ইশতিয়াক আহম্মেদ ,
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি:
কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে নবীন এক ছাত্রীকে নির্যাতনের ঘটনার দীর্ঘ ছয় মাস পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ইবি শাখা ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা সহ অভিযুক্ত ৫ শিক্ষার্থীকে ১ বছরের জন্য স্থায়ী বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ (১৫জুলাই)শনিবার সকাল ১১টায়বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ডঃ শাহাদৎ হোসেন আজাদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত কমিটি এবং হাইকোর্টের প্রেরিত প্রতিবেদনের আলোকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ষ্টুডেন্ট কোড অব কন্ডাক্ট বিধি অনুযায়ী অভিযুক্ত ৫ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। দুপুর ১২টা পর্যন্ত চলা সভায় ছাত্রী অন্তরা সহ অভিযুক্ত ৫জনের প্রত্যেককে বিশ্ববিদ্যালয়ের ষ্টুডেন্টস কোড অব কন্ডাক্ট-১৯৮৭ এর পার্ট-২ ধারা-৮ মোতাবেক সর্বোচ্চ শান্তি এক (১) বছরের জন্য ছাত্রত্ব বাতিল করা হয়।
কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ডঃ শেখ আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটি সভায় উপস্থিত ছিলেন, প্রক্টর প্রফেসর ডঃ শাহাদৎ হোসেন আজাদ, ছাত্র উপদেষ্ট প্রফেসর ডঃ সেলিনা নাছরিন সহ ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটির সদস্যবৃন্দ। এরআগে গত ১১ ও ১২ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের গনরুমে ফুলপরি খাতুন নামে এক নবীন ছাত্রীকে রাতভর নির্যাতন ও বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণের অভিযোগ উঠে ইবি শাখা ছাত্রলীগ নেত্রী ও পরিসংখ্যান বিভাগের সানজিদা চৌধুরী অন্তরা, ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের তাবাসসুম ইসলাম, মোয়াবিয়া জাহান, আইন বিভাগের ইসরাত জাহান মীম ও ফাইন আর্টস বিভাগের হালিমা খাতুন উর্মীর বিরুদ্ধে।
এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় হল, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও উচ্চ আদালত এবং ইবি শাখা ছাত্রলীগ সহ পৃথক ৪টি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়।তদন্ত শেষে প্রতিবেদনের আলোকে ঘটনার সত্যতা প্রমাণিত হলে হাইকোর্টের নির্দেশে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অভিযুক্ত ৫ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।এছাড়াও হল প্রশাসন ও ছাত্রলীগ তাদের তদন্তের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের বহিষ্কার করে।