মো: আব্দুল বাতেন বাচ্চু,
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার ৬নং বরমী ইউনিয়নে নিজ ঘরে জানালার গ্রিলের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় হাকিম ফকির (৬৫) নামে এক বৃদ্ধের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে শ্রীপুর থানা পুলিশ। জানালার সঙ্গে ফাঁস লাগানো লাশটি খাটে একটি বালিশের ওপর হাঁটু গেড়ে বসা। ছেলের দাবি, তার বাবাকে হত্যার পর জানালার গ্রিলের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল ২০২৩ইং) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার বরমী ইউনিয়নের তাঁতি সুতা গ্রামের ফকির পাড়ার নিজ ঘর থেকে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত হাকিম ফকির (৬৫) উপজেলার তাঁতি সুতা গ্রামের মৃত সুবেদ আলীর ছেলে।
নিহতের স্বজনদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, প্রথম স্ত্রী মারা গেলে দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে থাকতেন হাকিম ফকির। পারিবারিক নানা বিষয় নিয়ে হাকিম বেশ কিছুদিন ধরে মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন। গত রাতে স্ত্রীর সঙ্গে একই রুমে ঘুমিয়েছিলেন তিনি। সকালে ঘুম থেকে উঠে ঝুলন্ত অবস্থায় তার লাশ দেখতে পান স্ত্রী। লাশটি ঘরের খাটের পাশে জানালার গ্রিলে ঝুলানো অবস্থায় ছিল। পরে স্থানীয়দের মাধ্যমে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে।
নিহতের প্রথম স্ত্রীর ছেলে আরিফ ফকির বলেন, ‘আমার ওই ঘরের ভাই মাদকাসক্ত। সে টাকার জন্য বাবাকে মারধর করতো। বাবা আমাকে ফোন করে প্রায় সময় বলতেন। আমি বলতাম, সামনে বাড়িতে এসে আপনাকে আমাদের বাড়িতে নিয়ে আসবো। আজকে বাবা নেই। তারা বাবাকে মেরে ফেলেছে। তিনি আরও বলেন, বিছানায় হাঁটু ঝুলিয়ে বসা অবস্থায় একজন মানুষ কীভাবে আত্মহত্যা করে। তাই, বাবার মৃত্যুর রহস্য উদ্ঘাটনের দাবি করছি।
নিহতের মেয়ের জামাই ইব্রাহিম মিয়া বলেন, আমার শ্বশুর পূর্বে মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন এমন কোনো কথা আমি শুনিনি কিংবা দেখিনি৷ আমি মাঝেমধ্যে শ্বশুর বাড়িতে আসতাম। জমি জমা নিয়ে কিছু ভাগ করে দিয়েছে বাকিটা শ্বশুরের নিজের নামে রেখে দেন। এ নিয়ে কোনো সমস্যা আছে নাকি তা আমার জানা নেই। নিহতের দ্বিতীয় স্ত্রীর ঘরের এক ছেলে মাদকাসক্ত। সে বিভিন্ন সময় যন্ত্রণা করতো বলে আমাদের জানাতেন শ্বশুর।
এবিষয়ে শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম নাসিম জানান, ঝুলন্ত লাশের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লাশের ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।