শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি:
হাসপাতালে মরদেহ রেখে পালিয়েছেন স্বামীসহ স্বজনেরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
গাজীপুরের শ্রীপুরে বিয়ের তিন মাসের মাথায় স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। আত্মহত্যার কথা বলে হাসপাতালে মরদেহ ফেলে স্বামীসহ স্বজনেরা পালিয়েছেন বলে অভিযোগ মৃত গৃহবধূর পরিবারের। আজ শনিবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
মৃত নারী নাম আফরিনা সুলতানা (১৮)। তিনি নেত্রকোনা জেলার সদর উপজেলার ঠাকুরকোনা গ্রামের মৃত রহমত আলীর মেয়ে। তিনি নোমান গ্রুপের একটি প্রতিষ্ঠানে শ্রমিকের কাজ করতেন।
অন্যদিকে অভিযুক্ত স্বামী শাহীন আলম নেত্রকোনা জেলার আটপাড়া উপজেলার কামতলা গ্রামের গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে। সে শ্রীপুর উপজেলায় মেঘনা গ্রুপের একটি প্রতিষ্ঠানে শ্রমিকের কাজ করেন।
নিহতের নারীর বড় ভাই খায়রুল ইসলাম বলেন, ফোনে খবর পেয়ে বোনের ভাড়া বাসায় গিয়ে কাউকে পায়নি। এরপর দৌড়ে হাসপাতালে গিয়ে দেখি বোনের মরদেহ ফেলে রেখে পালিয়ে গেছে তাঁর স্বামী।
তিনি আরও জানান, বিয়ের এক সপ্তাহ পর থেকে স্বামীসহ সবাই তার বোনের সঙ্গে ঝগড়া বিবাদ করতেন। পারিবারিক কলহের জেরে তাঁর বোনকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার পর হাসপাতালে মরদেহ রেখে পালিয়ে গেছে।
শ্রীপুর জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. আসমাউল হুসনা বলেন, কয়েকজন অজ্ঞান নামা লোকজন ওই নারীর মরদেহ রেখে পালিয়ে যান। ওই নারীকে হাসপাতালে নিয়ে আসার পূর্বেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার পরপরই পুলিশে খবর দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বলেন, হাসপাতাল থেকে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজ উদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর নিশ্চিত করে বলা যাবে এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, পরিবার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত শাহীনের মা নুরুন্নাহারকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।