স্টাফ রিপোর্টারঃ
ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলা পাগলা থানা মশাখালী গ্রামের সাবেক প্রেমিকার ডাকে সাড়া দিয়ে দেখা করার সময় প্রেমিক হুমায়ুন কবির (৩৫) বিশেষ অঙ্গ কেটে দিয়েছেন প্রেমিকা ফাহমিদা আক্তার লিটা (৩৩)।
হুমায়ুন পাগলা থানা মশাখালী গ্রামের আঃ গণি’র ছেলে। হুমায়ুনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে থানা এলাকার খারুয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পাগলা থানায় হুমায়ুনের বড়ো ভাই শাহজাহান বাদী হয়ে ফাহমিদা আক্তার লিটা এবং দুই তিনজনকে অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। পাগলা থানা পুলিশ অভিযোগ আমলে নিয়ে ফাহমিদা আক্তার লিটা সহ অজ্ঞাত আরো দুই তিনজনের নামে মামলা রুজু করেন। মামলা নং ০৪ তাং ০৪/১১/২০২২ইং ধারাঃ ৩৪১/৩২৬/৩০৭/৩৪/C রজু করা হয় বলে জানা যায়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হুমায়ুনের সঙ্গে একই থানা এলাকার খারুয়া গ্রামের মোস্তফা আলীর মেয়ে লিটার পূর্বে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তারা সম্পর্কে প্রতিবেশি। সম্প্রতি হুমায়ুন পারিবারিকভাবে অন্যত্র বিয়ে করেন এবং একটি ছেলে সন্তান আছে। লিটা’র অনত্র বিয়ে হয় কিন্তু বিয়েটা বেশিদিন টিকে নেই। লিটা স্বামী কতৃক তালাক প্রাপ্ত হয়। এতে মনে ক্ষোভ জন্ম নেয় প্রেমিকা লিটার। লিটা মশাখালী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্কুল শিক্ষিকা ও তার বড়ো ভাই সালাউদ্দিন পলাশ গফরগাঁও উপজেলা আওয়ামীলীগয়ের সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা যুবলীগ এর আহবায়ক বলে জানা যায়।
মঙ্গলবার রাতে লিটা তার সাবেক প্রেমিক হুমায়ুনকে ডেকে নিজ বাড়িতে নিয়ে যায়। একপর্যায়ে তার সঙ্গে জোরপূর্বক মেলামেশা করতে চাই। হুমায়ুন তাতে রাজি না হওয়ায় ধারালো ব্লেড দিয়ে আকস্মিক হুমায়ুনের বিশেষ অঙ্গ কেটে দেয়। এ সময় হুমায়ুন চিৎকার শুরু করলে বাড়ির লোকজন তাকে উদ্ধার করে প্রথমে গফরগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরে অবস্থা গুরুতর হওয়ায় রাতেই তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
পাগলা থানার ওসি রাশেদুজ্জামান রাশেদ বলেন, এ ঘটনায় আহত হুমায়ুনের বড়ো ভাই শাহজাহান বাদী হয়ে মাহমুদা আক্তার লিটা এবং অজ্ঞাতনামা আরও দুই তিনজনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ তদন্ত পূর্বক আসামি গ্রেফতারের জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে বলে জানায়।