নিজস্ব প্রতিবেদক :
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার কাওরাইদ এলাকায় প্রতিদিন নিত্যনতুন পদ্ধতিতে বনের জমি জবর দখলের অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দেখাযায়, কোথাও কোথাও বনভূমি কেটে সমতল করে পাকা দালান থেকে শুরু করে পোলট্রি ফার্ম, বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ সহ মাটি বিক্রি করছে।
আরও জানাযায়, ভূমিদস্যুদের অবৈধভাবে সরকারি জায়গা দখলের পিছনে স্থানীয় বন কর্মকর্তাদের হাত রয়েছে। মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে বনবিভাগের বিট অফিসারদের মাধ্যমে দখল হচ্ছে শত-শত একর বনের জমি। নজর নেই সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের।
সরেজমিনে দেখা যায়, শ্রীপুর উপজেলা কাওরাইদ ইউনিয়নের সোনাব গ্রামের লালমাটিয়া এলাকায় স্থানীয় ইউপি সদস্য আশরাফুল ঢালীর নেতৃত্বে সরকারি জায়গা দখল করে পাকা ঘর নির্মাণ করেছে মানিক মিয়া। ইউপি সদস্য আশরাফুল ঢালীর বিরুদ্ধে আদালতে একাধিক বনের মামলা চলমান রয়েছে। একই এলাকার মৃত রহিম উদ্দিন ছেলে মোঃ মানিক মিয়ার বিরুদ্ধে সরকারি জায়গা দখল করে পাকা ঘর নির্মাণের অভিযোগ রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। কাওরাইদ ইউনিয়নের সোনাব মৌজার এস. এ দাগ নং- ৬৩২ জমি দখল করে ঘর নির্মাণ করা হয়েছে।
আরো জানা যায়, গত এপ্রিল মাসে কাওরাইদ বিটের সাবেক বিট কর্মকর্তা আতিকুর রহমান, সরকারি জমির উপর যে স্থাপনা তৈরি করেছিল তা উচ্ছেদ অভিযানে দখলমুক্ত করে ছিলেন। কিন্তু বর্তমান বিট কর্মকর্তা, শাহাদাত হোসেনের সহযোগিতায় পুনরায় বনবিভাগের জমিতে রাতের আধারে টিন দিয়ে বাউন্ডারি করে বনবিভাগের জমি বেদখল করেছে মানিক মিয়া।
কাওরাইদ বিটের বিট ইনচার্জ গত ৯ অক্টোবর বনের জমি দখলকারী মানিকের বাড়িতে গিয়ে দাওয়াত খাওয়ার ৩ দিন পর, ১২ অক্টোবর রাতে মানিক মিয়া টিনের বেড়া দিয়ে বনের জমি বাউন্ডারি করে সেখানে পাকা ঘর নির্মাণ করছেন। বন কর্মকর্তা ও মানিক মিয়া হঠাৎ করে এরকম মধুর সম্পর্ক দেখে এলাকার মধ্যে ব্যাপক চাঞ্চলের সৃষ্টি হয়েছে। সাধারণ মানুষ বলছে মানিক মিয়ার সাথে অর্থের বিনিময়ে বন কর্মকর্তার ঘনিষ্ঠতার সৃষ্টি হয়েছে, যার কারণে মানিক মিয়া বনের জমি দখল করে রাতে বাউন্ডারি নির্মাণ করে পাকা ঘর তৈরি করছেন।
শ্রীপুর রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা মোখলেছুর রহমান জানায়, এবিষয়ে আমি কোন অভিযোগ পায়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।