-
- অর্থনীতি
- সম্পন্ন হলো পদ্মা সেতুর সড়কবাতির পরীক্ষা
- আপডেট টাইম : জুন, ১০, ২০২২, ১১:৫৬ অপরাহ্ণ
- 187 বার পঠিত
নিজস্ব প্রতিবেদক:
শুক্রবার সন্ধ্যায় একসঙ্গে ৬২টি সড়কবাড়ি জ্বালিয়ে পরীক্ষা করা হয়।
শুক্রবার সন্ধ্যায় একসঙ্গে ৬২টি সড়কবাড়ি জ্বালিয়ে পরীক্ষা করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
পদ্মা সেতুর সবগুলো সড়কবাতির পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। গত ৪ জুন শুরু করে আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় পদ্মা সেতুর সবগুলো ল্যাম্পপোস্টের বাতি ধাপে ধাপে পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে। মোট ৪১৫টি সড়কবাতির পরীক্ষা সম্পন্ন করতে সাত দিন লাগল। পদ্মা সেতুর সহকারী প্রকৌশলী সাদ্দাম হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এ ব্যাপারে সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘আজ পদ্মা সেতুর মাওয়া আপস্ট্রিমে ৪০টি ও সেতুর নর্থ ভায়াডাক্টে ২২টি মিলিয়ে মোট ৬২টি সড়কবাতির পরীক্ষা করা হয়। গত ছয় দিনে ধাপে ধাপে ৩৫৩টি সড়কবাতির পরীক্ষা করা হয়েছিল। সবগুলো সড়কবাতি আগামী বুধবার একসঙ্গে প্রজ্জ্বলিত করে পরীক্ষা করা হতে পারে।’
পদ্মা সেতু আগামী ২৫ জুন উদ্বোধন করা হবে। এখন সেতুর শেষ মুহূর্তের কিছু কাজ করছেন প্রকৌশলীরা। এর অংশ হিসেবে গত ৪ জুন সেতুর মডিউল ২ ও ৩-এর সবগুলো সড়কবাতি জ্বালিয়ে পরীক্ষা করেন প্রকৌশলীরা।
পদ্মা সেতুর ল্যাম্পপোস্ট আলো ছড়ালপদ্মা সেতুর ল্যাম্পপোস্ট আলো ছড়াল
পদ্মা সেতুর প্রকল্প পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘সড়কবাতির পাশাপাশি পদ্মা সেতুর সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য সেতুতে ব্যবহার করা হবে আর্কিটেকচার লাইট। তবে, আর্কিটেকচার লাইটের কোনো কাজ এখনও শুরু হয়নি। আর্কিটেকচার লাইটের কাজ সেতু উদ্বোধনের পর শুরু করা হবে।’
প্রকৌশলীদের সূত্রে জানা গেছে, পদ্মা সেতুতে মোট ৪১৫টি সড়কবাতি বসানো হয়েছে। এর মধ্যে মূল সেতুতে রয়েছে ৩২৮টি, জাজিরা প্রান্তের সেতুর ঢালে (ভায়াডাক্ট) ৪৬টি এবং মাওয়া প্রান্তের ভায়াডাক্টে বসানো হয়েছে ৪১টি সড়কবাতি। গত ১৮ এপ্রিল এসব সড়কবাতি স্থাপনের কাজ শেষ হয়। এরপর পুরো সেতুতে ক্যাবল টানা হয়েছে। গত বছর ২৫ নভেম্বর মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে প্রথম সড়কবাতি বসানোর কাজ শুরু হয়।
এই ক্যাটাগরীর আরো খবর
- বেনজীরের রিসোর্টে অভিযান না চালানোয় ক্ষোভ
- শ্রীপুরে যৌথবাহিনীর অভিযানে ২০ কোটি টাকার বনভূমি উদ্ধার
- টঙ্গীতে ২ কারখানার অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন মো: আব্দুল বাতেন বাচ্চু,
- গাজীপুরে সাফারি পার্ক থেকে দুটি ম্যাকাও পাখি চুরি একটি উদ্ধার
- নদী ভরাট ও হিন্দুদের জমি দখল করে কিরণের বাগানবাড়ি নিজস্ব প্রতিবেদক, দেশ টিভি বাংলা : নদী ভরাট ও হিন্দুদের জমি দখল করে গড়ে তোলা কিরণের বাগানবাড়ি রয়েছে সুন্দর করা বাগানবাড়ির প্রধান ফটক। বিজিবির হাতে গত সোমবার (১৮ নভেম্বর) রাতে আটক হন গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র ও গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আসাদুর রহমান কিরণ। দৃশ্যমান সম্পত্তির বাইরে সম্প্রতি তার একটি বাগানবাড়ির সন্ধান পাওয়া গেছে। অভিযোগ রয়েছে সেই বাড়িটি বালু নদীর ফোরশোর ও হিন্দুসম্প্রদায়ের জমি দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে। স্থানীয়ভাবে এই জমির মূল্য ১৬০ কোটি টাকা। সেই বাগান বাড়িতে এখন কেউ নেই। কিরণ আটকের পর বাড়ির গেটে তালা মেরে পালিয়ে গেছেন নিরাপত্তা কর্মীরাও। