নিজস্ব প্রতিবেদক :
গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনকে ঘিরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই আলোচনা, সমালোচনা, নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে স্ট্যাটাস দিয়ে মনের ব্যক্ত প্রাকাশ করেন।
গাজীপুর জেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলন। আর গাজীপুর ২ আসনের এমপি সারা বাংলাদেশের সব চাইতে আলোচিত এবং সফল প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল এম পি নাম দাওয়াত কার্ডে না দিয়ে সম্মেলন করাটা কতটা সুন্দর বা সফল হবে তা আমার জানা নাই?
কিন্তু একটা জিনিস বলে রাখতে চাই।
রাসেল ভাই কিন্তু আপনাদের হিংসার বলি হবার মানুষ নয়। তিনি সারা বাংলার যুব সমাজের একজন আইকন। উনার মত ভদ্র এবং আদর্শিক রাজনীতির চর্চা অনেকে বর্তমান সময় করে না।
আর একটা কথা বলতে চাই।যারা রাসেল ভাই কে নিয়ে মন্দ চিন্তা করছেন। তারা কিন্তু নর্দমায় নিক্ষিপ্ত হয়েছেন। আর তাদের৷
আগামি ‘১৯ মে ২০২২’ তারিখে গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এ সম্মেলনকে ঘিরে তৈরি করা পোস্টারে গুরুত্বপূর্ণ নেতৃবৃন্দের নাম না থাকায় সচেতন মহলে এসব সমালোচনা করতে দেখা যাচ্ছে।
অনেকে বিষয়টাকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বহিঃপ্রকাশ হিসাবে দেখছেন। এ বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অনেকেই ফেসবুক পোস্টে ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি থেকে লিখেছেন, ‘গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে এমপি শহীদ আহসান উল্লাহ্ মাস্টারের সুযোগ্য পুত্র জননেতা জাহিদ আহসান রাসেল এমপি মাননীয় মন্ত্রী যুব ক্রিড়া বিষয়ক মন্ত্রণালয়, মহানগর এলাকার আরেকজন কৃতি সন্তান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি জননেতা আজমতউল্লাহ্ খান, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক (ডাকসুর সাবেক জিএস সাবেক ভিপি সাবেক এমপি), জেলা পরিষদ প্রসাশক জননেতা আক্তারুজ্জামান ভাই, অধ্যাপক রুমানা আলী টুসি আপা এমপির নামটা দিলে মনে হয় গাজীপুরের আওয়ামী পরিবার খুশি হতো। এটা কি রাজনৈতিক নোংরামি না’?
‘শেখ রাসেল হাসান’ লিখেছেন ‘গাজীপুর জেলা আওয়ামিলীগ সম্মেলন ব্যানারে ক্রিয়া প্রতিমন্ত্রী রাসেল ভাই ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর সদস্য আজমত উল্লাহ সাহেবের নাম নাই এটা কি রকম রাজনীতি’।
সামসুল হক বাদশা লিখেছেন, ‘কতিপয় প্রতিহিংসা পারায়ণ ব্যক্তির হাতে এখন গাজীপুর আওয়ামীলীগের দায়িত্ব অর্পিত আছে। যে গাজীপুরের মাটি শহিদ আহ্সানউল্লাহ্ মাষ্টারের রক্তে রঞ্জিত সেই গাজীপুর জেলা আওয়ামীলীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনের পোস্টারে তাঁরই সুযোগ্য পুত্র যিনি বর্তমান সংসদের একজন প্রতিমন্ত্রী তাঁর নাম নেই। এটা খুবই দুঃখজনক। যাদের হাতে জেলা আওয়ামীলীগের দায়দায়িত্ব পুর্বে ছিল এবং এখনও আছে এরা জেলা আওয়ামীলীগকে নিজস্ব সম্পত্তি বানিয়ে ফেলেছে। এদের দ্বারা সাধারণ আওয়ামীলীগ আজ নির্যাতিত, নিপীড়িত এবং নিষ্পেষিত। জানিনা মাননীয় নেত্রীর কানে কথাগুলো পৌঁছাবে কিনা। তবে আমার বিশ্বাস, গাজীপুর জেলা আওয়ামীলীগের এহেন পরিস্থিতি মাননীয় নেত্রী অবশ্যই অবগত আছেন’।
সোহেল রানা নামের একজন লিখেছেন ‘বেয়াদবি মাফ করবেন: যার পিতার রক্তে গাজীপুরের মাটিতে লেগে আছে তার সন্তান কে ছেড়ে সম্মেলন, অথচ একজন অত্যন্ত পরিশ্রমী নেতা, একজন ন্যায় ও আদর্শবান নেতা, একজন সফল প্রতিমন্ত্রী গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগ এর ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের পোষ্টারে জায়গা হয় না!
