সাইফুল ইসলাম, স্টাফ রিপোর্টারঃ
জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি জানিয়েছেন গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার ২নং গাজীপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি,তরুণ রাজনৈতিক নেতা, শিক্ষানুরাগী,বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক,ইকবাল হোসেন সবুজ ভাইয়ের আস্থাভাজন, স্বচ্ছ রাজনৈতিক নেতা, মোঃহারুন অর রশিদ বাবুল।
তরুন এই রাজনৈতিক নেতা হারুন অর রশিদ বাবুল দেশ টিভি বাংলা কে একান্ত স্বাক্ষাতকারে বলেন,স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস (১০ জানুয়ারি)। ১৯৭২ সালের এই দিনে বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের বন্দিদশা থেকে মুক্তি পেয়ে রক্তস্নাত স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের মাটিতে পা রাখেন।স্বাধীন বাংলাদেশে মহান এই নেতার প্রত্যাবর্তনে স্বাধীনতা সংগ্রামের বিজয় পূর্ণতা পায়। স্বয়ং বঙ্গবন্ধু তার এই স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে ‘অন্ধকার হতে আলোর পথে যাত্রা’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি হানাদাররা বাঙালির অবিসংবাদী নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে তার ধানমন্ডির বাসা থেকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। তাকে পাকিস্তানের কারাগারে বন্দী করা হয়। বাঙালি যখন স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করছে, বঙ্গবন্ধু তখন পাকিস্তানের কারাগারে প্রহসনের বিচারে ফাঁসির আসামি হিসেবে মৃত্যুর প্রহর গুনছিলেন। একাত্তরের (১৬ ডিসেম্বর) বাঙালিদের চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হওয়ার পর বিশ্বনেতারা বঙ্গবন্ধুর মুক্তির দাবিতে সোচ্চার হয়ে উঠে। আন্তর্জাতিক চাপে পরাজিত পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী শেষ পর্যন্ত বন্দিদশা থেকে বঙ্গবন্ধুকে সসম্মানে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়।
আর সেই থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও অন্যান্য অঙ্গ সংগঠন এই দিনটিকে ঘিরে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করে আসছে।
জাতির জনক পাকিস্তান থেকে ছাড়া পান ১৯৭২ সালের (৮ জানুয়ারি)। এদিন বঙ্গবন্ধু ও ড. কামাল হোসেনকে বিমানে তুলে দেয়া হয়। সকাল সাড়ে ৬টায় তারা পৌঁছান লন্ডনের হিথরো বিমানবন্দরে। বেলা ১০টার পর থেকে তিনি ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী এডওয়ার্ড হিথ, তাজউদ্দিন আহমদ ও ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীসহ অনেকের সঙ্গে কথা বলেন। পরে ব্রিটেনের বিমান বাহিনীর একটি বিমানে তিনি পরের দিন (৯ই জানুয়ারি) দেশের পথে যাত্রা করেন।
(১০ই জানুয়ারি)১৯৭২সালে সকালেই তিনি নামেন দিল্লিতে। সদ্যস্বাধীন বাংলাদেশের জনক শেখ মুজিবুর রহমান সেখানে ভারতের রাষ্ট্রপতি ভিভি গিরি, প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী, সমগ্র মন্ত্রিসভা, নেতৃবৃন্দ, তিন বাহিনীর প্রধান এবং অন্যান্য অতিথি ও সেদেশের জনগণের কাছ থেকে উষ্ণ সংবর্ধনা লাভ করেন।
বঙ্গবন্ধু ভারতের নেতৃবৃন্দ এবং জনগণের কাছে তাদের অকৃপণ সাহায্যের জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানান।এবং বঙ্গবন্ধু ঢাকা এসে পৌঁছেন ১৯৭২সালের ১০ইং জানুয়ারী বেলা ১টা ৪১মিনিটে।
প্রবাসী অস্থায়ী আওয়ামী লীগ সরকার ঢাকায় ফিরে সরকার পরিচালনার দায়িত্বভার গ্রহণ করেছিল। পরে, ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীন দেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবে বাংলাদেশের মাটিতে প্রত্যাবর্তন করেন।আর সেই থেকে এই দিনটি স্বদেশ প্রত্যাবতন দিবস হিসেবে পালন করা হয়।
পরিশেষে হারুন অর রশিদ বাবুল বলেন, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, সোনার বাংলার রূপকার,স্বাধীনতার ঘোষক, শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি ও ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার, বঙ্গবন্ধু কন্যা, রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা সহ বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সফলতা কামনা করেন।