শ্রীপুর ( গাজীপুর) প্রতিনিধি:
নিউ পদ্মা হাসপাতালে ফ্রী রক্ত বিক্রি হলো ৬ হাজার টাকায়
প্রসূতি মুমূর্ষ রোগীর জন্য স্বেচ্ছায় রক্তদানের এক ব্যাগ রক্ত ছয় হাজার টাকায় বিক্রি করলেন নিউ পদ্মা হাসপাতালে মালিক শাহাবুদ্দিন।
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার মাওনা চৌরাস্তায়, নিউ পদ্মা ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক হাসপাতালে, সিজার করতে আসা এক প্রসূতি নারীর অটো চালক স্বামীর কাছে এক ব্যাগ রক্ত বিক্রি করেন ৬ হাজার টাকায়। ভুক্তভোগী কালিয়াকৈর উপজেলার ফুলবাড়িয়া উওরপাড়া এলাকার অটো চালক জয়ের স্ত্রী। অটো চালক জয় বলেন, গত বৃহস্পতিবার তার স্ত্রীর প্রসব বেথা উঠলে তাকে মাওনা চৌরাস্তার নিউ পদ্মা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
অপারেশন করতে (বি নেগেটিভ) রক্তের প্রয়োজন বলে জানান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।তার সংগ্রহে কোন রক্তদাতা না থাকায় অটো চালক জয় রিসিভশনে কথা বলে। সেখান থেকে জয়কে জানানো হয় যে রক্ত পাওয়া যাবে তবে টাকা লাগবে ৭ হাজার টাকা। কোন উপায় না পেয়ে অটোচালক জয় তার স্ত্রীকে বাচাতে আকুতি মিনতি করে এক হাজার টাকা কমিয়ে ৬ হাজার টাকা হাসপাতালের কাউন্টারে জমা করেন।
এদিকে হাসপাতালের দায়িত্বরত কতৃপক্ষের একজন শাহাবুদ্দিন মোবাইলে ফোন করে রক্তদেয়ার কথা বলেন নোভিষ্টা কোম্পানির রিপ্রেজেনটেটিভ বিপ্লব সরকারের কাছে। বিপ্লব সরকার জানায়, নিউ পদ্মা হাসপাতালে মালিক শাহাবুদ্দিনের ফোন পেয়ে আমি এসে সেচ্ছাসেবী হিসেবে নিজের রক্ত ঐ মুমূর্ষ রোগীকে দান করি। পরে জানতে পারলাম আমার কাছ থেকে ফ্রী রক্ত নিয়ে অটো চালক জয়ের কাছে ৬ হাজার টাকায় বিক্রি করেন।
এই ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর মাওনা চৌরাস্তা এলাকায় সেচ্ছাসেবী রক্তদানকারী বিভিন্ন সংঘটনের সদস্যরা এসে রাস্তা অবরোধ করে রক্ত চুরির ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবী জানায়। এবং অচিরেই এই হাসপাতালটি বন্ধ ঘোষনা করার দাবী জানায় সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের কাছে।
এদিকে হাসপাতালে দ্বায়ীত্বরত ব্যবস্থাপকরা এই ঘটনা অস্বীকার জানিয়েছেন। এক পর্যায়ে হাসপাতালে সাথে সেচ্ছাসেবী রক্ত দানকারীদের বিবাদ সৃষ্টি হয়। কিন্তু এখনো পর্যন্ত কোন আইনি ব্যবস্থা কিংবা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জবাবদিহিতার আওতায় আনা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছেন আন্দোলনরত সেচ্ছাসেবীরা।