নিউজ ডেক্স :
দ্বিতীয় বৃহৎ মুসলিম রাষ্ট্রে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, দপ্তর অধিদপ্তরের দায়িত্ব পালন করছে কারা!
নতুন শিক্ষানীতিতে দশম শ্রেণি পযর্ন্ত ধর্ম শিক্ষা বাদ দেওয়া হয়েছে, ঐচ্ছিকও রাখা হয়নি, যা আগে আবশ্যিক ছিল।
আমাদের কোমলমতি শিশুদের ইসলাম বিদ্বেষী বানানোর আয়োজন চূড়ান্ত।
এভাবে চলতে থাকলে আগামী ২০/৩০ বছর পর এক নাস্তিক্যবাদী প্রজন্ম গড়ে উঠবে।
পাঠ্যবই থেকে ইসলামী মূল্যবোধ সংশ্লিষ্ট সকল গল্প-কবিতা বাদ দেওয়া হয়েছে।
নিম্নে দেখুন-
পাঠ্যপুস্তকে বাংলা বই থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে :-
১. ক্লাস-২: ‘সবাই মিলে করি কাজ’ – শিরোনামে মুসলমানদের শেষ নবীর সংক্ষিপ্ত জীবন চরিত।
২. ক্লাস-৩: ‘খলিফা হযরত আবু বকর’ শিরোনামে একটি সংক্ষিপ্ত জীবন চরিত।
৩. ক্লাস-৪: খলিফা হযরত ওমর এর সংক্ষিপ্ত জীবন চরিত।
৪. ক্লাস-৫ : ‘বিদায় হজ্জ’ নামক শেষ নবীর সংক্ষিপ্ত জীবন চরিত।
৫. ক্লাস-৫: বাদ দেওয়া হয়েছে কাজী কাদের নেওয়াজের লিখিত ‘শিক্ষা গুরুর মর্যাদা’ নামক একটি কবিতা। যা বাদশাহ আলমগীর মহত্ব বর্ণনা উঠে এসেছে। এবং শিক্ষক ও ছাত্রের মধ্যে আদব কেমন হওয়া উচিত তা বর্ণনা করা হয়েছিলো।
৬. ক্লাস-৫ : শহীদ তিতুমীর নামক একটি জীবন চরিত। এ প্রবন্ধটিতে শহীদ তিতুমীরের ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ঘটনা উল্লেখ ছিলো।
৭. ক্লাস-৬ : ড. মুহম্মদ শহীদু্ল্লাহ লিখিত ‘সততার পুরুষ্কার’ নামক একটি ধর্মীয় শিক্ষনীয় ঘটনা।
৮. ক্লাস-৬ : মুসলিম দেশ ভ্রমণ কাহিনী- ‘নীলনদ আর পিরামিডের দেশ’।
৯. ক্লাস-৬ : মুসলিম সাহিত্যিক কায়কোবাদের লেখা ‘প্রার্থনা’ নামক কবিতাটি।
১০. ক্লাস-৭: বাদ দেয়া হয়েছে মরু ভাষ্কর নামক শেষ নবীর সংক্ষিপ্ত জীবন চরিত।
১১. ক্লাস-৮: বাদ দেওয়া হয়েছে ‘বাবুরের মহত্ত্ব’ নামক কবিতাটি।
১২. ক্লাস ৯-১০: সর্ব প্রথম বাদ দেওয়া হয়েছে মধ্যযুগের বাংলা কবি শাহ মুহম্মদ সগীরের লেখা ‘বন্দনা’ নামক ধর্মভিত্তিক কবিতাটি।
১৩. ক্লাস ৯-১০: এরপর বাদ দেওয়া হয়েছে মধ্যযুগের মুসলিম কবি ‘আলাওল’ এর ধর্মভিত্তিক ‘হামদ’ নামক কবিতাটি।
১৪. ক্লাস ৯-১০: বাদ দেওয়া হয়েছে মধ্যযুগের মুসলিম কবি আব্দুল হাকিমের লেখা বঙ্গবানী কবিতাটি।
১৫. ক্লাস ৯-১০: গোলাম মোস্তাফার লেখা জীবন বিনিময় কবিতাটি। কবিতাটিতে মোঘল বাদশাহ বাবর ও তারপুত্র হুমায়ুনকে নিয়ে লেখা।
১৬. ক্লাস ৯-১০: কাজী নজরুল ইসলামের লেখা বিখ্যাত ‘উমর ফারুক’ কবিতা।
আসুন, ইসলাম ও মুসলিম মূল্যবোধ রক্ষায় সবাই একসাথে আওয়াজ তুলি- ইসলাম বিরোধী শিক্ষানীতি বাতিল কর, করতে হবে।
প্রায় হাইস্কুলে একজন ধর্মীয় শিক্ষক ছিলেন। যাকে মৌলভী স্যার বলা হয়। যিনি ধর্মীয় শিক্ষার বই সামনে রেখে সম্যক হলেও ইসলামের কিছু দিকনির্দেশনা তুলে ধরতেন। ইসলাম শিক্ষা বইয়ের মাধ্যমে ছাত্ররা অন্তত ইসলামের মৌলিক কিছু ধারণা লাভ করে।
প্রিয় নবীর (সঃ) মহান চরিত্র সম্পর্কে কিছু জানতে পারে। প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলোতেও যৎসামান্য ইসলামের শিক্ষা দেয়া হয়ে থাকে।
কিন্তু আপনি জানেন কি?
