নিজস্ব প্রতিবেদক:
শ্রীপুরে ভাসুরের প্রেমে পরে তো সংসার ভাঙলো গৃহবধুর
গাজীপুরের শ্রীপুরে ভাসুরের সাথে অবৈধ সম্পর্কের জের ধরে সংসার ভাঙলো মোছাঃ তানিয়া নামের ২ সন্তানের জননীর। ঘটনাটি ঘটেছে শ্রীপুর উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়ন বেলদিয়া গ্রামে।মোছাঃ তানিয়া আকতার উপজেলার বেলদিয়া গ্রামের রাসেল মিয়ার স্ত্রী। অভিযুক্ত ভাসুরের নাম মোঃ সারফুল ইসলাম(৩৮)। তিনি বেলদিয়া গ্রামের আবদুর রশিদের ছেলে। জানা যায় রাসেল মিয়া দির্ঘদিন যাবৎ দেশের বাহিরে থাকেন। দির্ঘদিন রাসেল মিয়া দেশে না থাকায় তার স্ত্রী তানিয়া আকতার শারফুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তির সাথের প্রেমে জরিয়ে পরেন। শারফুল ইসলাম সম্পর্কে রাসেল মিয়ার বড় ভাই হয়। বিষয়টি এলাকায় জানা জানি হলে তা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য ৫০ হাজার টাকা কাবিনের মাধ্যমে তানিয়াকে বিবাহ করে শারফুল ইসলাম। ঘটনার ১ সপ্তাহ পর শারফুল ইসলাম তানিয়ার কাছ থেকে ব্যাংক থেকে টাকা উঠাবে বলে সাদা কাগজে সাক্ষর নেয়। এর কিছুদিন পর তানিয়াকে শারফুল জানাই তাদের মাঝে না কী ডিভোর্স হয়ে গেছে অথচ তানিয়া ডিভোর্স সম্পর্কে কিছুই জানেনা। বাধ্য মোছাঃ তানিয়া আকতার নিজে বাদী হয়ে শ্রীপুর মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, প্রায় ৬ মাস পূ্র্বে শারফুলের সাথে তানিয়ার কথা- বার্তা শুরু হয়। এক পর্যায়ে শারফুল তানিয়ার সাথে কয়েকটি ছবি তুলে, এসব ছবি তার স্বামীর কাছে পাঠাবে বলে ব্রেকমিল করতে থাকে এবং বলে শারফুলের সাথে প্রেম করতে হবে। এক পর্যায়ে তানিয়া বাধ্য শারফুলের প্রেমের প্রস্তাবে রাজি হয়। এর পর থেকে শারফুল তানিয়ার দুর্বলতার সুযোগে বিভিন্ন সময় ছবির ভয় দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নেয়। এখন পর্যন্ত শারফুল তানিয়ার কাছ থেকে প্রায় ১২ লক্ষ টাকার মত হাতিয়ে নিয়েছে। তাছাড়া ব্যবসার কথা বলে ৫ ভরি স্বর্ণের অলংকার নিয়ে যায়। এক পর্যায়ে বিষয়টি জানা জানি হলে তানিয়ার স্বামী রাসেল মিয়া তানিয়াকে বাড়ি থেকে বের করে দেয় । লোক-লজ্জার ভয়ে শারফুল ৫০ হাজার টাকা কাবিন দিয়ে তানিয়াকে বিয়ে করে। বিয়ের পরে তানিয়ার কাছে ৫ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবী করে। ৫ লক্ষ যৌতুক না দিলে তানিয়াকে তালাক দিয়ে দিবে। স্ত্রীর দাবী নিয়ে তানিয়া শারফুলের বাড়িতে গেলে তাকে জান-মালের ক্ষতি করিবে বলিয়া হুমকী দেয়। এ বিষয়ে শারফুল বলেন আমি তানিয়াকে বিয়ে করেছি। বিয়ের কিছুদিন পর তানিয়া আমাকে তালাক দিয়ে চলে গেছেন।
শ্রীপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)এ এফএম নাসিম বলেন, আমরা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।