মো: আব্দুল বাতেন বাচ্চু,
গাজীপুরের শ্রীপুরে বিয়ের দাবীতে দশম শ্রেণীর ছাত্রের বাড়িতে এসএসসি পরীক্ষার্থী ছাত্রীর অবস্থান।
গত সোমবার (২৯ মে) বিকেল সাড়ে চারটার দিকে উপজেলার বরমী ইউনিয়নের সাতখামাইর গ্রামের আনোয়ার হোসেনের বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।
পরে শ্রীপুর থানা পুলিশ ওই ছাত্রীকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে স্বজনদের কাছে বুঝিয়ে দেয়। বাড়িতে গিয়েই সন্ধ্যা ছয়টার দিকে ওই ছাত্রী ঘরের দরজা বন্ধ করে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। বাড়ির লোকজন তাকে উদ্ধার করে।
দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী প্রেমিক (১৭) সাতখামাইর গ্রামের আনোয়র হোমেসনের ছেলে। সে স্থানীয় সাতখামাইর উচ্চবিদ্যালয়ের ছাত্র।
অপরদিকে প্রেমিকা (১৬) শ্রীপুর পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী।
ওই শিক্ষার্থীর পরিবার সূত্রে জানাযায়, শ্রীপুরে একটি কোচিং সেন্টারে পড়পার সুবাদে দুজনের মধ্যে দেড় বছর ধরে প্রেমরে সম্পর্ক গড়ে উঠে। এর আগেও বিয়ের দাবিতে তিন বার ওই ছাত্রী প্রেমিকের বাড়িতে উঠে ছিলো।
দুজনেরই বিয়ের বয়স না হওয়ায় তিন বছর অপেক্ষা করতে হবে বলে কথা দিয়ে রাখে দুজনকে। বয়স হলে তাদের বিয়ে দেয়া হবে। এমন সিদ্বান্তে দুজনকেই নিজ অভিবাবকদের কাছে ফিরে দেন স্থানীয়রা।
প্রেমিকের বাবা আনোয়ার হোসেন জানান, এর আগে ওই মেয়ে তিনবার আমার ছেলের কাছে চলে এসেছে। গত ঈদুল ফিতরের দিন ওই মেয়ে আমাদের বাড়িতে চলে এসেছিল। স্থানীয় ভাবে সেদিন মিমাংসা করা হয়েছিলো। তাদের বিয়ের বয়স হয়নি। তিন বছর পর বিয়ের বয়স হলে তাদের বিয়ে দেওয়া হবে। আজ আবার মেয়েটি সকাল এগারোটার দিকে আমার বাড়িতে এসেছে ঘরের ভেতর দরজা বন্ধকরে বসেছিলো। বিকেলে পুলিশ এসে তাকে ঘর থেকে বের করে নিয়ে যায়।
মেয়ের মা জানান, সকাল দশ টার দিকে আমার মেয়ে স্কুলে যাবার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয় । দুপুরে সে বাড়িতে ফেরেনি। তার মেবাইলটি বন্ধ পাওয়া যায়। খোঁজাখুজি করে জানতে পাই সে ও-ই বাড়িতে আছে।ও-ই ছেলে ফুসলিয়ে আমার মেয়েকে তার বাড়ি নিয়ে যায়। পুলিশের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসি। বাড়িতে এসে ঘড়ের দরজা বন্দ করে ফাসিতে ঝুলে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। টের পেয়ে আমরা তাকে উদ্ধার করি।
শ্রীপুর থানা উপপরিদর্শক (এসআই) সাজিদ আহাম্মেদ
দেশ টিভি বাংলা কে বলেন , ভিকটিমের মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে ওই ছাত্রীকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। সে স্বেচ্ছায় বিয়ের দাবীতে ওই বাড়িতে আবস্থান করছিলো। তার বিয়ের বয়স হয়নি। তাই তাকে তার মায়ের জিম্মায় দেয়া হয়েছে।