নিজস্ব প্রতিবেদক:
সাপাহারে ইউপি সদস্য’র হুমকির মুখে দিশেহারা কয়েকটি পরিবার।
ইউপি সদস্য বুলবুলের হুমকির মুখে দিশেহারা হয়ে পড়েছে কয়েকটি পরিবার। ভিটে বাড়ি আর জমিজমা ছাড়া করতে মরিয়া হয়ে উঠে পড়ে লেগে গেছে সাপাহার উপজেলার গোয়ালা ইউপি সদস্য বুলবুল মেম্বার। পরিবারের সবাইকে নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে উপজেলার গোয়ালা ইউনিয়নের কৃষ্ণসদা গ্রামের মোঃ হারুন অর রশিদ, মামুনুর রশিদ, শরীফন বেওয়া, আমেনা বিবি ও মাসুদা বেগম এর পরিবারের ছেলেমেয়েরা । হারুনুর রশিদের ছেলে মো. নুরুল ইসলাম বাবুল সাংবাদিকদের নিকট আকুতি-মিনতি করে বলেন আমরা বাঁচতে চাই। নিজের বসতবাড়িতে খেয়ে পড়ে একটু শান্তিতে বসবাস করতে চাই, আর তা হতে বঞ্চিত করে ভিটা বাড়ি ছাড়ার জন্য বাড়িঘর ভেঙ্গে ফেলবে, আমাদের পেট্রোল দিয়ে পুড়িয়ে মারবেন, মাঠের ফসল কেটে নিয়ে যাবে, কীটনাশক দিয়ে নষ্ট করবে বলে হুমিকী দিচ্ছেন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও কৃষ্ণসদা গ্রামের আলতাফ হোসেনের ছেলে বুলবুল আহমেদ(৪৮)।
এমনকি তার সন্ত্রাসী বাহিনী দ্বারা আমাদের মারপিট মোটরসাইকেল ছিনতাই ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ সহ প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি প্রদর্শন করেন মেম্বার।
প্রসঙ্গত:মৌজা বিল কৃষ্ণ সাদা উপজেলা পোরশা, খতিয়ান নং ৮৫৭,দাগ নং হাল ৩৩৯ দাগে ৩.৪২,হাল ২৩২ ও ১৫৮ দাগে ০.৭৫,হাল ৫০৩ ও ৪৯৩ দাগে ১.০৮ এবং হাল ৭০৫ ও ৭১ দাগে ১.৯৮ সহ মোট ৭.২৩ শতাংশ জমি মোঃ হারুনুর রশিদ, মোঃ মামুনুর রশীদ ও মোঃ শরিফন বেওয়া ওয়ারিশান সূত্রে আমাদের সম্পত্তি উক্ত সম্পত্তিতে তারা দীর্ঘ দিন যাবৎ জবর দখলের চেষ্টা করিলে কয়েকবার বিজ্ঞ আদালত আমাদের ডিগ্রী দেয় এবং তাদেরকে জমির উপরে যাওয়ার চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। আদালতকে অবমাননা করিয়া বারবার জবর দখলের চেষ্টা ও এতিম মাদ্রাসা নামে সন্ত্রাসী বাহিনী দ্বারা আমাদেরকে উচ্ছেদ করে ভোগ দখলে যেতে চান একাধিক মামলার আসামি সন্ত্রাসের গডফাদার বুলবুল আহমেদ ইউপি সদস্য।
মো. নুরুল ইসলাম বাবুল আরো বলেন, আমার দাদার নামে রেকর্ডভুক্ত জমির বিরুদ্ধে করা মামলায় হেরে গিয়ে জোর করে জমি দখলে অপচেষ্টা করছেন বুলবুল আহম্মদ ও তার সন্ত্রাসীবাহিনী। মাদ্রাসার কাজে আমাদের জমি ব্যবহারের অজুহাতে জোর পূর্বক জমি ভরাট করতে যায় মেম্বার। তাতে আমারা নিষেধ করি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি মোটরসাইকেল যোগে আমাদের বাড়ি সামনে এসে তিনি বলে আমি কোনো কাগজ মানি না। তোরা জমিতে কোন বাধা দিবি না। এছাড়া আরো অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং তার সন্ত্রাসীবাহিনীকে তার মোবাইলে ডেকে বাড়ি ঘর লুটপাট করেন। একটি মোটরসাইকেল ছিনতাই করে নিয়ে গেছে। যাহা আজ পর্যন্ত উদ্ধার হয়নি। ঘরের দরজা ভেঙেও আমাদের বাড়ির সবাইকে বেদম মারে। এরপর ৯৯৯ কল দিলে সাপাহার থানার পুলিশ গিয়ে আমাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠালে আজ পর্যন্ত আমাদের টিভিএস মোটর সাইকেলটি উদ্ধার হয়নি। মারপিট ও মোটরসাইকেল ছিনতাই এর পরে লিখিতভাবে থানায় এজাহার দিলে তারা আদালত থেকে জামিন নিয়ে এসে আমাদের বাড়িতে পুড়িয়ে মারার হুমকী দিচ্ছেন, মাঠে ফসল নষ্ট করার কথাও বলছে। আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি। আমরা বাঁচতে চাই। একটু সহযোগিতা করুন বলে অনুরোধ করেন মামুনুর রশিদ, তার ভাতিজা আশরাফুল ইসলাম ও তার ছেলে সারওয়ার হোসেন।
এই জমিকে গ্রামবাসী মাদ্রাসার মাঠ করতে চাই বলে দাবি করেন অভিযুক্ত বুলবুল আহম্মদ।
স্থানীয় চেয়ারম্যান মো. কামরুজ্জামান বলেন, সদস্য বুলবুল আহম্মদের জমিটিতে কোন মালিকানা নেই। শুনেছি জমিটি না-কি পত্তন নিয়েছেন মো. নুরুল ইসলাম বাবুলেরা।
ছিনতাই কৃত মোটরসাইকেল বিষয়ে থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত )অফিসার আল মাহমুদ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন আজ অবধি মোটরসাইকেল কোথায় আছে এ বিষয়ে থানায় কেউ অবগত করেনি।
ইউপি সদস্য এ ধরণের ন্যক্কারজনক কার্যক্রম হইতে নিস্তার পেতে ও দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে ঊর্ধ্বতন মহলের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন পরিবার টি।