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গাজীপুরের কালিগঞ্জ উপজেলার নাগরী ইউনিয়নে বালু নদীর পূর্ব তীরে অবস্থিত রয়েন গ্রাম। এর বিপরীত তীরে ছিকুলিয়া গ্রাম। এই গ্রামের পূর্বাংশে বালু নদীর ফোরশোরে নদীর তীর দখল করে কিরণ গড়ে তুলেছেন বিলাসবহুল এ বাগান বাড়ি। কিরণের আটকের খবরে সে বাড়ির নিরাপত্তারক্ষীরা প্রধান গেটে তালা মেরে পালিয়ে যান। সরেজমিনে দেখা যায়, বিশাল আকৃতির ওই গেটের ভেতরে বালু নদীর তীরে বালু ভরাটের কাজ চলছিল। ভেতরে বেশ কয়েকটি ভবনও নির্মাণ করা হয়েছে। থাকার জন্য বাংলো, ফুলের বাগানসহ একটি পরিপূর্ণ রিসোর্টের কাজ চলমান। স্থানীয়রা বলছেন, দুই দিন আগেও লোকজন ছিল। এখন নেই। তালা মেরে চলে গেছে। বিলাসবহুল বাগান বাড়িটির মালিক কে, এই প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, মেয়র কিরণ স্যার এই বাড়ির মালিক। তিনি কতটুকু জমি কিনেছেন এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটা বললে আমার বিপদ হবে। আমি জানি না।’ তবে এই জমি ক্রয়ের ক্ষেত্রে দালালি যারা করেছেন তাদের দুই জন নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, জমি কেনা হয়েছে ১০ বিঘার মতো। বায়না করা আছে আরো ১০ বিঘা। বাকি জমি কিরণ কিভাবে নিয়েছেন, তা তারা জানেন না। তবে হিন্দুদের জমি ও বালু নদীর ফোরশোর দখলের মাধ্যমে কিরণের ৪০ বিঘা হয়েছে এটা নিশ্চিত করেছেন তারা। ২০২১ ও ২০২২ সালে ভারপ্রাপ্ত মেয়র থাকাকালে কিরণ নিজের ও তার প্রতিষ্ঠান গ্রীনডট বিল্ডার্সের নামে ৩.২৬ একর জমি ক্রয় করে জমাভাগ করেছেন। মোট ৬টি নামজারি করে জমাভাগ করার পর খাজনা পরিশোধ করেছেন তিনি। হিন্দুদের জমি নাম মাত্র মূল্যে ক্রয় করেছেন কিরণ। একই সঙ্গে বালু নদীর ফোরশোরও দখল করে মাটি ও বালু ভরাট করেছেন। এখন এই বাগান বাড়ির আওতায় প্রায় ৪০ বিঘা জমি বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। ১০ বিঘা জমি ক্রয় করে দখল করতে করতে এখন ৪০ বিঘার মত জমি কিরণের কব্জায় বলে জানিয়েছেন দায়িত্বশীল থাকা সূত্র। ক্ষমতায় থাকলে এই জমির পরিমাণ শত বিঘা অতিক্রম করত বলে অভিমত তাদের। এই বিষয়ে পূবাইল ভূমি অফিসের ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আরিফ উল্লাহ জানান, সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরণ নিজ নামে ও তার প্রতিষ্ঠান গ্রীনডট বিল্ডার্সের নামে ২০২১-২০২২ সালে মোট ৬টি খারিজের মাধ্যমে ৩.২৬ একর জমির মালিক হয়েছেন। বাকি জমির বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। জমি কেনা-বেচার সঙ্গে জড়িত একাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান বলেছেন, সেখানের জমি কাঠা প্রতি ২০ লাখ টাকায় বিক্রি হয়। সে হিসেবে ৪০ বিঘা জমির মূল্য ১৬০ কোটি টাকা হবে। ৫ আগস্টের আগে কিরণ বলেছিলেন, তার কোনো অবৈধ সম্পদ নেই। গত সোমবার যশোরের শিকারপুর সীমান্তে বিজিবির হাতে আটক হন আসাদুর রহমান কিরণ। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় তিনটি হত্যা মামলাসহ ৭টি মামলা রয়েছে বলে প্রতিবেদক কে জানিয়েছেন টঙ্গী পূর্ব থানার ওসি কায়সার আহমেদ। যশোরে ভারতে অনুপ্রবেশের মামলার আনুষ্ঠানিকতা শেষে কিরণকে টঙ্গীতে আনা হবে বলে জানিয়েছেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।
- পথরোধ করে বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে টাকা ছিনতাই
- কাফনের কাপড় পড়ে মানববন্ধন ৭২ ঘন্টার আল্টিমেটাম
- হাজতখানায় বসে টাকা হাতবদল : কনস্টেবল বরখাস্ত, ওসিসহ ৩ জনকে শোকজ
- গাজীপুরে ৩০ কারখানা ছুটি ঘোষণা
- হাসপাতালে ৬ লিফটের ৪টিই নষ্ট, রোগীদের ভোগান্তি