-
- জাতীয়, সারা দেশ
- মানিকগঞ্জের ঘিওরে অবাধে চায়না জাল দিয়ে চলছে মৎস্য শিকার।
- আপডেট টাইম : জুলাই, ২৩, ২০২৩, ৯:৪৪ অপরাহ্ণ
- 1045 বার পঠিত
মানিকগঞ্জের ঘিওরে অবাধে চলছে চায়না জাল দিয়ে মৎস্য শিকার।
আল মামুন মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি।
দেশে মৎস্য শিকারের জন্য নতুন ধরনের জালের ব্যবহার ক্রমেই বাড়ছে।‘চায়না দুয়ারী’ নামের এ জালের বিশেষ ফাঁদে আটকা পড়ে মাছের ডিমও। শুরুর দিকে পদ্মায় এ জাল ব্যবহার হলেও, এখন ছড়িয়ে পড়ছে প্রত্যন্ত গ্রামেও।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি কারেন্ট জালের চেয়েও ক্ষতিকর। তবে এখনো নিষিদ্ধ জালের তালিকায় নাম ওঠেনি। হালকা ও মিহি বুননের এ জাল সাধারণত ৫০-১০০ ফুট লম্বা হয়ে থাকে। প্রস্থ এক থেকে দেড় ফুট। ভেতরে লোহার চার কোণা রড দিয়ে বানানো হয় ফ্রেম। প্রতিটি ফ্রেমেই রয়েছে দুই পাশ দিয়ে মাছ প্রবেশের সুযোগ। জালের এক গিঁট থেকে আরেকটির দূরত্ব খুবই কম। যে কারণে মাছ একবার ঢুকলে আর বের হতে পারে না। এ জালে ধরা পড়ে ডিমও। ফলে মারা পড়ছে বিপন্ন প্রজাতির অনেক জলজ প্রাণী।
অনেকটা বাঁশের দোয়ারীর আদলে তৈরি এ জাল মূলত মাছ ধরার এক ধরনের ফাঁদ। চায়না দুয়ারী ছাড়াও অনেক স্থানেই এটি চায়না জাল বা ম্যাজিক জাল নামেও পরিচিত।
কয়েক বছর ধরে এ জালের ব্যবহার বেড়েছে। মানিকগঞ্জের পদ্মা, যমুনা, ধলেশ্বরী নদীসহ আশপাশের ছোট নদ নদী খাল ও প্রত্যন্ত এলাকাতেও এখন মাছ ধরা হচ্ছে এ জাল দিয়ে। জেলেদের কাছে অল্প সময়ে খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এ জাল।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ঘিওর উপজেলার পয়লা, সিংজুরী, বড়টিয়া, ঘিওর ও নালী এলাকায় এ জাল দিয়ে অবাধে মাছ ধরা হচ্ছে ।দেখা যায় সারি সারি জাল। সবই চায়না দুয়ারী। এসব জালে ধরা পড়ছে ছোট বড় মাছ। জালের ফাঁদে আটকা পড়ছে, শামুক, কাঁকড়া, কুঁচেও।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জেলে জানান, চায়না দুয়ারী এমনভাবে তৈরি যেখানে ছোট বড় মাছ কিম্বা অন্য যে কোনো কিছু ঢুকলে আর বের হওয়ার সুযোগ নেই। এ জালের দুই দিকের মুখ খোলা। জালের পুরো অংশেই রয়েছে একাধিক ফাঁদ। তাই বেশি মাছ পাওয়ার আশায় এ জালের প্রতি ঝুঁকছেন জেলেরা।
সুবল নামের এক জেলে জানান, আগে করেন্ট জাল ব্যবহার করলেও চায়না দুয়ারী আসার পর সেটি বাদ দিয়েছি। কারণ কারেন্ট জাল দিয়ে মাছ ধরলে প্রশাসন উৎপাত করে। এছাড়া কারেন্ট জালের চেয়ে চায়না দুয়ারীতে মাছ বেশি পাওয়া যায়। দেড় লাখ টাকা খরচ করে ৪০টি চায়না দুয়ারী কিনেছি।
তিনি আরও জানান, পেশায় জেলে নয় এমন মানুষও এখন চায়না দুয়ারী দিয়ে মাছ ধরছেন। স্থানীয় হাট-বাজারে গুণগতমান ও আকার অনুসারে তিন থেকে ১০ হাজার টাকায় বিক্রি হয় এ জাল।
ঘিওর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান জানান, দেশে মাছ ধরার জালের ‘মেস সাইজ’ অর্থাৎ একটি গিঁট থেকে আরেকটি গিঁটের দূরত্ব হবে সাড়ে ৪ সেন্টিমিটারের ওপরে। এই ‘মেস সাইজ’ এর চেয়ে কম হলে সেটি দেশের আইন অনুযায়ী নিষিদ্ধ। আইনের এই ব্যাখ্যা অনুযায়ী কারেন্ট জাল যেমন নিষিদ্ধ তেমনি চায়না দুয়ারীও নিষিদ্ধ। কিন্তু নিষিদ্ধ জালের তালিকায় চায়না দুয়ারীর নাম উল্লেখ নেই। তবে এ নিয়ে মৎস অধিদপ্তর কাজ করছে।তিনি আরও জানান, চায়না দুয়ারী দেশের মৎস্য সম্পদ ও জলজপ্রাণীর জন্য মারাত্মক হুমকি। এ জাল ব্যবহার বন্ধে ইতিমধ্যে অভিযানও শুরু হয়েছে।
এই ক্যাটাগরীর আরো খবর
- নওগাঁয় বিএমএসএফ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে ফুলের শুভেচ্ছা