আগামী বছর থেকে আমাদের জাতীয় শিক্ষা সিলেবাসে ধর্মীয় শিক্ষা অন্তর্ভুক্ত নেই। নৈতিকতা শিক্ষার নামে কি শিক্ষা দেয়া হবে?এখনো জাতি অন্ধকারে।
স্কুলের সেই মহান মৌলবী স্যারদের হয়তো আর দেখা যাবেনা। এমন হতে বেশি দূরে নয়, একটি হাইস্কুলের হাজারো ছাত্রের মধ্যে দু-একজন ছাত্রও খুজে পাওয়া যাবেনা, যারা কালিমা জানে। প্রিয় নবীর (সঃ) নাম সুন্দর ভাবে বলতে পারে।
হেফাজতে ইসলামের দাবির পরিপেক্ষিতে চার বছর পুর্বে সরকার যখন বাংলা সাহিত্য বইয়ে ইসলামী
ভাবাপন্ন দুএকটি পাঠ সংযোজন করে নেয়।
আমরা তৃপ্তির ঢেকুর তুলে নিজেদের আঙ্গিনা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ি। ইসলাম বিদ্বেষীরা কিন্তু বসে নেই। হেফাজতে ইসলামের কার্যক্রম কোনঠাসা হয়ে যাওয়ার সুযোগে ওরা শিক্ষা সিলেবাস থেকে ইসলাম শিক্ষা বাদ দেয়ার মতো ঘৃণ্য কাজ করে নিতে সক্ষম হয়।
এছাড়া বাংলা পাঠ্য বইয়ে ইসলামী ভাবাপন্ন কয়েকটি পাঠ বাদ দিয়ে হিন্দুত্ববাদি কয়েকটি বিষয় সংযোজন করেছে, যা গতকাল জাতীয় সংসদে একজন সাংসদ সুস্পষ্টভাবে তুলে ধরেছেন।
কামাল আতার্তুকের তুরস্কের মতো একটি ধর্মহীন সেকুল্যার রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যে ওরা এগিয়ে যাচ্ছে।
ঐতিহ্যবাহী আদম শুমারী এখন জনশুমারী নামে অভিহিত করা হয়। হযরত আদম (আঃ) এর নাম ওদের বরদাশত হয়না।
ইসলাম শব্দে ওদের এলার্জি। ওরা এদেশ থেকে ইসলাম নির্মুলের অভিযানে নেমেছে। আর সে লক্ষ্যেই শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে ইসলামকে বাদ দেয়ার ষড়যন্ত্র শুরু করেছে।
এখনই পদক্ষেপ না নিলে পরিস্থিতি হবে ভয়াবহ। বন্যার ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠা সম্ভব। কিন্তু ঈমান বিধ্বংসী সে ভয়াবহ ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে ব্যর্থ হলে আমাদের ধ্বংস অনিবার্য। দেশ জাতি ও ইসলাম বিরুধী মহাদুর্যোগ কাটিয়ে উঠা সম্ভব নয়।
এমনি নাজুক মুহুর্তে আমাদের যা করা প্রয়োজন-
& গ্রামে গঞ্জে পাড়া মহল্লায় ব্যাপকহারে সাবাহী মক্তব প্রতিষ্ঠা করা।
& শহরাঞ্চলে বৈকালিক ইসলামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলা।
& ইসলামী ও আধুনিক শিক্ষার সমন্বয়ে স্কুল-কলেজ প্রতিষ্ঠা করা।
& শিক্ষা সিলেবাস থেকে ইসলাম শিক্ষা বাদ দেয়ার বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলা।
& সরকার দলীয় ইসলামী ভাবাপন্ন নেতাদের সাথে বিষয়টি নিয়ে মতবিনিময় করা।
& ধর্মপ্রাণ জনতার মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করা।