মোঃ আব্দুল বাতেন বাচ্চু,
গাজীপুরের শ্রীপুরের কাওরাইদ
ইউনিয়নের বেলদিয়া গ্রামে রেলের নিচে ফেলে হত্যার অভিযোগে মৃতদেহ দাফনের সতেরো মাস পর আদালতের নির্দেশে কবর থেকে এক সেচ্ছাসেবলীগ কর্মীর মৃতদেহ উত্তোলন করা হয়েছে।স্বজনদের অভিযোগ অভিযুক্তরা হাত পা কেটে সুপরিকল্পিত ভাবে রেললাইনে চলন্ত ট্রেনের নিচে ফেলে হত্যার চেষ্টা করে। পরবর্তীতে ১৫দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই সেচ্ছাসেবকলীগ কর্মীর মৃত্যু হয়েছে।মৃত্যুর আগে খুনীদের নাম বলে যায় দাবি স্বজনদের। আজ ০২ নভেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে শ্রীপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আল মামুনের উপস্থিতিতে উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের বেলদিয়া গ্রামের নিহত সেচ্ছাসেবকলীগ কর্মীর পারিবারিক কবরস্থান থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়েছে। পরে মৃতদেহটি ময়না তদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজ উদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।নিহত সেচ্ছাসেবকলীগ কর্মীর
মো. তোফাজ্জল হোসেন (৩০) উপজেলার কাওরাইদের বেলদিয়া গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে। তিনি কাওরাইদ ইউনিয়নের স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি প্রার্থী ছিলেন।নিহতের বড় ভাই মোফাজ্জল হোসেন বলেন, ২০২২ সালের ৮ জুন রাত সাড়ে আটটার দিকে মামলার প্রধান আসামি রাকিব আমার ভাই তোফাজ্জল হোসেনে মুঠোফোনে ডেকে নেয়। এরপর রাত পৌঁনে একটার দিকে আমার ভাইয়ের সঙ্গে সর্বশেষ কথা হয় তার স্ত্রী রিতা আক্তারের, এসময় সে বাসায় আসতে দেরি হবে বলে ফোন কেটে দেয়। এরপর সারারাত সে বাসায় আসেনি।গত ২০২২ সালের ৯ জুন সকাল সাড়ে দশটার দিকে মামলার অভিযুক্ত দেলোয়ারা মানুষ ডেকে বলে তোফাজ্জল রেললাইনের নিচে কাটা পড়ে মারা গেছে। এরপর তাকে উদ্ধার করে প্রথমে শ্রীপুর পরে ময়মনসিংহ ও ঢাকার হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করি। সর্বশেষ ১৪ দিন চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় ২২ জুন তার মৃত্যু হয়েছে।মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের পিবিআই গাজীপুরের পরিদর্শক তদন্ত রাফিকুল ইসলাম বলেন, গত ৩০ এপ্রিল ২০২২ সালে নিহতের বড় ভাই মোফাজ্জল হোসেন বাদী হয়ে গাজীপুর আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরপর বিজ্ঞ আদালত মামলাটি পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন। তদন্তের অংশ হিসেবে আদালতের নির্দেশনায় লাশ দাফনের প্রায় সতেরো মাস পর মৃতদেহ উত্তোলন করা হয়েছে।শ্রীপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আল মামুন বলেন, আদালতের নির্দেশনায় মৃতদেহ দাফনের প্রায় সতেরো মাস পর কবর থেকে মৃতদেহ উত্তোলন করা হয়েছে। এসময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য স্থানীয় ০৭ নং ইউপি সদস্য নরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।