-
- জাতীয়, সারা দেশ
- কুষ্টিয়ার দৌলতপুর ৭ দিনে ৪ জন খুন।
- আপডেট টাইম : মে, ৩, ২০২৩, ১০:০৪ পূর্বাহ্ণ
- 153 বার পঠিত
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর ৭ দিনে ৪ জন খুন।
ইশতিয়া আহম্মেদ কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধিঃ
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের পদ্মারচর থেকে মারুফ হোসেন (৩৮) নামে এক যুবকের গলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের বৈরাগীরচরের নীচে পদ্মা নদী থেকে ওই যুবকের গলিত লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত যুবক দৌলতপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের চককৃষ্ণপুর গ্রামের হাজী আসালত মন্ডলের ছেলে মারুফ। গত ২৪ এপ্রিল থেকে নিখোঁজ ছিল।আজ(০২ এপ্রিল) বিকেলে স্থানীয় ছেলেরা পদ্মার বালুচরে খেলতে গিয়ে ওই যুবকের পুঁতে রাখা হাত ও মাথার অংশ দেখতে পাই পরে এলাকাবাসীকে জানায়। এলাকাবাসী দৌলতপুর থানা পুলিশকে খবর দিলে পলিশ। এসে ঘটনাস্থল থেকে নিহত যুবকের গলিত লাশ উদ্ধার করলে পরিবারের লোকজন পোশাক ও মাথা দেখে নিশ্চিত করে এটায় মারুফ হোসেনের লাশ। মারুফ হোসেনকে অপহরন করে হত্যা শেষে পদ্মার বালুচরে পুঁতে রাখা হয়েছে। পুলিশ নিহত যুবকের গলিত লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের মর্গে প্রেরণ করেছে।নিহতের পরিবারের দাবি গত ২৪/০৪/২০২৩ ইং তারিখ, একই গ্রামের মোঃ রুবেল পিতা মোঃ আজাদ ও মিতুল পিতা মোঃআলআমিন মারুফ কে বাড়ি থেকে বেড়ানোর উদ্দেশ্যে ডেকে নিয়ে যান এরপরে একদিন পার হয়েগেলে মারুফ বাড়িতে না আসলে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও কোন সন্ধান না পাওয়ায় থানা একটা ডায়েরী করা হয়। আর আজ মাটির নেচে থেকে অর্ধ গলিত লাশ পাই। আমরা এই হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের শাস্তি চাই। এদিকে (২মে)মঙ্গলবার সকাল১০টার দিকে দৌলতপুর উপজেলার কল্যাণপুর হোগলবাড়ীয়া ইউনিয়নেরশাহাপুর গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে, জাকির মোল্লা(৪৫) নামে একজন কে ধারালো অস্ত্র দিয়ে প্রকাশ্য দিবালকে কুপিয়ে হত্যা করেছে একই গ্রামের আবু মন্ডলের লোকজন । এছাড়াও গত(২৭এপ্রিল)দৌলতপুর উপজেলার চিলমারী ইউনিয়নের একইভাবে জমি সংক্রান্ত বিরোধে জেরে শিকদার ও মন্ডলে মধ্যে সংঘর্ষের কারণে ৩৫ জন বিভিন্ন মেডিকেলে ভর্তিরত অবস্থায় গত ৩০ এপ্রিল ২ জন মৃত্যুবরণ করেন এনিয়ে ৭দিনের ব্যবধানে দৌলতপুর উপজেলায় ৪ জন মৃত্যুবরণ করেন। এছাড়াও বেশ কিছু জনগণ আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন বেশ কিছু ঘরবারে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে তারা এখন নিঃস্ব অবস্থায়। এসব নিয়ে দৌলতপুর এখন আতঙ্ক বিরাজমান সাধারণ জনগণ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। ২০০১ সালের পরে এই প্রথম এমন নরকীয় ঘটনা ঘটছে দৌলতপুর।না জানি আর কত সাধারন জনগণের লাশ দেখতে হবে দৌলতপুরবাসীকে।।
এই ক্যাটাগরীর আরো খবর
- জুলাই-আগস্ট হত্যা মামলায় কাউন্সিলর মামুন মণ্ডল গ্রেফতার
- নওগাঁয় বিএমএসএফ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে ফুলের শুভেচ্ছা
- সাবেক প্রেমিকের ছুরিকাঘাতে বর্তমান প্রেমিকের মৃত্যু
- ছাত্রীকে ইভটিজিং করায় যুবকের কারাদণ্ড
- জমে উঠেছে কালীগঞ্জে ঐতিহ্যবাহী ‘জামাই মেলা
