-
- জাতীয়, ময়মনসিংহ, সারা দেশ
- মুক্তিযোদ্ধার সম্মানটুকু নিয়ে মরতে চান, আবুল কাশেম।
- আপডেট টাইম : মার্চ, ১৬, ২০২২, ৫:১৫ অপরাহ্ণ
- 170 বার পঠিত
মুক্তিযোদ্ধার সম্মানটুকু নিয়ে মরতে চান, আবুল কাশেম
আনোয়ার হোসেন তরফদার, ভালুকা প্রতিনিধিঃ-ভালুকার আবুল কাশেম শেষ সময়ে রাস্ট্রের কাছে শেষ দাবি করেছেন মুক্তিযোদ্ধার সম্মানটুকু নিয়ে মরতে চান তিনি।১৬ই মার্চ বুধবার দুপুরে আবুল কাশেম ভালুকার মেহেরাবাড়ীতে একটি শিল্প প্রতিষ্ঠানে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা ও সাংবাদিকদের সাথে নিজের শেষ আকুতি প্রকাশ করেন। ভালুকার মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম আফসার বাহিনীর মুক্তিযুদ্ধে অবদানকারী ব্যাক্তি তৎকালীন পিডিবির সিবিএ এর কেন্দ্রীয় কমিটির সমাজ কল্যান সম্পাদক, উপজেলার ভালুকা ইউনিয়নের মেহেরাবাড়ির ৮নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আবুল কাশেম স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় বিভিন্ন ভাবে ৮মাস সক্রিয় ভাবে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের কঠিন সময়কাল থেকে স্বাধীন হওয়া পর্যন্ত দপ্তরিক (কোয়ার্টার মাষ্টার) এর দায়িত্ব পালন করেন।এবং তার হাতেই লেখা হয় আফসার বাহিনীর মুক্তিযুদ্ধাদের প্রথম তালিকা।আবুল কাশেম মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিযুদ্ধাদের হাজিরা উঠানো,ডিউটি বন্টন,খাবার সরবরাহ সহ নানা ভাবে দায়িত্ব পালনে নিয়োজিত ছিলেন।এত অবদান রাখার পরও তিনিই হতে পারেনি একজন মুক্তিযোদ্ধা।ভালুকার মেহেরা বাড়ীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কদ্দুস ও মুক্তিযোদ্ধা প্রমোদ চন্দ সরকার সহ বেশ কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধারা জানান,আবুল কাশেম মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় ভাবে কাজ করেছেন।আমরা চাই রাস্ট্র তাকে সঠিক যাচাই-বাছাই করে মুক্তিযুদ্ধার সম্মানটুকু দেন এই দাবি করছি।আবুল কাশেম জানান,মুক্তিযোদ্ধের কিংবদন্তি মেজর আফসারের নির্দেশে মুক্তিযুদ্ধের সময় আমি মুক্তিযুদ্ধাদের হাজিরা উঠানো,ডিউটি বন্টন,খাবার সরবরাহ সহ নানা ভাবে সহযোগিতা করি এবং নিজ হাতে লিখিত মুক্তিযুদ্ধাদের প্রথম লিখিত তালিকা আমি তৈরি করি।সময় ও পরিস্থিতির স্বীকারে মুক্তিযুদ্ধা হতে পারিনি।সেই সময়ের কিছু গুরুত্বপূর্ণ দলিলিক প্রমানের কাগজ ছিল যা হাড়িয়ে যায়,আর অনেক খুঁজাখুজি করেও পাইনি।রাস্ট্রের কাছে আমি দাবি করছি এই শেষ সময়ে মুক্তিযোদ্ধার সম্মানটুকু নিয়ে মরতে চাই। আবুল কাশেম ১৯৭১সাল থেকে ১৯৭২ মে পর্যন্ত মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে নিয়োজিত থাকেন। আবুল কাশেম চাকরি করতেন প্রথমে. পিডিবি (পাওয়ার পিডিবি (বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড)।পিডিবি এর সিবিএ এর কেন্দ্রী কমিটির (সারা বাংলাদেশের) সমাজ কল্যান সম্পাদক ছিলেন।পরবর্তিতে পিডিবি ভেংগে ডিইএসএ (ঢাকা ইলেকট্রিসিটি অথরিটি) তৈরী হয় তখন ডিইএসএ শ্রমিকলীগ সিবিএ-৯ এর কেন্দ্রীয় কমিটির প্রথমে দপ্তর সম্পাদক এবং পরবর্তীতে সহ-সভাপতি এবং ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। রাজনৈতিক জীবনে উনি ১৯৯৬ সালে বিএনপির সরকার পতনের আন্দোলন সহ মতিঝিল এলাকায় বিএনপির সরকার বিরোধী আন্দলনে এবং জনতার মঞ্চে বিশেষ ভূমিকা রাখেন।উনি ২০০৪ সালের ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলায় আহত হন।এছাড়াও ১৯৯৬সাল,২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগে ভালুকায় বিশেষ ভূমিকা ছিল।উনি ২০০৮ সালের ৩০ জুন চাকরী থেকে অবসর নেন।বর্তমানে অবসর জীবন কাটাচ্ছেন।
এই ক্যাটাগরীর আরো খবর