- সাবেক প্রেমিকের ছুরিকাঘাতে বর্তমান প্রেমিকের মৃত্যু
- ছাত্রীকে ইভটিজিং করায় যুবকের কারাদণ্ড
- জমে উঠেছে কালীগঞ্জে ঐতিহ্যবাহী ‘জামাই মেলা
- শ্রীপুরের ড্রাম ট্রাক চাপায় নিহত -১
- সাংবাদিকদের অধিকার কেবল রাষ্ট্রই নিশ্চিত করতে পারে: বিএমএসএফ খুলনা প্রতিনিধি : সাংবাদিকদের অধিকার কেবল রাষ্ট্রই নিশ্চিত করতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান আহমেদ আবু জাফর। শনিবার ১১ জানুয়ারী বিকালে খুলনা মহানগরীর বয়রায় একটি রেষ্টুরেন্টে অনুষ্ঠিত আন্ত: জেলা বৈঠকে তিনি একথা বলেন। তিনি বলেন, গণমাধ্যম শিল্প রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। আর এ শিল্পের সাথে জড়িত সাংবাদিকদের ভালো-মন্দ রাষ্ট্রেরই দেখা উচিত। কিন্তু দেশ গঠনের ৫৪ বছর পার হলেও সাংবাদিকরা যেই তিমিরে ছিলো সেই তিমিরে রয়ে গেছে। তাদের ভাগ্যোন্নয়ন ঘটেনি বরং জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিটি মুহূর্ত তারা দেশ, সমাজ ও রাষ্ট্রের পক্ষে কাজ করে চলছে। রাষ্ট্রযন্ত্র তাঁদের কথা ভাবছেনা। নিউনেশনের প্রবীন সাংবাদিক ইকরামুল কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক সৈয়দ খায়রুল আলম, বাগেরহাট প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও বিএমএসএফের জেলা শাখার সম্পাদক মো: কামরুজ্জামান, কেন্দ্রীয় নেতা মাহবুবুর রহমান মুরাদ, কেন্দ্রীয় নেতা শাহাদাত হোসেন শাওন, কেন্দ্রীয় নেতা রহিম রানা, বাংলাদেশ বেতারের ইফফাত সানিয়া ন্যান্সি, বার্তা বাজারের খুলনা প্রধান আল মাসুম খান, নিজাম উদ্দিন স্বাধীন প্রমূখ। বৈঠকে প্রস্তাব সমর্থনের মাধ্যমে ২১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি খুলনা জেলা শাখার কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে বাংলাদেশ বেতারের ইফফাত সানিয়া ন্যান্সিকে আহবায়ক, বাতর্তা বাজারের আল মাসুম খানকে সদস্য সচিব করা হয়েছে। বৈঠকে নেতৃবৃন্দ বলেন, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম সাংবাদিকদের কল্যাণে, অধিকার এবং মর্যাদা প্রতিষ্ঠার চৌদ্দ দফা দাবি নিয়ে কাজ করছে। বিএমএসএফের দীর্ঘ এক যুগের পথচলা ছিলো ঐতিহ্য, সংগ্রামের এবং দাবি আদায়ে কাজ করা অনেকটা সফল হয়েছে। বিশেষ করে সাংবাদিক নির্যাতনের বিরুদ্ধে আমরা সোচ্চার থাকার চেষ্টা করছি। বিএমএসএফ মাঠের সাংবাদিকদের সঙ্গে নিয়ে ১৪ দফা দাবি আদায়ে জেলা-উপজেলা ও কেন্দ্রে নানা ধরনের সভা, প্রতিবাদ সভা, সমাবেশ ও প্রতিবাদ সমাবেশ, চা-চক্র, ভার্চুয়াল সভা, সেমিনার, প্রশিক্ষণ, বিজয় শোভাযাত্রা ও বাৎসরিক মিলনমেলা আয়োজন, জাতীয় গণমাধ্যম সপ্তাহ উদযাপন , সাংবাদিকদের মূখপত্র মিডিয়া ক্যানভাস ম্যাগাজিন প্রকাশ, জার্নালিস্ট শেল্টার হোম, সাংবাদিক নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটি, বাংলাদেশ গঠন করে নানা ভাবে পাশে থেকে সমন্বয়, প্রতিবাদে কাজ করার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। ১০-১১-১২ জানুয়ারী খুলনা বিভাগের আওতায় ১০টি জেলায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আন্ত:বৈঠকের মাধ্যমে বিভাগীয় কমিটি গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। আগামীকাল বিকেলে কুষ্টিয়ায় বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
- ডিএমপির জ্যাকেটসহ পুলিশের ভুয়া সদস্য আটক
- গার্মেন্ট শ্রমিককে নির্যাতন, মুক্তিপণ চেয়ে ধর্মবোনকে ডেকে নিয়ে গণধর্ষণ
- গোমস্তাপুরে নার্সের অবহেলায়া শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ, তিন নার্স সাময়িক বরখাস্ত
- গাজীপুরে কারাগারে শ্রমিকলীগ নেতার মৃত্যু