নিজস্ব প্রতিবেদক :
সাভারের আশুলিয়ায় এক সংবাদকর্মীকে মামলায় ফাঁসিয়ে জেলে থাকা অবস্থায় তার ফ্ল্যাটের সমস্ত মালামাল লুটের অভিযোগ উঠেছ বাড়িওয়ালার বিরুদ্ধে।
ভুক্তভোগী সাংবাদিক দৈনিক লাখো কন্ঠের সাভার প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করতো বলেও যানা যায়।
রবিবার(১৫ মে) দুপুরে আশুলিয়া রিপোর্টার্স ক্লাবের হলরুমে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ তুলে ধরেন ভুক্তভোগী সংবাদকর্মী ও তার পরিবার।
ভুক্তভোগী সাংবাদিক মাঈনুল হোসেন সাভারের পল্লী বিদুৎ সাংবাদিক পরিচয় দেওয়া কামাল ওরফে হল কামালের বাসায় বাড়া থেকে সাংবাদিকতা করে আসছিল।কিন্তু ফাঁসানো মামলায় জেল খেটে তিনি স্টোক করে প্যারালাইজড হয়ে শারিরীক অসুস্থতাকে সঙ্গে নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে।
অভিযুক্ত বাড়ির মালিকের নাম মোঃ কামাল হোসেন ওরফে হল কামাল(৫২)। তার সহযোগীতায় লুটপাটে অংশ নেয়া বাকি অভিযুক্তরা হলেন, ভোলা জেলার চরফ্যাশন থানার মোঃ জয়নাল আবেদীন সরদারের ছেলে মোঃ আব্বাস উদ্দীন(৩৬), একই এলাকার মোঃ মনিরুল ইসলাম মনির(৩৭), পিরোজপুর জেলার গন্ডারিয়া থানার আব্দুর রাজ্জাক(৪০), ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানার মোঃ নওশের জামিল(৫৫), চরফ্যাশনের মোঃ নেয়ামত উল্লাহ(৪৬), ভোলার শষীভুষণ থানার মোঃ আলআমিন(২৬), ঝালকাঠি জেলার রাজপুর এলাকার শফিকুল ইসলাম ওরফে বিপ্লব হাওলাদার(৪০), পাবনা জেলার জাহিদুল ইসলাম(২৪) ও রিসান শেখ(২০)।
সংবাদ সম্মেলনে রুখসানা আক্তার বলেন, আমার স্বামী মুক্তিযুদ্ধা পরিবারের সন্তান এবং মূলধারার সংবাদ কর্মী। ভোলা জেলা চরফ্যাশন থানা এলাকার আব্বাস উদ্দীন ষড়যন্ত্রমূলক আমার স্বামী মাইনুল ইসলামের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে আশুলিয়া থেকে চরফ্যাশন থানার পুলিশ দিয়ে গ্রেফতার করিয়ে নিয়ে যায়। থানায় আমার স্বামী ব্রেনস্ট্রক করে এবং প্যারালাইজড হয়ে পঙ্গু হয়ে যায়। এরই ফাঁকে আশুলিয়ার বাড়ি মালিক হল কামাল আমাদের অনুপস্থিতিতে রুমের তালা ভেঙে নগদ টাকা,স্বর্ণালংকার,আসবাবপত্র সহ প্রায় বারো লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। মূলত হল কামাল আর আব্বাস উদ্দিনের যোগসাজশে এঘটনা ঘটিয়েছে।
এ বিষয়ে কামাল হোসেনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ ওঠেছে তা সম্পন্ন মিথ্যা। সাংবাদিক মাঈনুল হোসেন আর আমি দীর্ঘ দিন এক সাথে চলাচল করেছি সে আমার ভালো একজন বন্ধু এবং সে একজন ভালো মানুষ। সে আমার বাসায় থেকে সাংবাদিকতা করতো। তিনি বরিশালের একটি মামলায় জেলে যাওয়ার পড়ে তার প্রথম পক্ষের স্ত্রী সন্তানরা এসে তার বাসার মালামাল নিয়ে গেছে। এরপর আর আমি কিছুই জানি না।