- নওগাঁয় বিএমএসএফ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে ফুলের শুভেচ্ছা
- সাবেক প্রেমিকের ছুরিকাঘাতে বর্তমান প্রেমিকের মৃত্যু
- ছাত্রীকে ইভটিজিং করায় যুবকের কারাদণ্ড
- জমে উঠেছে কালীগঞ্জে ঐতিহ্যবাহী ‘জামাই মেলা
- শ্রীপুরের ড্রাম ট্রাক চাপায় নিহত -১
- সাংবাদিকদের অধিকার কেবল রাষ্ট্রই নিশ্চিত করতে পারে: বিএমএসএফ খুলনা প্রতিনিধি : সাংবাদিকদের অধিকার কেবল রাষ্ট্রই নিশ্চিত করতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান আহমেদ আবু জাফর। শনিবার ১১ জানুয়ারী বিকালে খুলনা মহানগরীর বয়রায় একটি রেষ্টুরেন্টে অনুষ্ঠিত আন্ত: জেলা বৈঠকে তিনি একথা বলেন। তিনি বলেন, গণমাধ্যম শিল্প রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। আর এ শিল্পের সাথে জড়িত সাংবাদিকদের ভালো-মন্দ রাষ্ট্রেরই দেখা উচিত। কিন্তু দেশ গঠনের ৫৪ বছর পার হলেও সাংবাদিকরা যেই তিমিরে ছিলো সেই তিমিরে রয়ে গেছে। তাদের ভাগ্যোন্নয়ন ঘটেনি বরং জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিটি মুহূর্ত তারা দেশ, সমাজ ও রাষ্ট্রের পক্ষে কাজ করে চলছে। রাষ্ট্রযন্ত্র তাঁদের কথা ভাবছেনা। নিউনেশনের প্রবীন সাংবাদিক ইকরামুল কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক সৈয়দ খায়রুল আলম, বাগেরহাট প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও বিএমএসএফের জেলা শাখার সম্পাদক মো: কামরুজ্জামান, কেন্দ্রীয় নেতা মাহবুবুর রহমান মুরাদ, কেন্দ্রীয় নেতা শাহাদাত হোসেন শাওন, কেন্দ্রীয় নেতা রহিম রানা, বাংলাদেশ বেতারের ইফফাত সানিয়া ন্যান্সি, বার্তা বাজারের খুলনা প্রধান আল মাসুম খান, নিজাম উদ্দিন স্বাধীন প্রমূখ। বৈঠকে প্রস্তাব সমর্থনের মাধ্যমে ২১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি খুলনা জেলা শাখার কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে বাংলাদেশ বেতারের ইফফাত সানিয়া ন্যান্সিকে আহবায়ক, বাতর্তা বাজারের আল মাসুম খানকে সদস্য সচিব করা হয়েছে। বৈঠকে নেতৃবৃন্দ বলেন, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম সাংবাদিকদের কল্যাণে, অধিকার এবং মর্যাদা প্রতিষ্ঠার চৌদ্দ দফা দাবি নিয়ে কাজ করছে। বিএমএসএফের দীর্ঘ এক যুগের পথচলা ছিলো ঐতিহ্য, সংগ্রামের এবং দাবি আদায়ে কাজ করা অনেকটা সফল হয়েছে। বিশেষ করে সাংবাদিক নির্যাতনের বিরুদ্ধে আমরা সোচ্চার থাকার চেষ্টা করছি। বিএমএসএফ মাঠের সাংবাদিকদের সঙ্গে নিয়ে ১৪ দফা দাবি আদায়ে জেলা-উপজেলা ও কেন্দ্রে নানা ধরনের সভা, প্রতিবাদ সভা, সমাবেশ ও প্রতিবাদ সমাবেশ, চা-চক্র, ভার্চুয়াল সভা, সেমিনার, প্রশিক্ষণ, বিজয় শোভাযাত্রা ও বাৎসরিক মিলনমেলা আয়োজন, জাতীয় গণমাধ্যম সপ্তাহ উদযাপন , সাংবাদিকদের মূখপত্র মিডিয়া ক্যানভাস ম্যাগাজিন প্রকাশ, জার্নালিস্ট শেল্টার হোম, সাংবাদিক নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটি, বাংলাদেশ গঠন করে নানা ভাবে পাশে থেকে সমন্বয়, প্রতিবাদে কাজ করার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। ১০-১১-১২ জানুয়ারী খুলনা বিভাগের আওতায় ১০টি জেলায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আন্ত:বৈঠকের মাধ্যমে বিভাগীয় কমিটি গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। আগামীকাল বিকেলে কুষ্টিয়ায় বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
- ডিএমপির জ্যাকেটসহ পুলিশের ভুয়া সদস্য আটক
- গার্মেন্ট শ্রমিককে নির্যাতন, মুক্তিপণ চেয়ে ধর্মবোনকে ডেকে নিয়ে গণধর্ষণ
- গোমস্তাপুরে নার্সের অবহেলায়া শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ, তিন নার্স সাময়িক বরখাস্ত
- গাজীপুরে কারাগারে শ্রমিকলীগ নেতার মৃত্যু