নিজস্ব প্রতিবেদক:
মনোহরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ২০২১ সালের নিয়োগ বানিজ্যেকে কেন্দ্র করে এলাকায় আবারও বইছে উদ্বেগ ও সমালোচনার ঝড় নতুন সামনে আসলো চাঞ্চল্যকর তথ্য।
যশোরের মনিরামপুর উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নে অবস্থিত মনোহরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি কর্তৃক চারজন ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারী নিয়োগে অনিয়ম, দুর্নীতি, অর্থ লোপাট ও অবৈধ নিয়োগ সহ নানা অভিযোগের নানা গুঞ্জন শোনা গিয়েছে এর আগে আবারও নতুন ভাবে সামনে আসলো নিয়োগ কমিটির সভাপতি মোঃ সিরাজুল ইসলাম ও সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম এবং ম্যানেজিং কমিটির সদস্য তাপস মন্ডল ও শহিদুল ইসলামের ঘুষ গ্রহনের বিষয়ে মুঠোফোনে কথোপকথনের একটি অডিও রেকর্ডটি ফাঁস হয়। এর আগেও ২০২১ সালের ৭ নভেম্বর এই নিয়োগ-কে কেন্দ্র করে ঘুষ দিয়ে চাকরি না পেয়ে সভাপতিকে জুতাপেটার ঘটনাও ঘটেছিল সরেজমিনে গিয়ে জানা যায় আয়া পদে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতিতে (দুই) নাম্বার ওয়ার্ডের আব্দুল ওয়াদুদ মোড়লের স্ত্রী কুলছুম বেগমের কাছ থেকে ছয় লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় সাবেক ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক।
টাকা নিয়ে চাকরি না দেওয়াই কুলসুম বেগম ওই সভাপতিকে মনোহরপুর কাচারিবাড়ি বাজারে হাজারো জনগণের মধ্য জুতাপেটাও করেছিলেন। সভাপতির অনিয়ম,দূর্নীতি ও নিয়োগ বাতিলের দাবীতে সমাবেশও অনুষ্ঠিত হয়েছিল। পরবর্তীতে অফিস সহায়ক পদে আবেদনকারী মোঃ বোরহান উদ্দিন ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্য অবৈদ নিয়োগ বাতিলের দাবীতে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন । তবে কোন এক অদৃশ্য কারণে তাতেও কোন প্রতিকার হয়নি তখন। পরবর্তীতে আমরা আরো জানতে পারি অফিস সহায়ক পদে আবেদনকারী মোঃ বোরহান উদ্দিন এর কাছ থেকে নিয়োগ কমিটির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম ১০ লক্ষ টাকা দাবী করে সে দিতে অপারগতা জানালে তাকে ইন্টারভিউ কার্ড দেওয়া হয়নি। নতুন করে সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের কথোপকথনের অডিও ক্লিপ ফাঁস হওয়ার পর থেকে অভিভাবকদের ভিতরে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে । অডিও ক্লিপের উল্লেখিত কিছু পয়েন্ট: স্যার (সভাপতি) আমারে বলেছে তুমি টাকার দিকে তাকাবেনা কত টাকা চাও? টাকা, ধরেন আকাশ দা যে কথা বলেছেন, কমবেশি আমরা জানি, মাধ্যমিক স্যারের টাকা পয়সা কম্পিলিট করে বাড়ি চলে আসলাম, বাড়ি আসার পরে দেখি ফোনটা বেজে উঠলো ফোনটা হাতে নিয়ে দেখি মাধ্যমিক স্যারের ফোন কল ধরলাম বললাম আবাদ স্যার বলে কাল বোর্ড হবেনা আমি বললাম কেন স্যার উনি বললেন মেয়র স্যার বোর্ড বন্ধ করে দেছে সামনে নির্বাচন,ইউপি নির্বাচনের আগে কোন বোর্ড হবেনা, তখন বললাম স্যার আপনি কি বোর্ড করে দেবেন? তখন উনি বলে মিঞা আপনি এই কথা বলতিছেন? ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আপনি একজন প্রধান শিক্ষক ও এই কথা বলতি পারেনা তখন আমি বললাম স্যার আমি ছোট মানুষ কিন্ত “ঝালডা ঝিয়া” সারাডা রাত আমি আর একজন ব্যাক্তি শুয়া না খাওয়া না টাকা ছড়াইছি ‘মুড়ির চেয়ে’ বেশি এবং কাকে কত টাকা দিছি উপরে আল্লা তার রাজ সাক্ষী মানে ব্যান্ডেল ধরে এইরাম চাইলে দিচি দিয়ে লাস্টে দেখা গেল কি আপনারা তাও শোনেন বোর্ড করেছে কিন্তু পাহারা দিয়ে বোর্ড করার দিন শুধু মনিরামপুরের লোক গে দিচি ৭০.০০০ হাজার টাকা। এই রেকর্ড নিয়ে এলাকায় চলছে চরম সমালোচনার ঝড়। স্কুলের প্রাক্তন এক ছাত্র বলেন,তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি,, বাবা মানুষের মুখষে তিনি বিষধর সাপ বসবাস করে আমাদের ইউনিয়নে সিরাজুল ইসলাম আমার শিক্ষক তো তাই গালী গুলো দিলাম না আপনাদের সামনে। এদিকে আর এক ছাত্র বলেন,গর্ব করে বলতাম এক সময় যে আমরা এই স্কুলের ছাত্র, আর এখন বলতেও লজ্জা করে,এদিকে প্রাক্তন ম্যানেজিং কমিটির সদস্য বর্তমান অভিভাবক সদস্য ও ভুক্তভোগীরা আবারও (মাউশি) বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে জানাগেছে,এদিকে মাউশির বিভিন্ন দপ্তরে যোগাযোগ করলে তারা বলেন এ বিষয় অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।