স্বাক্ষর জাল: শ্রীপুরে ছাত্রলীগের কমিটি স্থগিত, আরও ৪ কমিটি বাতি
মো: আব্দুল বাতেন বাচ্চু :
স্বাক্ষর জাল: শ্রীপুরে ছাত্রলীগের কমিটি স্থগিত, আরও ৪ কমিটি বাতিল
স্বাক্ষর জালিয়াতির অভিযোগে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলা শাখার অন্তর্গত ৩টি ইউনিয়ন ও ১টি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সদ্য ঘোষিত কমিটি বিলুপ্ত করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। একই অভিযোগে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ শ্রীপুর উপজেলা শাখার কমিটি সাময়িক ভাবে স্থগিত করা হয়েছে।
গতকাল ২০ নভেম্বর সোমবার রাতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
জানা যায়, গত ১৫ নভেম্বর বাংলাদেশ ছাত্রলীগ শ্রীপুর উপজেলা শাখার অন্তর্গত মাওনা ইউনিয়ন, গোসিঙ্গা ইউনিয়ন, কাওরাইদ ইউনিয়ন ও ধলাদিয়া ডিগ্রি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের কমিটি অনুমোদন দেয় উপজেলা ছাত্রলীগ। কমিটি দেওয়ার পরপরই কমিটির দু’জন যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সোহেল সরকার ও আলমগীর হোসেন মারুফ তাদের স্বাক্ষর জালিয়াতি বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেন।
শ্রীপুর উপজেলা শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আলমগীর হোসেন মারুফ দেশ টিভি বাংলা কে বলেন, ‘গত ১৫ নভেম্বর ছাত্রলীগের যে চারটি কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে সেই কমিটিতে আমার স্বাক্ষর জাল করা হয়েছে। কমিটির বিষয়ে আমি অবগত নই। এই কমিটি আমি অবৈধ বলে মনে করি। একই সঙ্গে বিষয়টি জেলা ও কেন্দ্রীয় কমিটিকে অবহিত করেছি।’
অপর যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সোহেল সরকার বলেন, ‘ছাত্রলীগের সুনাম ক্ষুণ্ন করতে অর্থনৈতিক সুবিধা নিয়ে আহ্বায়ক নিজে আমার স্বাক্ষর জালিয়াতি করে যত্রতত্র কমিটি অনুমোদন দিয়েছে। যে কমিটির বিষয়ে আমরা দুই যুগ্ম আহ্বায়ক অবগত নই।’
স্বাক্ষর জালিয়াতির বিষয়ে শ্রীপুর উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মো. মাহাবুব হোসেন দেশ টিভি বাংলা কে বলেন, ‘আমি রীতিমতো আশ্চর্য ও হতবাক হয়েছি। কমিটি অনুমোদনের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের স্বাক্ষর জালিয়াতি হয়নি।’
গাজীপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সুলতান মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ছাত্রলীগ কখনো অন্যায়কে প্রশ্রয় দেয় না। এখানে জালিয়াতির কোনো জায়গা নেই। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগকে ধন্যবাদ জানাই, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ সব সময় সত্যের পক্ষে থাকে।
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসাইন নাঈম বলেন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের এক জরুরি সভায় সিদ্ধান্ত মোতাবেক কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে উপজেলা শাখা কমিটি স্থগিত করা হয়েছে। পাশাপাশি আগামী ৭ দিনের মধ্যে স্বাক্ষর জালিয়াতির অভিযোগে কেন তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না তার উপযুক্ত কারণসহ লিখিত জবাব দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।