- শ্রীপুরের ড্রাম ট্রাক চাপায় নিহত -১
- সাংবাদিকদের অধিকার কেবল রাষ্ট্রই নিশ্চিত করতে পারে: বিএমএসএফ খুলনা প্রতিনিধি : সাংবাদিকদের অধিকার কেবল রাষ্ট্রই নিশ্চিত করতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান আহমেদ আবু জাফর। শনিবার ১১ জানুয়ারী বিকালে খুলনা মহানগরীর বয়রায় একটি রেষ্টুরেন্টে অনুষ্ঠিত আন্ত: জেলা বৈঠকে তিনি একথা বলেন। তিনি বলেন, গণমাধ্যম শিল্প রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। আর এ শিল্পের সাথে জড়িত সাংবাদিকদের ভালো-মন্দ রাষ্ট্রেরই দেখা উচিত। কিন্তু দেশ গঠনের ৫৪ বছর পার হলেও সাংবাদিকরা যেই তিমিরে ছিলো সেই তিমিরে রয়ে গেছে। তাদের ভাগ্যোন্নয়ন ঘটেনি বরং জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিটি মুহূর্ত তারা দেশ, সমাজ ও রাষ্ট্রের পক্ষে কাজ করে চলছে। রাষ্ট্রযন্ত্র তাঁদের কথা ভাবছেনা। নিউনেশনের প্রবীন সাংবাদিক ইকরামুল কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক সৈয়দ খায়রুল আলম, বাগেরহাট প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও বিএমএসএফের জেলা শাখার সম্পাদক মো: কামরুজ্জামান, কেন্দ্রীয় নেতা মাহবুবুর রহমান মুরাদ, কেন্দ্রীয় নেতা শাহাদাত হোসেন শাওন, কেন্দ্রীয় নেতা রহিম রানা, বাংলাদেশ বেতারের ইফফাত সানিয়া ন্যান্সি, বার্তা বাজারের খুলনা প্রধান আল মাসুম খান, নিজাম উদ্দিন স্বাধীন প্রমূখ। বৈঠকে প্রস্তাব সমর্থনের মাধ্যমে ২১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি খুলনা জেলা শাখার কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে বাংলাদেশ বেতারের ইফফাত সানিয়া ন্যান্সিকে আহবায়ক, বাতর্তা বাজারের আল মাসুম খানকে সদস্য সচিব করা হয়েছে। বৈঠকে নেতৃবৃন্দ বলেন, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম সাংবাদিকদের কল্যাণে, অধিকার এবং মর্যাদা প্রতিষ্ঠার চৌদ্দ দফা দাবি নিয়ে কাজ করছে। বিএমএসএফের দীর্ঘ এক যুগের পথচলা ছিলো ঐতিহ্য, সংগ্রামের এবং দাবি আদায়ে কাজ করা অনেকটা সফল হয়েছে। বিশেষ করে সাংবাদিক নির্যাতনের বিরুদ্ধে আমরা সোচ্চার থাকার চেষ্টা করছি। বিএমএসএফ মাঠের সাংবাদিকদের সঙ্গে নিয়ে ১৪ দফা দাবি আদায়ে জেলা-উপজেলা ও কেন্দ্রে নানা ধরনের সভা, প্রতিবাদ সভা, সমাবেশ ও প্রতিবাদ সমাবেশ, চা-চক্র, ভার্চুয়াল সভা, সেমিনার, প্রশিক্ষণ, বিজয় শোভাযাত্রা ও বাৎসরিক মিলনমেলা আয়োজন, জাতীয় গণমাধ্যম সপ্তাহ উদযাপন , সাংবাদিকদের মূখপত্র মিডিয়া ক্যানভাস ম্যাগাজিন প্রকাশ, জার্নালিস্ট শেল্টার হোম, সাংবাদিক নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটি, বাংলাদেশ গঠন করে নানা ভাবে পাশে থেকে সমন্বয়, প্রতিবাদে কাজ করার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। ১০-১১-১২ জানুয়ারী খুলনা বিভাগের আওতায় ১০টি জেলায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আন্ত:বৈঠকের মাধ্যমে বিভাগীয় কমিটি গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। আগামীকাল বিকেলে কুষ্টিয়ায় বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
- ডিএমপির জ্যাকেটসহ পুলিশের ভুয়া সদস্য আটক
- গার্মেন্ট শ্রমিককে নির্যাতন, মুক্তিপণ চেয়ে ধর্মবোনকে ডেকে নিয়ে গণধর্ষণ
- গোমস্তাপুরে নার্সের অবহেলায়া শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ, তিন নার্স সাময়িক বরখাস্ত