গাজীপুর প্রতিনিধি:
বনে আগুন প্রতিরোধে গাজীপুর সদর উপজেলায় আলোচনা ও র্যালী অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার( ২৯ মার্চ) দিনব্যাপী এসব কর্মসূচির উদ্যোগ নেয় ঢাকা বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ।
গাজীপুর ভাওয়াল ও জাতীয় উদ্যান রেঞ্জের বাস্তবায়নে কর্মসূচি গুলোতে অংশ নেন বন বিভাগের কর্মকর্তা এবং স্টাফসহ গাজীপুর সদর উপজেলার বিভিন্ন এলকার স্থানীয় অধিবাসীরা।
মঙ্গলবার সকালে প্রথমে ভাওয়াল রেঞ্জের ভবানীপুর বিট অফিস প্রাঙ্গন থেকে র্যালী বের হয়ে সিংড়াতলী ফরেস্ট অফিস সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে বিট অফিস প্রাঙ্গনে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার স্থানীয় অধিবাসীদের সঙ্গে আগুন প্রতিরোধে আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন সহকারী বন সংরক্ষক এনামুল হক।
এ সময় অন্যদের মধ্যে ছিলেন বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা রুবিয়া ইসলাম, ভাওয়াল রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. মাসুদ রানা, ফরেস্টার শাহান শাহ আকন্দ প্রমুখ। আলোচনায় স্থানীয় অধিবাসী ও সামাজিক বনায়নের আওতায় নিয়োগপ্রাপ্ত উপকারভোরীরা বনে আগুন প্রতিরোধে ঐক্যবদ্ধ থাকার প্রতিশ্রুতি দেন।
সভায় ভাওয়াল রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. মাসুদ রানা বলেন, বনে আগুন প্রতিরোধে বিভাগীয় বন কর্মকর্তার নির্দেশে টহল কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। বনে অগ্নিকান্ডের খবর পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিকভাবে অগ্নিনির্বাপন কাজে অংশ নিচ্ছে বনকর্মীরা৷ এ ছাড়া বনে অগ্নিসংযোগকারীদের চিহ্নিত করে বন আইনে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলেও তিনি জানান।
এদিকে একই দিন দুপুরে গাজীপুর সদর উপজেলার পিংগাইল এলাকায় বন আগুন প্রতিরোধে পৃথক আলোচনায় ও র্যালীতে অংশ নেয় বন বিভাগের কর্মকর্তা, স্থানীয় অধিবাসীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। আলোচনা সভায় সঞ্চালনা করেন বারুইপাড়া বিট কর্মকর্তা আবুল কালাম সামসুদ্দিন। পরে র্যালীটি পিংগাইল সড়কের বিভিন্ন স্থান প্রদক্ষিণ করে।
উল্লেখ্য, প্রতিবছর শেষ মৌসুম শেষে ইংরেজী মাসের মার্চ থেকে মে পর্যন্ত পত্রঝরা শালবনের বিভিন্নস্থানে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে৷ ইচ্ছাকৃত, কখনো আবার অসতর্কতার কারণে সৃষ্ট অগ্নিকান্ডে বনের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। বাস্তুচ্যুত হয় বন্য পশুপাখি। বাধাগ্রস্ত হয় বনায়ন কার্যক্রম।