শ্রীপুর( গাজীপুর)প্রতিনিধি:
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সদ্য সমাপ্ত শ্রীপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট হারুন-অর-রশিদ ফরিদের নামে মিথ্যা, মনগড়া, কাল্পনিক ও উদ্দেশ্য প্রণেদিত তথ্য শেয়ার করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা যায় এডভোকেট হারুন-এর-রশিদ ফরিদের রাজনৈতিক পথচলা ১৯৮৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে গড়া প্রাণের সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের মাধ্যমে। পরবর্তীতে ১৯৯০ সালে শ্রীপুর উপজেলার মাওনা চৌরাস্তা আঞ্চলিক শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব গ্রহন করেন। এরপর ১৯৯২ সালে শ্রীপুর উপজেলা শাখা ছাত্রলীগের সদস্যপদ লাভ করেন। একই বছরের ২৪ ডিসেম্বর, ভাওয়াল বদরে আলম সরকারী কলেজের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে সর্বাধিক ভোটে “সমাজ কল্যাণ সম্পাদক” নির্বাচিত হন।অত্যান্ত সফলতার সাথে ১৯৯৭ সালে শ্রীপুর উপজেলা শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেন। সবশেষ এই বছর অর্থাৎ ২০২২ সালের ৮ মার্চ অনুষ্ঠিত সম্মেলনে “সাধারণ সম্পাদক” নির্বাচিত হওয়ার আগে ২০০৩ সালে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ এর “শ্রীপুর উপজেলা শাখার” সদস্যপদ লাভ করেন। এদিকে সম্মেলন সমাপ্তির ৬ দিন অর্থাৎ ১৪ মার্চ সোমবার বিকাল থেকে একটি অখ্যাত অনলাইন পোর্টালের মাধ্যমে ক্রুটিপূর্ণ সংবাদ উপস্থাপন করা হয়। যাতে উল্লেখ্য করা হয় “ গাজীপুরের শ্রীপুরে ছাত্র শিবিরের নেতা এখন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক”। কিন্তু এবিষয়ে গ্রহনযোগ্য কোন তথ্য উপাত্ত উপস্থাপন করা হয়নি।
উল্লেখ্য এলোমেলো অনৈক্য শ্রীপুর উপজেলা আওয়ামীলীগকে একত্রিত করতে গত ৮ মার্চ জাঁকজমকপূর্ণ ভাবে ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত সম্মেলনে কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে সম্পূর্ণ গনত্রান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় জনাব হুমায়ুন কবির হিমু “সভাপতি” ও এডভোকেট হারুন-এর-রশিদ-ফরিদকে “সাধারণ সম্পাদক” হিসেবে ঘোষণা করা হয়। যা সর্বমহলে ব্যাপক প্রসংশিত হয়। উক্ত কমিটিকে স্বাগত জানিয়েছে অনেক জায়গায় মিস্টি বিতরণও হয়।
এঘটনায় ক্ষুব্ধ শ্রীপুর পৌরসভার মাস্টারবাড়ি এলাকার লুৎফর রহমান বলেন, এসব গুজবকারীদের কারণে আওয়ামী লীগ তার অতীত ঐতিহ্য ও গৌরব হারাচ্ছে। দলটি এখন লুটেরাদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। তাদের কারণে আওয়ামীলীগ জনপ্রিয়তা হারাচ্ছে। তাই এখনই তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামীলীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে অনুরোধ করেন তিনি। তা না হলে প্রাচীন এই রাজনৈতিক দলটির অবস্থা শোচনীয় পর্যায়ে গিয়ে ঠেকবে বলে মন্তব্য তার।
এবিষয়ে এডভোকেট হারুনুর রশিদ ফরিদ গভীর ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান। ছাত্রলীগ থেকে আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে এসেছি। এটাতে তাদের গাত্রদাহ হচ্ছে। যারা অনুপ্রবেশকারী, ভুঁইফোড় তারাই তার মতো ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাকর্মীদের আওয়ামী লীগের রাজনীতির বাইরে রেখে ফায়দা লুটছে চায়। তারা দলকে নিজস্বকরণ করে ব্যবসা-বাণিজ্য, দখল, দুর্নীতি ও অবৈধ কারবার করতে চায়। তিনি আরো বলেন এই হীনমনা কর্মকান্ড থেকে বের হয়ে আসুন আমরা সকলে মিলে ঐক্যবদ্ধ আওয়ামীলীগ পরিবার গঠন করে জননেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে সহযোগিতা করি।