নিজস্ব প্রতিবেদক:
সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা করে অবশেষে পদ হারালেন কক্সবাজারের কুখ্যাত ডাকাত ও মোটর চালক লীগের সভাপতি দিদারুল আলম। দলীয় আদর্শ উদ্দেশ্য পরিপন্থী কাজসহ তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগে প্রমাণিত হওয়ায় সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি আলী হোসেন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বহিষ্কারাদেশের এ তথ্য জানা গেছে।
ডাকাত দিদারের বিরুদ্ধে চুরি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, লুটপাট, ডাকাতি, মাদক সহ অস্ত্র ব্যবসার নানা অভিযোগে ডজনেরও বেশি মামলা রয়েছে।
কক্সবাজার সদর মডেল থানা পুলিশের খাতায় দিদারুল আলম প্রকাশ দিদার ডাকাত (৪২) নামে পরিচিত। তার বিরুদ্ধে প্রাথমিক অনুসন্ধানে প্রাপ্ত মামলাগুলো তথ্য পাঠকের উদ্দেশ্যে দেয়া হলো: কক্সবাজার থানার মামলা জিআর নং ১১৮/০৭ ধারা ১৪৩/৪৪৮/৩৮৫/৩২৩ পেনাল কোড, জিআর নং ২০২/১১ ধারা ১৪৩/৪৪৮/৩২৩/৩০৭/৩৭৯/৪২৭/৫০৬/ পেনাল কোড, জিআর নং ৫৯৩/১১ ধারা ৩৯৫/৩৯৭ পেনাল কোড, জিআর নং ৬০৯/১৮ ধারা ৩৪১/৩২৩/৩২৫/৩২৬/৩০৭/৩৭৯/৩৪ পেনাল কোড, জিআর ১১৫/১৪১১ ধারা ১৮৭৮ সনের অস্ত্র আইনের 19 A/19(f), জিআর নং ১১৬/১৪১২ ধারা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইন ২০১৮ এর ৩৬(১) এর ১০(ক)/৪১ পেনাল কোড,কর্ণফুলি থানার জিআর নং ৫/২৭৮ ধারা মাদক নিয়ন্ত্রন আইন ২০১৮ এর ৩৬(১) এর ১০ (গ)/৩৮/৪১।
উপরোক্ত আমলনামা মোতাবেক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হলে ডাকাত দিদার কক্সবাজারের সাংবাদিক মিজান উর রশিদ মিজান ও আমিনুল ইসলাম সাগরের বিরুদ্ধে ১ কোটি টাকা মানহানি দাবী পূর্বক সাইবার ট্রাইব্যুনালে ২৫ ও ২৯ ধারায় মামলা করে। পু্লিশের তদন্ত কর্মকর্তা ডাকাত দিদারের ১ কোটি টাকার মানক্ষুন্ন হয়েছে মর্মে রিপোর্ট প্রেরন করেন।
এ ব্যাপারে সাংবাদিক মিজান উর রশিদ মিজান জনগনের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুড়ে বলেন, একজন ব্যক্তির মানের পরিমান টাকায় কিভাবে নির্নয় করা হয় এবং নিয়মমতে ডাকাত দিদারের মানের পরিমান টাকায় কত হতে পারে ?
এদিকে মামলাটিতে গোপনে আসামিদের বিরুদ্ধে ওয়ারেট করে কৌশলে চাপিয়ে রাখেন ডাকাত দিদার। ওয়ারেন্টের খবর পেয়ে দুই সাংবাদিক ২১ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামের সাইবার ট্রলার আদালতে থেকে জামিন গ্রহণ করেন।
ডাকাত দিদারের মামলায় দৈনিক আলোকিত উখিয়ার সম্পাদক এবং বাংলাদেশ মমফস্বল সাংবাদিক ফোরামের কক্সবাজার জেলার সাবেক সভাপতি মিজানুর রশিদ মিজান ও সাংবাদিক আমিনুল ইসলাম সাগরকে আসামী করা হয় । মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আরিফ ইকবাল, পুলিশ পরিদর্শক ( নিরস্ত্র) কক্সবাজার সদর মডেল থানা থেকে ১৯/৯/১৯ চার্জশিট দাখিল করে অনত্র বদলি হয়ে যান।
এদিকে পুলিশের তদন্তকারী কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রতিবেদন দাখিল করায় ওই তদন্তকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আদালতের পক্ষ থেকে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী।