ভোলা জেলা প্রতিনিধি:
ভোলায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নুরে আলম মারা গেছেন। আজ বুধবার বেলা সাড়ে ৩টায় রাজধানীর গ্রিন রোডের কমফোর্ট হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
ভোলা জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম নবী আলমগীর ছাত্রদলের নেতার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘ছাত্রদল নেতা নুরে আলমের মরদেহ বুধবার রাতের মধ্যেই ঢাকা থেকে ভোলায় আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। রাতে ভোলা আনা হলে বৃহস্পতিবার সকালে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জানা গেছে, নুরে আলমের বাড়ি ভোলা পৌরসভার চরনোয়াবাদ এলাকায়। তিনি এক সন্তানের জনক।
এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে ভোলা সদর মডেল থানার ওসি মো. এনায়েত হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভোলা জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নুরে আলমের মৃত্যুর খবরটি আমরা জানতে পেরেছি।’
ভোলার পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘মৃত্যুর খবর আমরা শুনেছি। তবে, যেহেতু এটা আইনি প্রক্রিয়াধীন। তাই, সব প্রক্রিয়া ঢাকাতেই হবে।’
প্রসঙ্গত, গত রোববার সকালে বিদ্যুতের লোডশেডিং ও জ্বালানি খাতের অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচি পালনের সময় ভোলায় বিএনপির বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশ বাধা দিলে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ লাঠিপেটা, টিয়ার শেল নিক্ষেপ ও শটগানের গুলি ছোড়ে। বিএনপির অভিযোগ, পুলিশের ছোড়া গুলিতে তাদের দলের বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী আহত হন। এঁদের মধ্যে ওই দিনই স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা মো. আবদুর রহিম (৪০) নিহত হন। আহত হন আরও শতাধিক নেতা-কর্মী। তাঁদের মধ্যে গুরুতর আহত ও আশঙ্কাজনক অবস্থায় ছাত্রদলের নেতা নুরে আলমসহ কয়েকজনকে ঢাকা ও বরিশালের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বিএনপির নেতারা জানান, ছাত্রদলের নেতা নুরে আলমকে গত রোববার ভোলা থেকে ঢাকায় আনতে সন্ধ্যা হয়ে যায়। ওই রাতেই তাঁকে রাজধানীর শ্যামলীতে নিউরো সায়েন্স হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে আইসিইউ না থাকায় সঙ্গে সঙ্গে কমফোর্ট হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসকেরা তাঁকে সরাসরি আইসিইউতে নিয়ে যান। বুধবার বেলা সাড়ে ৩টায় নুরে আলম সেখানেই মারা যান।
এ ঘটনায় ভোলা পুলিশের পক্ষ থেকে দুইটি মামলা করা হয়েছে। ওই দুই মামলায় ভোলা জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম নবী আলমগীর ও সাধারণ সম্পাদক হারুন উর রশিদ ট্রুম্যানসহ বিএনপির ৪ শতাধিক নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়েছে।