মো: আব্দুল বাতেন বাচ্চু,
শ্রীপুরে ডার্ড কম্পোজিট টেক্সটাইল কারখানার সামনে পুলিশের সতর্ক অবস্থান।
গাজীপুরের শ্রীপুরে শিল্প পুলিশের গাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনায় সাতজনকে আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় শ্রীপুর থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এদিকে গত (সোমবার) থেকে বৃহস্পতিবার (১৮ মে) পর্যন্ত কারখানা বন্ধ ঘোষণা করে নোটিশ টানিয়ে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। কারখানার মূল ফটক, প্রবেশদ্বার ও আশপাশের দেয়ালের অন্তত সাতটি স্থানে বন্ধের এ নোটিশ লাগানো হয়।
এতে বলা হয়েছে–অনিবার্য কারণবশত কারখানার সব কার্যক্রম বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ ধারা ১২ (১) অনুযায়ী ১৫ মে থেকে ১৮ মে পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। নোটিশটিতে স্বাক্ষর করেন কারখানার এইচ আর (অ্যাডমিন অ্যান্ড কমপ্লায়েন্স) এর মহাব্যবস্থাপক শেখ আরিফ আহমেদ।
এর আগে গত শনিবার ডার্ড কম্পোজিট টেক্সটাইল কারখানার শ্রমিকেরা বকেয়া বেতন-ভাতার দাবিতে আন্দোলন শুরু করে। মালিকপক্ষের আশ্বাসে প্রথম দিন আন্দোলন স্থগিত করে তারা। পরদিন রোববার মালিকপক্ষের সঙ্গে শ্রমিকদের বৈঠক হওয়ার কথা। যথাসময়ে বৈঠক না হওয়ায় আবার আন্দোলন শুরু করে শ্রমিকেরা।
শ্রীপুরে শ্রমিকদের ওপর লাঠিপেটা-টিয়ার শেল, পুলিশের গাড়িতে আগুন
পরে বিকেলের দিকে বৈঠক হলেও কোনো সমাধানে না আসায় ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন শ্রমিকেরা। একপর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ান তাঁরা। এ সময় শিল্প পুলিশের একটি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়। কারখানার মালিকপক্ষের কয়েকটি গাড়ি এবং ফায়ার সার্ভিসের গাড়িও ভাঙচুর করে শ্রমিকেরা। পরে কয়েকটি কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।
কারখানায় গিয়ে দেখা যায়, ফটকের আশপাশ ও ভেতরে বিপুলসংখ্যক পুলিশ সদস্য অবস্থান করছে। ফটকের পাশে কারখানার নিরাপত্তারক্ষীদের কক্ষে বসে আছেন কয়েকজন নিরাপত্তাকর্মী।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম নাসিম দেশ টিভি বাংলা কে বলেন, ‘ডার্ড কম্পোজিট কারখানার শ্রমিকদের আন্দোলনে পুলিশের গাড়িতে আগুন লাগানোর দায়ে সাতজনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় শিল্প পুলিশের অভিযোগের প্রেক্ষিতে একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’