নিজস্ব প্রতিবেদক :
গাজীপুরের শ্রীপুরে প্রেমের প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় হুমকীর মুখে চাকুরী ছেড়ে দেন এক পোষক শ্রমিক। বকেয়া বেতন আনতে গিয়ে মা-মেয়ে মারধর সহ নির্যাতনের স্বীকার হন। ঘটনা ঘটেছে শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) রাত সাড়ে সাতটার দিকে উপজেলার বরমী ইউনিয়নের কাশিজুলী গ্রামে। ভুক্তভোগী ওই শ্রমিক শ্রীপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। রাতেই পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতার অভিযান চালায়।
অভিযুক্তরা হলো উপজেলার কাশিজুলী গ্রামের সুজন (৪০), সিরাজ উদ্দিনের ছেলে রবিন মিয়া (২৫), জিহাদ (৩০) সুজনের স্ত্রী মোছা. শেলিনা (৩৫)।
অভিযোগ ও ভুক্তভোগীর সাথে কথা বলে জানা যায়, ওই শ্রমিক ২০২২ সালে এস.এস.সি পরীক্ষায় উত্তির্ণ হন। বর্তমানে নাসিং কলেঝে ভর্তি হন। লেখাপড়ার খরচ যোগাতে স্বল্প সময়ের জন্য ওই গ্রামের আফরান কম্পোজিট লিঃ নামক পোষাক কারখানায় চাকুরী নেন।
ভিকটিম জানান, একই কারখানায় চাকুরী করেন অভিযুক্ত সুজন,জিহাদও রবিন। চাকুরী নেয়ার পর থেকেই সুজন ওই শ্রমিককে প্রেমর প্রস্তাব সহ কু প্রস্তাব দিতো। প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় সুজন ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে খুন জখমের হুমকীদেয়। সম্প্রতি জিহাদ ও তাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে কু প্রস্তাব দিতো। দুলাভাই শ্যালকের হুমকীর মুখে ওই শ্রমিক আড়াই মাস চাকুরী করে গত ১৪এপ্রিল থেকে চাকুরী ছেড়ে দেন। বিষয়টি স্থানীয় ভাবে জানিয়েও কোন প্রতিকার পাননি ভোক্তভোগী।
শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটারদিকে ওই শ্রমিক তার মা কে নিয়ে কারখানা থেকে বকেয়া বেতন আনতে যান । সুজন ওই শ্রমিককে কারখানার গেটের সামনে দেখতে পেয়েই ক্ষিপ্ত হয়ে গালিগালাজ করতে থাকে। এসময় অভিযুক্ত জিহাদ ওই শ্রমিককে টানাহেঁচড়া কের তুলে নেয়ার চেষ্টা করে।
ভিকটিমের ডাকচিৎকার শুনে তার মা মেয়েকে রক্ষা করতে এগিয়ে যায়। এসময় অভিযুক্তরা মা-মেয়েকে এলাপাথারী ভাবে মারধর করে গুরুত্বর আহত করে । হামলা কারীরা তাদের কাছ থেকে নগত টাকা ও স্বর্ণালংকার ছিনিয়েনেয়। এ ঘটনায় ভোক্তভোগী শ্রমিক রাতেই শ্রীপুর থানায় অভিযোগ করেন।
রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থলে অভিযান চালায়। পুলিশের অভিযানের খবর পেয়ে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। অভিযুক্তরা পলাতক থাকায় তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
শ্রীপুর থানার ওসি খোন্দকার ইমাম হোসেন জানান, ভিক্টিমের অভিযোগ পাওয়াগেছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে অভিযান চালিয়েছে। এ ব্যপারে তদন্ত পূর্বক আইন গত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।