শ্রীপুর(গাজীপুর)প্রতিনিধি:
গাজীপুরের শ্রীপুরে সঙ্ঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে এক কারখানার নারী শ্রমিক।
কারখানা থেকে বেতন নিয়ে বান্ধবীর সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয় ওই নারী শ্রমিক। জঙ্গলের ভেতর নিয়ে জোর করে পালাক্রমে ধর্ষণ করে ওই নারী শ্রমিককে।
১৮ মার্চ, শুক্রবার রাতে উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের বাঁশবাড়ি গ্রামের গভীর জঙ্গলে ভতরে ওই গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী নারী শ্রমিকের বাড়ি গাজীপুর শ্রীপুর উপজেলায়। সে স্থানীয় একটি কারখানায় শ্রমিকের কাজ করতো। তার বাবা একজন কাঠমিস্ত্রি। অভিযুক্ত রুপা উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের সিংদিঘী গ্রামের আব্দুর রসিদের মেয়ে। সে স্থানীয় একটি কারখানায় শ্রমিকের কাজ করে।
ধর্ষণের শিকার নারী শ্রমিক (১৫) জানায়, উপজেলার বারতোপা এলাকায় একটি কারখানা থেকে বেতন নিয়ে দুপুর একটা দিকে বের হয়। এসময় একই কারখানার বান্ধবী রুপা তাকে নিয়ে ঘুরতে যায়। এরপর বিকাল তিনটার দিকে একটি সিএনজি যোগে বিভিন্ন দিকে ঘুরতে থাকে। এরপর সন্ধ্যা হলে সিএনজিতে উঠে রুপার অজ্ঞাত নামা প্রেমিক। পরবর্তী সিএনজির দুপারে কাপড় বেঁধে রওনা হয়। ঘন্টা খানেক পরে অজ্ঞাত নামা জায়গায় গিয়ে সিএনজি থামিয়ে নামতে বলে। এরপর আর দু’জন যুক্ত হয়। এরপর রুপা তার প্রেমিককে নিয়ে ঝোপের ভেতর নিয়ে চলে যায়। সঙ্গে থাকা অপর দুজন জোর করে জঙ্গলের ভেতর নিয়ে যায়। নিয়ে গিয়ে জোর করে আমার শরীরের সমস্ত জামাকাপড় খুলে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
তিনি আরও জানায়, সিএনজি চালক আমার হাতে ধরে রাখে, অপর সঙ্গিরা আমার উপর নির্যাতন চালায়। এসময় আমার গলায় ছুড়ি ধরে রাখে একজন। এরপর রাত নয়টার দিকে জঙ্গলে ফেলে রেখে চলে যায় অভিযুক্তরা। পরবর্তীতে সঙ্গে থাকা বান্ধবী রুপা আমাকে উদ্ধার করে একটি বাড়ি রেখে বাড়িতে খবর দেয়।
ভুক্তভোগী নারী শ্রমিকের ফুফা হুকুম আলী বলেন, রাত সাড়ে এগারোটা দিকে উপজেলার বাঁশবাড়ি এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে আনা হয়েছে।
ভুক্তভোগী নারী শ্রমিকের মা বলেন, দুপুর একটার দিকে বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর রাত হয়ে গেলেও ফিরে না এলে মেয়ের বান্ধবী রুপার বাড়িতে যেয়ে। জানতে পারি সে রুপার সঙ্গে আছে। এরপর চলে আসি। পরবর্তীতে রুপা ফোন করে জানায় বাঁশবাড়ি এলাকা থেকে মেয়েকে নিয়ে যান। একটু সমস্যা হয়েছে দ্রুত আসেন।
মাওনা ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইউ পি সদস্য আলমাস উদ্দিন বলেন, এবিষয়ে জানতে পেরেছি। ভুক্তভোগী পরিবারকে আইনের আশ্রয় নিতে বলা হয়েছে।
শ্রীপুর থানার পরিদর্শক তদন্ত মাহফুজ ইমতিয়াজ ভূইয়া বলেন, এবিষয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। ঘটনাস্থলে কি উপজেলার বাহিরে কি না এবিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।