মোঃ আব্দুল বাতেন বাচ্চু,
গাজীপুরের শ্রীপুরে বাস ও সিএনজি সংঘর্ষে রিফাত (২৩) নামের এক শ্রমিক নিহত হয়েছেন। গুরুতর আহত হয়েছেন চারজন। আজ সোমবার সকালে মাওনা গফরগাঁও সংযোগ সড়কের তেলিহাটি ইউনিয়নের টেংরা ভূমি অফিসসংলগ্ন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক মো. মামুনুর রশীদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
নিহত রিফাত ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও উপজেলার চরআগলী গ্রামের সাইফুল ইসলামের ছেলে। তিনি মাওনা ইউনিয়নের মুলাইদ গ্রামের এলিমবাড়ি এলাকায় ভাড়া থেকে স্থানীয় একটি কারখানায় শ্রমিকের কাজ করতেন। নিহত ও আহতরা সবাই অটোরিকশার যাত্রী। আহতদের কে উদ্ধার করে প্রথমে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা ও ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে।
আহতরা হলেন বরমী ইউনিয়নের সোহাদিয়া গ্রামের মো. জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে জাহিদুর রহমান (২৩), গফরগাঁও উপজেলার নিগুয়ারী ইউনিয়নের ছোট বারইহাটি গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে সিয়াম (২০), বরমী ইউনিয়নের ঠাকুরতলা গ্রামের আব্দুস ছালামের ছেলে রাসেল মিয়া (৪০) ও নাঈম (৩৮)।
স্থানীয় বাসিন্দা রানা মিয়া বলেন, বরমী ইউনিয়নের সাতখামাইর এলাকা থেকে একটি শ্রমিকবাহী বাস মাওনার দিকে যাচ্ছিল। এদিকে যাত্রী নিয়ে একটি সিএনজি বরমীর দিকে আসছিল। গাড়ি দুটির টেংরা গ্রামের ভূমি অফিসসংলগ্ন রাস্তায় সংঘর্ষ হয়। এতে অটোরিকশার এক যাত্রী ঘটনাস্থলেই মারা যান। অপর চারজন গুরুতর আহত হন। আশপাশের লোকজন এসে গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।
নিহতের ভগ্নিপতি রাসেল মিয়া বলেন, কারখানা থেকে ছুটি নিয়ে বাড়িতে যাওয়ার জন্য মাওনা থেকে সিএনজি তে রওনা হন রিফাত। সপ্তাহে এক দিন তিনি বাড়িতে যেতেন। আজ বাড়ি যাওয়ার পথে লাশ হলো। খবর পেয়ে এসে রিফাতের মরদেহ পাই। সড়ক দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি )এএফ এম নাসিম দেশ টিভি বাংলা কে বলেন, খবর পেয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে ঘটনাস্থলে
পুলিশ পাঠানো হয়েছে দুর্ঘটনাকবলিত পরিবহন দুটি আটক করা হয়েছে। নিহত শ্রমিকের মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হচ্ছে। গুরুতর আহতদের চিকিৎসার খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের পরামর্শে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।