-
- অর্থনীতি, গাজীপুর, সারা দেশ
- টঙ্গীতে পুলিশের হাতে আটক ৯ শিশু জানেনা ঈদ কবে
- আপডেট টাইম : জুন, ২৪, ২০২৩, ৫:৫৬ অপরাহ্ণ
- 214 বার পঠিত
মো: আব্দুল বাতেন বাচ্চু,
নিজের নাম বলতে পারে। বাবা ও মায়ের নাম এবং ঠিকানা সঠিক ভাবে বলতে পারে না। রাতে ঘুমায় পরিত্যক্ত ভবনে। দিনের বেলায় ক্ষুধার জ্বলায় অপরাধ করে বেড়ায়। এই ধরণের ৯জন শিশুকে ধরে এনে পুনর্বাসন কেন্দ্রে দিল পুলিশ। এই ৯জন সহ মোট ১১৮জন শিশুকে পুনর্বাসিত করল টঙ্গী পূর্ব থানা পুলিশ।
গত বৃহসপতিবার বেলা ১২টায় টঙ্গী পূর্ব থানায় ওসির রুমে সোফায় বসে কফি খাচ্ছিল ওই ৯ শিশু। ওসি জানালেন এরা চুরি ছিনতাই সহ নানা ধরণের অপরাধের সাথে যুক্ত। এদেরকে টঙ্গীর এরশাদনগরস্থ শেখ রাসেল শিশু প্রশিক্ষন ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে দেয়া হবে। টঙ্গীর স্টেশন রোড সহ বিভিন্ন অপরাধপ্রবণ এলাকা থেকে ধরে আনা হয়েছে।
সুমন বয়স ১৬ বছর। বাড়ির ঠিকানা ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায়। সৌরভ(১২) বাড়ি ময়মনসিংহের বালিয়াপাড়ায়। হৃদয়(১২) বাড়ি সিলেট জেলার নামা পাড়ায়। নবী হোসেন বাড়ি বরিশাল। ফিরোজ মিয়া(১৩) বাড়ি কুমিল্লা। আরিফ(১২) বাড়ি বান্দরবন। বাবু(১২) বাড়ি সিলেট। ইয়াসিন(১২) বাড়ি নংসিংদীর বেপারী পাড়ায়। মাহমুদ(১০) বাড়ি কুমিল্লার বিশ্ব রোড। শিশুরা বলে, তারা ঈদ কবে যায় আসে জানে না। ঈদের সময় ভালোমন্দ খাবারও জোটে না তাদের কপালে।
এই ছিন্নমূল শিশুরা বাবা মা ছাড়াই টঙ্গীর স্টেশন রোড আব্দুল্লাহপুর সহ নানা বস্তিতে সারাদিন ঘুরাফেরা করে রাতে বিভিন্ন পরিত্যক্ত ভবনে ঘুমায়। নদীর ময়লাযুক্ত পানিতে গোসল করে। ছিনতাই করে কাপাড়-চোপড় সংগ্রহ করে পরিধান করে। ঈদ কবে যায় কবে আসে তা তারা বলতে পারে না। এরকম অসংখ্য শিশু শহরের আনাচে কানাচে পড়ে আছে। তাদের দেখার কেউ নেই। পরিচর্যার অভাবে তারা আজ টোকাই,, তারা রোমিও, তারা ছিন্নমূল শিশু। মানুষ যখন ভালমন্দ খায় তখন তারা তাকিয়ে তাকিয়ে দেখে। এতে তাদের রাগ হয়। হিংসে হয়। তখন তারা ছোট ছোট অপরাধ থেকে বড় ধরণের অপরাধে জড়িয়ে পড়ে। কখনো হয়ে উঠে ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী। টঙ্গী থানা পুলিশ এই ধরণেল উঠতি বয়সী অপরাধপ্রবণ শিশুদের এনে পুনর্বাসক করছে অনেক দিন ধরেই।
টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) আশররাফুল ইসলাম পিপিএম জানালেন, এই ৯জন নিয়ে মোট ১১৮জনকে পুনর্বাসন করেছেন তিনি। শিশুরা যেন অপরাধে জড়িয়ে না পরে তারা যেন প্রশিক্ষিত হওয়ার পাশাপাশি শিক্ষিত হয়ে সমাজে ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে পারে এই জন্য তিনি এই কাজ গুলো করছেন। এই সকল শিশুকে পুনর্বাসন কেন্দ্রে দিলে তারা ভালো খাবার দাবার পোষাক পরিচ্ছেদ পাবে। তারা লেখাপড়ার পাশাপাশি প্রশিক্ষিত হয়েও গড়ে উঠবে। আর ছোট
ছোট অপরাধীর সংখ্যাও কমে আসবে।
এই ক্যাটাগরীর আরো খবর
- নওগাঁয় বিএমএসএফ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে ফুলের শুভেচ্ছা
- সাবেক প্রেমিকের ছুরিকাঘাতে বর্তমান প্রেমিকের মৃত্যু
- ছাত্রীকে ইভটিজিং করায় যুবকের কারাদণ্ড
- জমে উঠেছে কালীগঞ্জে ঐতিহ্যবাহী ‘জামাই মেলা
- শ্রীপুরের ড্রাম ট্রাক চাপায় নিহত -১
