ভালুকায় ইউপি সদস্যের উপর হামলায় থানায় অভিযোগ এবং আটক ১
ময়মনসিংহের ভালুকা প্রতিনিধিঃ- ভালুকায় ইউপি সদস্যের উপর হামলায় থানায় অভিযোগ ও আটক ১।ভালুকা উপজেলার ৮নং ডাকাতিয়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম উপর হামলার ঘটনা ঘটে।থানায় অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,একই এলাকার এ.কে এম হামিদুর রহমান (৫০) এবং মোঃ বাদন মিয়া (২২) ঘটনাটি ঘটায়।ইউপি সদস্যের সাথে বিভিন্ন বিষয়ে পূর্ব বিরোধ ও শত্রুতা চলমান।ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম জানান,১৫ই জুলাই বিকাল অনুমানিক ৫.৩০ এর দিকে পাঁচগাঁও দক্ষিনপাড়া বিল্লালের চৌরাস্তায় সুর্য্যত আলীর চা’র দোকানের সামনে বসে ছিলাম।এমন সময় এ.কে এম হামিদুর রহমান এবং মোঃ বাদন মিয়া সহ আরো অজ্ঞাত নামা ৪/৫ জনকে সাথে নিয়ে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে আমাকে খুন করার উদ্দেশ্যে ঘেরাও করে ফেলে এবং আমাকে এলোপাথারি মারপিট করলে আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে বেদনা দায়ক জখম করে।একপর্যায়ে ১নং বিবাদী পাঞ্জাবির পকেট হইতে ধারালো খুর বের করে আমাকে খুন করার উদ্দেশ্যে আমার গলা বরাবর পুচ মারলে আমি হাত দিয়ে ফিরাইতে গেলে আমার বাম হাতের কনুর নিচে লাগিয়া মারাত্নক ভাবে কেটে রক্তাক্ত গুরুতর জখম করে।পরবর্তীতে ১নং বিবাদী আমার কমড়ের বাম পাশে খুর দিয়ে পুচ মেরে কেটে রক্তাক্ত জখম করে।তখন আমার ডাক চিৎকারে আশ পাশের লোক জন এসে এ.কে এম হামিদুর রহমানকে ধারালো খুর সহ হাতে নাতে আটক করে ভালুকা থানায় সংবাদ দিলে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ধারালো খুরটি জব্দ করে তাকে থানায় নিয়ে যায়।স্থানীয় লোকজন আমাকে আশংকা জনক অবস্থায় উদ্ধার করে ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।এ ঘটনার স্থানীয় অনেক সাক্ষী পাওয়া যাবে।বর্তমানে আমি ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছি।ইউপি সদস্যের পরিবার সূত্রে জানাযায়,এই বিষয়ে তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা এবং সঠিক বিচার ও শাস্তি দাবি করেছেন।আহত ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলামকে স্থানীয় এমপি কাজিম উদ্দিন ধনু,উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ,ইউনিয়ন চেয়ারম্যান হারুন রশীদ সহ আরো অনেকে হাসপাতালে দেখতে যান।