মোঃ আব্দুল বাতেন বাচ্চু
নিজস্ব প্রতিবেদক :
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার গোসিংগা ইউনিয়ন পরিষদের ৫নং ওয়ার্ডের মেম্বার (সদস্য) আসাদুজ্জামান সবুজকে জনতার সামনে লাথি মারার অভিযোগ উঠেছে গোসিংগা ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি রিপন সরকারের বিরুদ্ধে।বুধবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে গোসিংগা ইউনিয়নের নারায়ণপুর বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
ইউপি মেম্বার আসাদুজ্জামান সবুজ জানান, গত ৫ বছর ধরে স্থানীয় মল্লিকা নামের এক নারীর সাথে ওয়ারিশ নিয়ে চাচাতো ভাই আতাউর রহমান নামের এক লোকের দ্বন্দ্ব রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আগের মেম্বার দীর্ঘদিন চেষ্টা করেছে। আমি নতুন করে দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই ওই ঘটনা পুরোপুরি না জানার কারনে এ নিয়ে বসতে সময় লাগছে। এছাড়াও কিছুদিন আগে ওই নারীকে মারধর করায় আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগীতা চাওয়া হয়। কিন্তু ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি রিপন সরকার ওই বিষয়ে ফয়সালা দেওয়ার জন্য আমাকে চাপ দিতে থাকে। উনার বাড়ির পাশের ঘটনা থাকায় বিষয়টি তাঁকেই সমাধানের জন্য আমি অনুরোধ করি। এ নিয়ে বুধবার বিকেলে রিপন সরকারের সাথে আমার সবশেষ কথা হয়। রাতে নারায়ণপুর বাজারে আমার ব্যক্তিগত অফিস থেকে রিপন তাঁর লোকজন দিয়ে টেনে মান্নান মেম্বারের রুমের দিকে নিয়ে যায়। সেখানে কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই রিপন সরকার আমাকে লাথি মেরে ফেলে দেয়। এরপর তাঁর সাথে থাকা লোকজন আমাকে এলোপাতাড়ি কিল ঘুষি মারতে থাকে। পরে স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে।
লাথি মারার বিষয়টি অস্বীকার করে গোসিংগা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি রিপন সরকার বলেন, বারবার বলার পরও ওই ঘটনার সালিশ করেনি ইউপি মেম্বার আসাদুজ্জামান সবুজ। গতকাল ওই বিষয়ে জিজ্ঞেস করতেই তিনি আওয়ামীলীগ দল সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করে। পরে রাতে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তাঁকে ওই মন্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে তাদের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা হলে আমি মেম্বারকে সে স্থান থেকে সরিয়ে নিতে এগিয়ে যাই। সামান্য বিষয়টি একটি মহল বড় করে আমার মানহানি করছে।
এ বিষয়ে গোসিংগা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছাইদুর রহমান শাহীন মোড়ল জানান, বিষয়টি উভয়ের সাথে বসে কথা বলে প্রকৃত অর্থে কি হয়েছিল তা পরে জানাতে পারবো। তবে, একজন ইউপি মেম্বারকে মারধর করা অবশ্যই ন্যাক্কারজনক ঘটনা।
এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডঃ হারুন উর রশিদ বলেন, ইউপি মেম্বারকে মারধরের ঘটনায় আমাদেরকে কেউ অবগত করেনি। বিষয়টি জেনে অপরাধ প্রমানিত হলে সাংগঠনিক ভাবে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান বলেন, এ বিষয়ে কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযোগ দিলে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ তরিকুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্তের পর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।