নিজস্ব প্রতিবেদক :
শ্রীপুরে ছাত্রীকে কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগে স্কুলশিক্ষক বরখাস্ত
গাজীপুরের শ্রীপুরে শিক্ষার্থীদের কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগে একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করেছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর অভিভাবকের দেওয়া এক অভিযোগের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
আজ বৃহস্পতিবার উপজেলার ২নং গাজীপুর ইউনিয়নের নিজমাওনা উচ্চ বিদ্যালয়ে পরিচালনা পর্ষদের মিটিং শেষে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক মো. জাহাঙ্গীর আলম।
প্রধান শিক্ষক মো. জাহাঙ্গীর আলম দেশ টিভি বাংলা কে বলেন, ‘বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক ছাত্রীকে প্রাইভেট পড়ানোর সময় প্রতিনিয়ত কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন অভিযুক্ত শিক্ষক রুহুল আমিন। এর পরই বিষয়টি সঠিক তদন্তের জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটি ঘটনার সত্যতা পেয়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। এরপর বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের মিটিং শেষে ওই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করে চিঠি দেওয়া হয়েছে।’
সাময়িক বরখাস্ত হয়েছেন নিজমাওনা উচ্চ বিদ্যালয়ের ল্যাব সহকারী শিক্ষক রুহুল আমিন। তিনি উপজেলার নিজমাওনা গ্রামের বাসিন্দা।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বাবা দেশ টিভি বাংলা কে বলেন, ‘অভিযুক্ত শিক্ষক রুহুল আমিন আমার মেয়েকে প্রাইভেট পড়ানোর সময় কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। বিষয়টি আমার মেয়ে আমার স্ত্রীকে জানায়। এর পরও আমার মেয়েকে বুঝিয়ে পুনরায় প্রাইভেট পড়তে পাঠাই। কিন্তু ওই শিক্ষক তাঁর অবস্থান পরিবর্তন না করে পূর্বের আচার-আচরণ করতে থাকে। এরপর বিষয়টি আমাকে জানালে গত ২৫ মার্চ নিজমাওনা উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করি।’
ওই শিক্ষার্থীর বাবা আরও বলেন, ‘শুধু আমার মেয়ের সঙ্গে নয়, ওই শিক্ষক অনেক ছাত্রীর সঙ্গে এ রকম খারাপ আচার-আচরণ করত।’
নিজমাওনা উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মো. মানিক মিয়া দেশ টিভি বাংলা কে বলেন, ‘শিক্ষকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পরপরই তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটিতে নিজমাওনা উচ্চ বিদ্যালয়ের একজন অভিভাবক সদস্য, একজন শিক্ষক প্রতিনিধি ও পার্শ্ববর্তী গাজীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের একজন সিনিয়র শিক্ষক ছিলেন। এরপর দীর্ঘ তদন্ত শেষে তাঁরা অভিযোগের সত্যতা পেয়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন। তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ওই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
বরখাস্ত হওয়া শিক্ষক মো: রুহুল আমিন কে মোঠো ফোনে কল করে কোন যোগাযোগ করা যায়নি।