কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধিঃ
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের ভুরকাপাড়া হাটখোলা এলাকায় পূর্ব শত্রুতার জেরে গরু জমির পাট খাওয়া নিয়ে সরদার গ্রুপ মালিথা গ্রুপপের সংঘর্ষে। মালিথা গ্রুপের ২জন গুলিতে নিহত এবং উভয় পক্ষের অন্তত ২২জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। নিহতরা হলেন শরিফুল মালিথা (৪০) ও বজলু মালিথা (৪২)
পুলিশ ও প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানান, বুধবার বিকেল সাড়ে ৫টার সময় সংঘর্ষে নিহত বজলু মালিথার জমিতে সরদার গ্রুপের ফরিদ খামারু এর গরু পাট খেয়ে ফেলে। গরু পাট খাওয়া নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে লোকজনের কথা কাটাকাটি হওয়ার এক পর্যায়ে তারা সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।এসময় উজ্জল সরদার,জালাল সরদার,ছোট ভাই মান্নান সরদার সহ আরো অনেকে সংঘর্ষের সময় পিস্তুল ও দেশীয় ধারালো অস্ত্রেরে ও পিস্তুলের গুলির আঘাতে ঘটনাস্থলে শরিফুল মালিথা (৪০) ও বজলু মালিথা (৪২) নিহত হয়। সে সময় (১) আছাদ সরদার, (২) সাহাজুদ্দিন সরদার, (৩) ওয়ারিশ সরদার, (৪) ফরিদ খামারু, (৫) সাগর সরদার, (৬) মুজা সরদার সহ অন্তত ২২জন আহত হয়েছে। আহতরা দৌলতপুর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে এবং আশক্ষাজনক অবস্থায় ৪ জনকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।
এ বিষয়ে মরিচা ইউনিয়ন প্যানেল চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম প্রদীপ বলেন, গত কাল মঙ্গলবার বিকালে শ্যামলের পাট খেতে ফরিদের গরু গিয়ে পাট খায়। পরে স্থানীয় ভাবে বসার কথা ছিল হঠাৎ শুনছি উজ্জ্বল সরদারের নেতৃত্বে হামলা চালিয়ে দুই জনকে হত্যা করেছে। উজ্জল সরদার বি এন পি’র ক্যাড়ার ছিল। বর্তমান এম পির ছত্রছায়ায় সে আবার সক্রিয় হয়ে উঠেছে
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায় যে পূর্বশত্রুতার জের ধরে হঠাৎ করে উজ্জ্বল বাহিনীর সদস্যরা অতর্কিতভাবে আগনিয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে নিহতদের বাড়িতে আক্রমণ করে। প্রাণ বাঁচানোর তাগিদে নিহতরা তাদের বাড়ির ঘরেতে আত্মগোপন করলে উজ্জল বাহিনীর সদস্যরা তখন ঘরের দরজা ভেঙ্গে নিহত বজলু ও শরিফুল কে বাইরে বের করে এনে প্রকাশ্য দিবালোকে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করে। এলাকা বাসী আরো বলেন যে উজ্জল সরদার ২০০১ সালের বি এনপি জামাতের তাণ্ডবের গডফাদার ছিলেন এখনো একাধিক মামলার আসামি উজ্জ্বল সরদার মরিচা ইউনিয়নে এখনো নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির সাথে জড়িত চাঁদাবাজি থেকে শুরু করে গরু ছাগল চুরি সবই করছে বহাল তবিয়তে প্রকাশ্য দিবালোকে অস্ত্র বহন করে ঘুরে বেড়ায় এই সন্ত্রাসী উজ্জ্বল সরদার কিন্তু প্রশাসনের কোনো নজর তার উপরে নাই এলাকাবাসীর দাবি খুব দ্রুত এই সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য প্রশাসনের কাছে আকুল আবেদন জানাই
এব্যাপারে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা( ওসি) মুজিবুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে ঘটনাস্থলে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে বলে জানান তিনি।