নিজস্ব প্রতিবেদক :
গাজীপুরের শ্রীপুরে সেকান্দর আলী নামে এক ব্যক্তির পৈতৃক সূত্রে পাওয়া জমিতে রাতের আঁধারে প্রতিপক্ষের লোকজন জমি দখল করে গাছের চারা লাগিয়ে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ ও সাইনবোর্ড লাগিয়ে দখলে নেয়। সকালে জমিতে গাছের চারা, পিলার ও সাইনবোর্ড দেখে সেকান্দর আলীকে খবর দেয় তাঁর মেয়ে। সঙ্গে সঙ্গে ঘুম থেকে উঠে জমিতে থাকা একটি চারা তুলতেই প্রতিপক্ষের লোকজন বাঁশের লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে আহত করে তাঁকে। বাবাকে মারধরের হাত থেকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে ছেলে জাফরকেও বেধড়ক পিটিয়ে পা ভেঙে দেয় প্রতিপক্ষ। এর পর সেকান্দর আলীর স্ত্রী রাজিয়া আক্তারকে মারধর শুরু করে। এ সময় সেকান্দর আলী ও তাঁর স্ত্রী রাজিয়া মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। মারধরের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
গত শনিবার (১১ জুন) সকালে এই ঘটনা ঘটেছে উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের শৈলাট গ্রামে। আহতরা হলেন, উপজেলার শৈলাট গ্রামের মো. সেকান্দর আলী (৬০), মো. জাফর ইকবাল (৩০), রাজিয়া আক্তার (৫৫) ও মর্জিনা আক্তার (৩০)। আর অভিযুক্তরা একই গ্রামের মো. আতিকুল ইসলাম (২৫), মো. সাদ্দাম হোসেন (৩০) ও মো. রানা (২৬), মোঃ হাফিজুর রহমান (হাফিজ) (৩৩)।
ভুক্তভোগী সেকান্দর আলীর মেয়ে পুষ্প আক্তার জানায়, ‘সকালে ঘুম থেকে উঠে আমাদের জমিতে দেখি গাছের চারা লাগানো, এর পর বাবাকে ডেকে বলার পর জমি থেকে একটি চারা তুলে ফেলে। এর পর লাঠিসোঁটা নিয়ে এসে বাবাকে এলোপাতাড়ি পেটানো শুরু করে তাঁরা। এর পর ভাই এগিয়ে গেলে ভাইকেও পেটানো শুরু করে। লাঠি দিয়ে পিটিয়ে হাত পা ভেঙে দেয়। মাকে মারধর করে। এর পর স্থানীয়দের সহযোগিতায় বাবা, ভাই ও মাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করি।’
এদিকে অভিযুক্তদের বাড়িতে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে এ বিষয়ে অভিযুক্ত সাদ্দাম হোসেনের ভাবি ফারজানা আক্তার বলেন, ‘উভয় পক্ষের মধ্যে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। তাঁরা ভিডিও করেছে। আমরা ভিডিও করতে পারিনি বলে আজ অপরাধী।’
গাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য ইয়ার মাহমুদ বলেন, ‘বিষয়টি শুনেছি। জানার সঙ্গে সঙ্গে আমি হাসপাতালে গিয়ে তাদের খোঁজ খবর নিয়েছি। ভুক্তভোগী পরিবারকে আইনের আশ্রয় নিতে বলা হয়েছে।’
গাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল হক মাদবর বলেন, ‘ঘটনাটি সত্যিই অনাকাঙ্ক্ষিত, এ ধরনের ঘটনা আমার ইউনিয়নে হওয়াতে আমি আশ্চর্য হয়েছি। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী পরিবারকে সকল ধরনের সহযোগিতা করা হবে।’
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, ‘পুলিশ পাঠানো হয়েছে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের জন্য। দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। এ বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’