জনপদ ডেস্ক:
নেত্রকোনার মদনে ওয়াফিয়া আক্তার নামে এক স্কুল শিক্ষিকা ৫ দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছেন। এদিকে মদন থানায় শনিবার রাতে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামরুল হাসান জানুকে দায়ী করে একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন স্কুল শিক্ষিকার স্বামী।
উপজেলার তিয়শ্রী ইউনিয়নের সাইতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
শিক্ষিকার স্বামী এ এফ এম এমদাদ উল্লাহ সাধারণ ডায়েরিতে উল্লেখ করেছেন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামরুল হাসান জানু গত ৮ ডিসেম্বর আমার স্ত্রীর সঙ্গে তর্কবিতর্কে লিপ্ত হন। পরে উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নাজমূল হুদা বিষয়টি নিষ্পত্তি করেন।
৮ মার্চ পুনরায় সিনিয়রিটি ও অনিয়মের প্রতিকার চাইলে প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে তর্কবিতর্ক হয়। বিষয়টি ওই দিনেই সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা নাজমূল হুদাকে অবগত করে তাকে বরখাস্ত করতে বলেন। এরপর মোবাইল ফোন বন্ধ রেখে বাবার বাড়ি হাসনপুর থেকে তিনি নিখোঁজ হন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামরুল হাসান জানু জানান, ৮ মার্চ ক্লাসের সময় নিয়ে শিক্ষিকার সঙ্গে আমার কথা কাটাকাটি হয়। তিনি রাগে বিদ্যালয় থেকে চলে যান। কয়েকদিন যাবত বিদ্যালয়ে না আসায় তাকে অনুপস্থিত দেখানো হচ্ছে।
সাধারণ ডায়েরিতে উল্লেখিত বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, শিক্ষিকার স্বামী মিথ্যা ডায়েরি করেছেন।
সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নাজমূল হুদা জানান, প্রধান শিক্ষক কামরুল হাসান জানুর সঙ্গে সহকারী শিক্ষিকা ওয়াফিয়ার ক্লাসের সময় নিয়ে কথা কাটাকাটি হওয়ার বিষয়টি শুনেছি। আসলে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষিকার মধ্যে বনিবনা হচ্ছে না। প্রধান শিক্ষক আমাকে জানিয়েছেন উক্ত শিক্ষিকা তিন দিন ধরে বিদ্যালয়ে আসছেন না। তবে তিনি নিখোঁজ কি না আমি বলতে পারছি না।
মদন থানার ওসি মোহাম্মদ ফেরদৌস আলম জানান, শিক্ষিকা নিখোঁজের ব্যাপারে শনিবার রাতে তার স্বামী প্রধান শিক্ষককে দায়ী করে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। শিক্ষিকাকে উদ্ধারের ব্যাপারে সর্বোচ্চ চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।