শ্রীপুরে শৌচাগার থেকে অজ্ঞাত শিশুর মরদেহ উদ্ধার
মোঃ আব্দুল বাতেন বাচ্চু।
গাজীপুরের শ্রীপুরে একটি বসতবাড়ির শৌচাগার থেকে অজ্ঞাতনামা এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশের ধারণা—শিশুটিকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর তাঁর মরদেহ শৌচাগারের ভেতর রাখা হয়েছে। শিশুটির গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
গত রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শ্রীপুর পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বেড়াইদেরচালা গ্রামের জনৈক মনিরুজ্জামান শীতলের বাড়ির শৌচাগার থেকে ওই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে শ্রীপুর থানা–পুলিশ।
স্থানীয় সাকিব এফ এম কম্পিউটারের মালিক সাকিব মিয়া বলেন, ‘সকাল সাড়ে ১১টার দিকে প্রস্রাব করতে গিয়ে শৌচাগারের দরজা খুলে শিশুর মরদেহ দেখতে পাই। তখন দৌড়ে এসে আশপাশের মানুষকে জানাই। এ সময় ভয়ে আমি আতঙ্কিত হয়ে পড়ি।’
ব্যাচেলর মেস ম্যানেজার মাহবুব হোসেন সাগর বলেন, ‘আমি সকাল সাড়ে ১১টার দিকে বাড়ির মালিকের ছেলের জন্য চা নিয়ে যাচ্ছিলাম। এ সময় কম্পিউটার দোকানি প্রস্রাব করতে এসে শৌচাগারে শিশুর মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে আমাকে জানায়। এরপর আমি বাসার মালিকের ছেলে শাকিলকে চা দিয়ে দৌড়ে এসে শৌচাগারে সামনে এসে মরদেহ দেখতে পেয়ে, বাড়ির মালিকের ছেলেকে জানাই।’
এক বছর যাবৎ ওই বাসার ভাড়াটিয়া পোশাক কারখানার শ্রমিক সুলতান মিয়া বলেন, ‘আমি সকাল আটটার দিকে কাজে যাই, রাতে ফিরি। বাসার মেইন গেট খোলা থাকে। যে কেউ এ ধরনের অপরাধ করে চলে যেতে পারে।’
এ বাড়ির মালিক মনিরুজ্জামান শীতলের ছেলে শাকিল মিয়া বলেন, ‘বাড়িটি দীর্ঘ ১৮ বছর যাবৎ ব্যাচেলর মেস হিসেবে পরিচালনা হয়ে আসছে। বাড়িতে মোট ২০টি রুমে ৮০ জন বিভিন্ন কারখানার শ্রমিক থাকে। গত (রিববার) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে স্থানীয় একটি কম্পিউটার দোকানি টয়লেট করতে এসে, শিশুর মরদেহ দেখতে পায়। এরপর পুলিশে খবর দেওয়া হয়েছে। কীভাবে করে, কে বা কারা শিশুটিকে হত্যা করেছে, এ বিষয়ে বলতে পারব না।’
এ ঘটনায় শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আমজাদ হোসেন বলেন, ‘শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ বিষয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশের কয়েকটি টিম ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনে কাজ করছে। শিশুর নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে শিশুকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।