- সাংবাদিকদের অধিকার কেবল রাষ্ট্রই নিশ্চিত করতে পারে: বিএমএসএফ খুলনা প্রতিনিধি : সাংবাদিকদের অধিকার কেবল রাষ্ট্রই নিশ্চিত করতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান আহমেদ আবু জাফর। শনিবার ১১ জানুয়ারী বিকালে খুলনা মহানগরীর বয়রায় একটি রেষ্টুরেন্টে অনুষ্ঠিত আন্ত: জেলা বৈঠকে তিনি একথা বলেন। তিনি বলেন, গণমাধ্যম শিল্প রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। আর এ শিল্পের সাথে জড়িত সাংবাদিকদের ভালো-মন্দ রাষ্ট্রেরই দেখা উচিত। কিন্তু দেশ গঠনের ৫৪ বছর পার হলেও সাংবাদিকরা যেই তিমিরে ছিলো সেই তিমিরে রয়ে গেছে। তাদের ভাগ্যোন্নয়ন ঘটেনি বরং জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিটি মুহূর্ত তারা দেশ, সমাজ ও রাষ্ট্রের পক্ষে কাজ করে চলছে। রাষ্ট্রযন্ত্র তাঁদের কথা ভাবছেনা। নিউনেশনের প্রবীন সাংবাদিক ইকরামুল কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক সৈয়দ খায়রুল আলম, বাগেরহাট প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও বিএমএসএফের জেলা শাখার সম্পাদক মো: কামরুজ্জামান, কেন্দ্রীয় নেতা মাহবুবুর রহমান মুরাদ, কেন্দ্রীয় নেতা শাহাদাত হোসেন শাওন, কেন্দ্রীয় নেতা রহিম রানা, বাংলাদেশ বেতারের ইফফাত সানিয়া ন্যান্সি, বার্তা বাজারের খুলনা প্রধান আল মাসুম খান, নিজাম উদ্দিন স্বাধীন প্রমূখ। বৈঠকে প্রস্তাব সমর্থনের মাধ্যমে ২১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি খুলনা জেলা শাখার কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে বাংলাদেশ বেতারের ইফফাত সানিয়া ন্যান্সিকে আহবায়ক, বাতর্তা বাজারের আল মাসুম খানকে সদস্য সচিব করা হয়েছে। বৈঠকে নেতৃবৃন্দ বলেন, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম সাংবাদিকদের কল্যাণে, অধিকার এবং মর্যাদা প্রতিষ্ঠার চৌদ্দ দফা দাবি নিয়ে কাজ করছে। বিএমএসএফের দীর্ঘ এক যুগের পথচলা ছিলো ঐতিহ্য, সংগ্রামের এবং দাবি আদায়ে কাজ করা অনেকটা সফল হয়েছে। বিশেষ করে সাংবাদিক নির্যাতনের বিরুদ্ধে আমরা সোচ্চার থাকার চেষ্টা করছি। বিএমএসএফ মাঠের সাংবাদিকদের সঙ্গে নিয়ে ১৪ দফা দাবি আদায়ে জেলা-উপজেলা ও কেন্দ্রে নানা ধরনের সভা, প্রতিবাদ সভা, সমাবেশ ও প্রতিবাদ সমাবেশ, চা-চক্র, ভার্চুয়াল সভা, সেমিনার, প্রশিক্ষণ, বিজয় শোভাযাত্রা ও বাৎসরিক মিলনমেলা আয়োজন, জাতীয় গণমাধ্যম সপ্তাহ উদযাপন , সাংবাদিকদের মূখপত্র মিডিয়া ক্যানভাস ম্যাগাজিন প্রকাশ, জার্নালিস্ট শেল্টার হোম, সাংবাদিক নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটি, বাংলাদেশ গঠন করে নানা ভাবে পাশে থেকে সমন্বয়, প্রতিবাদে কাজ করার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। ১০-১১-১২ জানুয়ারী খুলনা বিভাগের আওতায় ১০টি জেলায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আন্ত:বৈঠকের মাধ্যমে বিভাগীয় কমিটি গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। আগামীকাল বিকেলে কুষ্টিয়ায় বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
- ডিএমপির জ্যাকেটসহ পুলিশের ভুয়া সদস্য আটক
- গার্মেন্ট শ্রমিককে নির্যাতন, মুক্তিপণ চেয়ে ধর্মবোনকে ডেকে নিয়ে গণধর্ষণ
- গোমস্তাপুরে নার্সের অবহেলায়া শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ, তিন নার্স সাময়িক বরখাস্ত
- গাজীপুরে কারাগারে শ্রমিকলীগ নেতার মৃত্যু