নিউজ ডেস্ক:
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গত মঙ্গলবার ১১টা ৫৫ মিনিটে তিনি সমাধিসৌধ বেদিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে এ শ্রদ্ধা জানান। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে অশ্রুসিক্ত চোখে বেদির পাশে কিছুক্ষণ নিরবে দাঁড়িয়ে থাকেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল প্রধানমন্ত্রীকে গার্ড অব অনার প্রদান করে। বিউগলে বেজে উঠে করুণ সুর। পরে বোন রেহানাকে সাথে নিয়ে পবিত্র সুরা ফাতেহা পাঠ ও বঙ্গবন্ধুসহ সহ ১৫ আগষ্টে নিহত সকলের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া-মোনাজাতে অংশ নেন। এর পর আওয়ামী লীগ সভাপতি হিসেবে জাতীয়, কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ও উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্যদের সাথে নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করে শেখ হাসিনা।
পৃথকভাবে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীণ শারমিন চৌধুরী, ডেপুটি স্পিকার শামছুল হক টুকু ও সরকার দলীয় চীফ হুইপ নূরে আলম চৌধুরী লিটন। এরপর গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগসহ সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ছোটবোন রেহানাকে নিয়ে তিনি বঙ্গবন্ধু ভবনে যান। দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সমাধি সৌধ কমপ্লেক্স মসজিদে অনুষ্ঠিত দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা, শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শেখ রাসেল সহ ১৫ আগষ্টে নিহত সকলের আত্মার মাগফিরাত কামনায় অনুষ্ঠিত এ দোয়া মাহফিলে বঙ্গবন্ধু ভবনে বসে যোগ দেন দুই বোন। এর পর দুঃস্থদের মধ্যে খাবার বিতরণ করা হয়।
এ সময় জাতীয় সংসদের সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরী, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদ ওবায়দুল কাদের, প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, মুহাম্মদ ফারুক খান, আব্দুর রহমান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, শাহজাহান খান, কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম ও তথ্যমন্ত্রী ড. মোহাম্মদ হাছান মাহমুদ, উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য কাজী আকরাম উদ্দিন আহমদ, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, সাংসদ আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, সাংসদ শেখ হেলাল উদ্দিন, শেখ সালাউদ্দিন জুয়েল, সারহান নাসের তন্ময়, যুবলীগ সভাপতি শেখ ফজলে শামস পরশ, গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মাহবুব আলী খান, সাধারণ সম্পাদক জিএম শাহাবউদ্দিন আজম, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ আবুল বশার খায়ের, সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাবুল শেখ, গোপালগঞ্জের পৌর মেয়র শেখ রকিব হোসেন, টুঙ্গিপাড়া পৌরসভার মেয়র শেখ তোজাম্মেল হক টুটুলসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মিলাদ মাহফিল শেষে প্রধানমন্ত্রী কিছুক্ষণ বিশ্রাম করেন। মধ্যাহ্নভোজ শেষে হেলিকপ্টার যোগে তার ঢাকা যাওয়ার কথা হয়েছে।
এর আগে বিমানবাহিনীর একটি হেলিকপ্টারে করে ঢাকার তেজগাঁও বিমানবন্দর থেকে রওনা হন। এবং বেলা ১১ টা ৪৯ মিনিটে টুঙ্গিপাড়া হেলিপ্যাডে অবতরণ করেন।