মো : আব্দুল বাতেন বাচ্চু :
বিএনপির ডাকা অবরোধ কর্মসূচিতে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার ঢাকা – ময়মনসিংহ মহাসড়কে ত্রাস সৃষ্টি, ভাংচুর, গাড়ি পোড়ানো, সরকারি কাজে বাধা প্রদান, বিস্ফোরক ও অগ্নিসংযোগ মামলার অন্যতম প্রধান আসামি জেলা যুবদলের যুগ্ম-আহবায়ক আরিফুল ইসলাম সরকারকে আটক করেছে র্যাব।
গত রোববার (১৮ নভেম্বর) রাত পৌনে ৮টার দিকে এমসি বাজার এলাকা থেকে আটক করা হয়।
সোমবার (২০ নভেম্বর) সকালে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গাজীপুর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মেজর ইয়াসির আরাফাত হোসেন।
আটককৃত আরিফুল ইসলাম সরকার (৩৯) শ্রীপুর উপজেলার মাওনা উত্তর পাড়া গ্রামের আবুল হোসেন সরকারের ছেলে। তিনি গাজীপুর জেলা যুবদলের যুগ্ম-আহবায়ক।
র্যাব-১ গাজীপুর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার জানান, বিএনপির ডাকা অবরোধ কর্মসূচিতে গত ২৯ অক্টোবর সকাল অনুমানিক ৮টার দিকে গাজীপুর জেলার শ্রীপুর থানার তেলিহাটি এলাকার আবদার মোড়ের নিকটবর্তী মাছের আড়ৎ এর সামনে ঢাকা-ময়মনসিংহ মড়াসড়কের উপর আসামি আরিফুল ইসলাম সরকারসহ অন্যান্য আসামিরা মিলে লাঠি-সোঠা ও দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে, রাস্তায় গাড়ীর টায়ার জ্বালিয়ে বেরিকেড করে যানবাহনের গতিরোধ করে। এসময় তারা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়, একটি কাভার্ডভ্যান ব্রেক করে এবং পিছনে থাকা অন্যান্য যাত্রীবাহি গাড়ীগুলো থামিয়ে দেয়। তখন যাত্রীরা গাড়ী থেকে নেমে দিক-বিদিক ছুটতে থাকে।
আসামি আরিফুল ইসলাম সরকারসহ ও অন্যান্য আসামিরা দাড়িয়ে থাকা গাড়ীগুলোর সামনের গ্লাস, জানালা ভাংচুর করে এবং ককটেল বিস্ফোরণের মাধ্যমে ভীতি সঞ্চার করে। পরে তারা হরতাল হরতাল স্লোগান দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
এ ঘটনায় প্রভাতী বনশ্রী পরিবহনের চালক মোঃ আব্দুল মালেক (৫০) বাদী হয়ে শ্রীপুর থানায় ১টি মামলা দায়ের করেন।
পরবর্তীতে এ ঘটনার জড়িত আসামিদের শনাক্ত ও আটকের জন্য র্যাব-১ এর একটি দল বিষয়টি আমলে নিয়ে ছায়া তদন্ত শুরু করে। পরে গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে শ্রীপুরের এমসি বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে আসামি আরিফুল ইসলামকে আটক করে।
আটককৃত আসামিকে গাজীপুর জেলার শ্রীপুর থানায় হস্তান্তর করেন।