ বছরে খালের কি কি উন্নয়ন করেছে সেটা জানতে চাইলে তখন তিনি জানান, কোনো উন্নয়ন কাজ করা হয়নি। ভবিষ্যতে কোনো পরিকল্পনা আছে কিনা এর উত্তরে চেয়ারম্যান বলতে পারবেন বলে জানান।
এই ক্যাটাগরীর আরো খবর
- বেনজীরের রিসোর্টে অভিযান না চালানোয় ক্ষোভ
- শ্রীপুরে যৌথবাহিনীর অভিযানে ২০ কোটি টাকার বনভূমি উদ্ধার
- টঙ্গীতে ২ কারখানার অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন মো: আব্দুল বাতেন বাচ্চু,
- গাজীপুরে সাফারি পার্ক থেকে দুটি ম্যাকাও পাখি চুরি একটি উদ্ধার
- নদী ভরাট ও হিন্দুদের জমি দখল করে কিরণের বাগানবাড়ি নিজস্ব প্রতিবেদক, দেশ টিভি বাংলা : নদী ভরাট ও হিন্দুদের জমি দখল করে গড়ে তোলা কিরণের বাগানবাড়ি রয়েছে সুন্দর করা বাগানবাড়ির প্রধান ফটক। বিজিবির হাতে গত সোমবার (১৮ নভেম্বর) রাতে আটক হন গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র ও গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আসাদুর রহমান কিরণ। দৃশ্যমান সম্পত্তির বাইরে সম্প্রতি তার একটি বাগানবাড়ির সন্ধান পাওয়া গেছে। অভিযোগ রয়েছে সেই বাড়িটি বালু নদীর ফোরশোর ও হিন্দুসম্প্রদায়ের জমি দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে। স্থানীয়ভাবে এই জমির মূল্য ১৬০ কোটি টাকা। সেই বাগান বাড়িতে এখন কেউ নেই। কিরণ আটকের পর বাড়ির গেটে তালা মেরে পালিয়ে গেছেন নিরাপত্তা কর্মীরাও। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গাজীপুরের কালিগঞ্জ উপজেলার নাগরী ইউনিয়নে বালু নদীর পূর্ব তীরে অবস্থিত রয়েন গ্রাম। এর বিপরীত তীরে ছিকুলিয়া গ্রাম। এই গ্রামের পূর্বাংশে বালু নদীর ফোরশোরে নদীর তীর দখল করে কিরণ গড়ে তুলেছেন বিলাসবহুল এ বাগান বাড়ি। কিরণের আটকের খবরে সে বাড়ির নিরাপত্তারক্ষীরা প্রধান গেটে তালা মেরে পালিয়ে যান। সরেজমিনে দেখা যায়, বিশাল আকৃতির ওই গেটের ভেতরে বালু নদীর তীরে বালু ভরাটের কাজ চলছিল। ভেতরে বেশ কয়েকটি ভবনও নির্মাণ করা হয়েছে। থাকার জন্য বাংলো, ফুলের বাগানসহ একটি পরিপূর্ণ রিসোর্টের কাজ চলমান। স্থানীয়রা বলছেন, দুই দিন আগেও লোকজন ছিল। এখন নেই। তালা মেরে চলে গেছে। বিলাসবহুল বাগান বাড়িটির মালিক কে, এই প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, মেয়র কিরণ স্যার এই বাড়ির মালিক। তিনি কতটুকু জমি কিনেছেন এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটা বললে আমার বিপদ হবে। আমি জানি না।’ তবে এই জমি ক্রয়ের ক্ষেত্রে দালালি যারা করেছেন তাদের দুই জন নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, জমি কেনা হয়েছে ১০ বিঘার মতো। বায়না করা আছে আরো ১০ বিঘা। বাকি জমি কিরণ কিভাবে নিয়েছেন, তা তারা জানেন না। তবে হিন্দুদের জমি ও বালু নদীর ফোরশোর দখলের মাধ্যমে কিরণের ৪০ বিঘা হয়েছে এটা নিশ্চিত করেছেন তারা। ২০২১ ও ২০২২ সালে ভারপ্রাপ্ত মেয়র থাকাকালে কিরণ নিজের ও তার প্রতিষ্ঠান গ্রীনডট বিল্ডার্সের নামে ৩.২৬ একর জমি ক্রয় করে জমাভাগ করেছেন। মোট ৬টি নামজারি করে জমাভাগ করার পর খাজনা পরিশোধ করেছেন তিনি। হিন্দুদের জমি নাম মাত্র মূল্যে ক্রয় করেছেন কিরণ। একই সঙ্গে বালু নদীর ফোরশোরও দখল করে মাটি ও বালু ভরাট করেছেন। এখন এই বাগান বাড়ির আওতায় প্রায় ৪০ বিঘা জমি বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। ১০ বিঘা জমি ক্রয় করে দখল করতে করতে এখন ৪০ বিঘার মত জমি কিরণের কব্জায় বলে জানিয়েছেন দায়িত্বশীল থাকা সূত্র। ক্ষমতায় থাকলে এই জমির পরিমাণ শত বিঘা অতিক্রম করত বলে অভিমত তাদের। এই বিষয়ে পূবাইল ভূমি অফিসের ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আরিফ উল্লাহ জানান, সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরণ নিজ নামে ও তার প্রতিষ্ঠান গ্রীনডট বিল্ডার্সের নামে ২০২১-২০২২ সালে মোট ৬টি খারিজের মাধ্যমে ৩.২৬ একর জমির মালিক হয়েছেন। বাকি জমির বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। জমি কেনা-বেচার সঙ্গে জড়িত একাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান বলেছেন, সেখানের জমি কাঠা প্রতি ২০ লাখ টাকায় বিক্রি হয়। সে হিসেবে ৪০ বিঘা জমির মূল্য ১৬০ কোটি টাকা হবে। ৫ আগস্টের আগে কিরণ বলেছিলেন, তার কোনো অবৈধ সম্পদ নেই। গত সোমবার যশোরের শিকারপুর সীমান্তে বিজিবির হাতে আটক হন আসাদুর রহমান কিরণ। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় তিনটি হত্যা মামলাসহ ৭টি মামলা রয়েছে বলে প্রতিবেদক কে জানিয়েছেন টঙ্গী পূর্ব থানার ওসি কায়সার আহমেদ। যশোরে ভারতে অনুপ্রবেশের মামলার আনুষ্ঠানিকতা শেষে কিরণকে টঙ্গীতে আনা হবে বলে জানিয়েছেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।
- পথরোধ করে বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে টাকা ছিনতাই
- কাফনের কাপড় পড়ে মানববন্ধন ৭২ ঘন্টার আল্টিমেটাম
- হাজতখানায় বসে টাকা হাতবদল : কনস্টেবল বরখাস্ত, ওসিসহ ৩ জনকে শোকজ
- গাজীপুরে ৩০ কারখানা ছুটি ঘোষণা
- হাসপাতালে ৬ লিফটের ৪টিই নষ্ট, রোগীদের ভোগান্তি