শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি
শ্রীপুরে বৃদ্ধাকে লাথি ও ভাঙা ঘর পরিদর্শন করল উপজেলা প্রশাসন
শ্রীপুরে বৃদ্ধাকে লাথি ও ভাঙা ঘর পরিদর্শন করল উপজেলা প্রশাসন।
গাজীপুরের শ্রীপুরে বৃদ্ধা নারীকে লাথি ও ঘর ভাঙার ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। আজ মঙ্গলবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন শ্রীপুর থানার ওসি খোন্দকার ইমাম হোসেন, কালিয়াকৈর সার্কেলের এএসপি আজমীর হোসেন ও ইউএনও মো. তরিকুল ইসলাম।
এ সময় তাঁরা অসহায় পরিবারের জন্য আইনের সর্বোচ্চ সুবিধা পাওয়ার আশ্বাস দেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হুমায়ুন কবির হিমু, তেলিহাটী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. লিয়াকত ফকির।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনের সময় কালিয়াকৈর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আজমীর হোসেন বলেন, ‘একজন বয়স্ক নারীর ওপর এমন আক্রমণ (বুকে লাথি মারা) খুবই বর্বর। এ ব্যাপারে মামলা নেওয়া হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারেও পুলিশ কাজ শুরু করেছে। আমরা এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় সব আইনগত ব্যবস্থাই গ্রহণ করব।’
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, জমির বিষয়ে মীমাংসা করা হবে। ভুক্তভোগী নারীকে তাঁর বাড়িঘর নির্মাণ শুরু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অপরাধীর বিষয়ে পুলিশ ব্যবস্থা নিবে।
বৃদ্ধা নারীর বুকে সজোরে লাথি, বাড়িঘর ভাঙচুরবৃদ্ধা নারীর বুকে সজোরে লাথি, বাড়িঘর ভাঙচুর
উল্লেখ্য, সম্প্রতি বৃদ্ধাকে লাথি দিয়ে বাড়ি ভাঙচুরের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, আকলিমা নামের এক নারী তার বাবার কাছ থেকে ক্রয় জমিতে বাড়ি নির্মাণকাজ শুরু করেন। পরে ওই নির্মাণাধীন বাড়ি ভাঙচুর ও আপন চাচিকে সজোরে বুকে লাথি মেরে ইটের ওপর ফেলে দিয়ে রক্তাক্ত ও গুরুতর জখম করেন আকলিমার চাচাতো ভাই মাসুদ রানা। এরপর ভাড়া করা লোক দিয়ে সদ্য নির্মিত বাড়ি ভেঙে দেন রানা।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ভুক্তভোগী পরিবারকে আইনের সর্বোচ্চ সুবিধা পাওয়ার আশ্বাস দেয় প্রশাসন
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ভুক্তভোগী পরিবারকে আইনের সর্বোচ্চ সুবিধা পাওয়ার আশ্বাস দেয় প্রশাসন।
গতকাল সোমবার গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার উত্তর পেলাইদ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ধারণকৃত ভিডিওটি সন্ত্রাসীদের ভয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করতে সাহস পায়নি ভুক্তভোগী পরিবার। এরপর রাতে স্থানীয় সাংবাদিকদের মাধ্যমে ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন, নুরুল ইসলামের ছেলে মাসুদ রানা (৩৫) ও মজলু মিয়ার ছেলে রুমান (২৫) ও আরমান (১৮)।