।
নিজস্ব প্রতিবেদক:
কিশোরী গৃহকর্মীকে ধর্ষণ ও বাচ্চা প্রসবের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় গাজীপুরের কাপাসিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন প্রধানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
গত বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) গাজীপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ পরোয়ানা (স্মারক নং- ১৫৫৬) জারি করেন। যেটিতে উল্লেখ রয়েছে, গাজীপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে দায়ের হওয়া মামলায় (নম্বর ৩৩৭/২৩) ২০০০ এর ৯(১) ধারার অভিযোগে এ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
পলাতক আসামি মো. সাখাওয়াত হোসেন কাপাসিয়া সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও একই সঙ্গে তিনি কাপাসিয়া উপজেলা যুবলীগের সভাপতি। তার বাবা রাউৎকোনা গ্ৰামের মৃত সাহেব আলী মোক্তার মুক্তিযুদ্ধের সময় কাপাসিয়ায় আলবদর বাহিনীর সেক্রেটারি ছিলেন।
পরোয়ানার বিষয়ে কাপাসিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ.এইচ.এম লুৎফুল কবীর জানান, অফিসিয়ালি থানায় এখনো গ্রেফতারি পরোয়ানা আসেনি। তবে রবিবার (২৩ জুলাই) কাপাসিয়ায় বঙ্গতাজ তাজউদ্দীন আহমদের জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে ওসি ও চেয়ারম্যানকে একসঙ্গে দেখা গেছে।
এর আগে ২০২২ সালের ৩১ আগস্ট গাজীপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে কাপাসিয়া সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সাখাওয়াত হোসেনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও অপহরণের অভিযোগে মামলা করেন নির্যাতনের শিকার কিশোরীর বাবা।
মামলায় উল্লেখ রয়েছে , কিশোরী গৃহকর্মীকে স্ত্রীর অনুপস্থিতিতে প্রায়ই ধর্ষণ করতেন চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন। এক পর্যায়ে কিশোরী গর্ভবতী হয়ে গেলে চেয়ারম্যান তার বাড়ির কাজের লোকের সঙ্গে জোরপূর্বক গর্ভবতী কিশোরীকে বিয়ে দেন।
পরে গত বছরের ১ আগস্ট অন্তঃসত্ত্বা কিশোরীকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়ে তরগাঁও খেয়াঘাটে এক বাসায় ভাড়া রাখেন চেয়ারম্যান। ওই বছরের ১৬ আগস্ট মেয়েটিকে কাপাসিয়া সরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। বাচ্চা প্রসবের পর বাচ্চাসহ কিশোরীকে পুনরায় ভাড়া বাসায় ফেরত আনা হয়।
কিন্তু এরই মধ্যে ঘটনা জানাজানি হয়ে গেলে সাংবাদিকরা ওই ভাড়া বাসায় ভিড় করে ও মেয়ের ভিডিও বক্তব্য নেয়। অপরাধ লুকানোর জন্য চেয়ারম্যান ২০২২ সালের ২৯ আগস্ট রাতে বাচ্চাসহ মেয়েটিকে ভাড়া বাসা থেকে অপহরণ করে। তখন অপহরণ এবং ধর্ষণের বিষয়টি অস্বীকার করেছিলেন চেয়ারম্যান।