সোহেল রানা, গাজীপুর
জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের একাদশ মৃত্যুবার্ষিকী আজ বুধবার। নুহাশপল্লীতে তাঁর পরিবারের স্বজন ও শুভানুধ্যায়ীরা লেখককে স্মরণ করলেন এই দিনে। অনুমতি ছাড়া হুমায়ূন আহমেদের নাটক–সিনেমা ওটিটি প্ল্যাটফর্মে প্রদর্শন বন্ধের দাবি জানান লেখকের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন।
আজ সকালে হুমায়ূন আহমেদের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন, দুই ছেলে নিনিত ও নিষাদ হুমায়ূন লেখকের কবর জিয়ারত করেন। এ সময় হুমায়ূন আহমেদের শুভানুধ্যায়ী ও ভক্তরা উপস্থিত ছিলেন। লেখকের আত্মার শান্তি কামনায় দোয়া করা হয়। আয়োজন করা হয় কোরআনখানি ও মিলাদ মাহফিলের।
প্রতিবারের মতো এবারও হুমায়ূন পরিবার, তাঁর ভক্ত, কবি, লেখক আর নাট্যজনেরা ফুল হাতে শ্রদ্ধা জানাতে ভিড় করেন নুহাশপল্লীর লিচুতলায়। নন্দিত লেখকের প্রিয় চরিত্র হলুদ পাঞ্জাবিতে হিমু এবং নীল শাড়িতে রূপা সেজে আসেন ভক্ত ও পাঠকেরা। তাঁরা লেখকের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার কথা জানান।
কবর জিয়ারত শেষ মেহের আফরোজ শাওন সাংবাদিকদের কাছে হুমায়ূন আহমেদের স্বপ্ন এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, হুমায়ূন আহমেদ চলে গেছেন ১১ বছর। খুবই দুঃখজনক হলেও সত্য হুমায়ূন আহমেদের বহু নাটক ও সিনেমা বিভিন্ন ওটিটি প্ল্যাটফর্ম ও ইউটিউব চ্যানেলে কোনো রকম চুক্তিপত্র ছাড়াই চালানো হচ্ছে।
মেহের আফরোজ শাওন আরও বলেন, ‘হুমায়ূন আহমেদ যখন মারা যান, তখন আমার বড় ছেলের বয়স সাড়ে পাঁচ বছর এবং ছোট ছেলের বয়স দেড় বছর ছিল। তখন ওরা বাবার অভাব ও প্রয়োজন তেমন বুঝত না।
১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার কুতুবপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ। তাঁর বাবা ফয়েজুর রহমান ও মা আয়েশা ফয়েজ। ২০১২ সালে ১৯ জুলাই ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে তিনি নিউইয়র্কের একটি হাসপাতালে মারা যান।