বৃহত্তর গাজীপুর জেলা আওয়ামিলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, বর্তমান গাজীপুর মহানগর আওয়ামিলীগ সভাপতি, টঙ্গী পৌরসভার থেকে বারবার নির্বাচিত পৌর মেয়র বীব মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মোঃ আজমত উল্লাহ খান এর মত নেতাদের পোস্টারে স্থান পায় না। গাজীপুরের দুইজন সংরক্ষিত এমপির কথা নাইবা বললাম’।
শেখ সুরুজ্জামান
লিখেছেন ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি: আমি অত্যন্ত ভারাক্রান্ত ব্যাথিত! গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সকল নেতার নাম ব্যানারে আছে অথচ বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার স্যারের সুযোগ্য সন্তান গাজীপুর দুই আসনের বারবার নির্বাচিত এমপি ও গণমানুষের নেতা মাননীয় যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব জাহিদ আহসান রাসেল এমপি মহোদয়ের নাম নেই। আমরা খুবই মর্মাহত’।
সংবাদ প্রতিদিন পত্রিকার ব্যবস্থাপনা সম্পাদক এস এ সালাম শান্ত তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি থেকে লিখেছেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী স্নেহভাজন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী, আমাদের গাজীপুরের গর্ব নয় শুধু, সারা বাংলাদেশেরের গর্ব , একটু অপেক্ষা করুন, ইনশাআল্লাহ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিজ হাতেই পুরস্কার দিবেন’।
প্রতিদিনের কাগজ পত্রিকার বার্তা সম্পাদক মো. জাহিদ হাসান তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি থেকে লিখেছেন, ‘গাজীপুর কে দ্বিতীয় গোপালগঞ্জ বলা হয়। কিন্তু গাজীপুর কে আওয়ামীলীগের ঘাটি তৈরি করেছেন কে ? উনার নাম শহীদ আহসান উল্লাহ মাষ্টার এম পি। উনি শুধু গাজীপুর নয় উনি জাতীয় নেতা।
কিন্তু উনার ছবি গাজীপুরের সম্মেলনে ব্যানার ফেস্টুন বা কার্ডে থাকে না। এটা কেমন নোংরা রাজনীতি! এটার তিব্র নিন্দা জানাই।
প্রিয় স্যারের জন্য কারো সাথে আপোষ নয়, এই নোংরা রাজনীতি করে কেউ কোনোদিন এগিয়ে যেতে পারেনি, পারবেও না। গাজীপুরবাসীর আপামোর জনতার গর্বের ধন, ইতিমধ্যে যিনি তার কর্ম দক্ষতায় গাজীপুরবাসীকে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়। উনার নাম বাদ দিয়ে গাজীপুর জেলার সম্মেলন এর সফলতা কামনা করতে পারছি না।
বর্তমানে গাজীপুরের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল এমপি মহোদয়। এই ধরনের কাজ উনার জনপ্রিয়তাকে কোনও অংশে কমাতে পারবে না। ইনশাআল্লাহ্’।
উল্লেখ্য, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ ধরনের আলোচনা- সমালোচনা রীতিমতো চোখে পড়ার মতো। যারা সরাসরি রাজনীতির সাথে জড়িত নয়, এমন সচেতন মানুষগুলোই এ ধরনের সমালোচনা করছেন বলে দেখা যাচ্ছে’।
তবে এ বিষয়ে গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও গাজীপুর-৩ আসনের এমপি কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি!