মোঃ আব্দুল বাতেন বাচ্চু:
গাজীপুর -১ আসনে নৌকার প্রার্থী হতে মনোনয়ন চেয়েছিলেন ৬ জন। নৌকা পেয়েছেন একজন। বাকি ৫ জন এখন কি করবেন, সেই আলোচনা রাজনীতির মাঠে।
নৌকা মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রার্থী ছিলেন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আকম মোজাম্মেল হক, কালিয়াকৈর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম রাসেল, নূরে আলম সিদ্দিকী বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন সিকদার, কামরুল হাসান সরকার রাসেল গাজীপুর মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক,গাজীপুর সাবেক সিটি মেয়র জাহাঙ্গীর আলম।
এদিকে বিকল্প প্রার্থী (ডামি) রাখার দলীয় পরামর্শ। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা আনতে দলের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের উন্মুক্ত করে দিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এবার কিছুটা নরম সুর আওয়ামী লীগে। তাই নৌকাবঞ্চিত অনেকে লড়বেন নৌকার বিপক্ষে।
‘বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কেউ যেন নির্বাচিত হতে না পারে’- আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন একটি বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ঘুরছে। দলীয় প্রতীকের বিপক্ষে প্রার্থী হতে এটিকেই এখন অনুপ্রেরণার জায়গা হিসেবে দেখছেন নৌকাবঞ্চিতরা। তবে ইতিমধ্যেই গাজীপুর -১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তিনজন।
এরা হলেন, কালিয়াকৈর উপজেলার সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম রাসেল ও নুরে আলম সিদ্দিকী বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, কামরুল হাসান সরকার রাসেল গাজীপুর মহানগর যুব লীগের আহবায়ক। এরই মধ্যে তিনজনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন।
এ ছাড়া তাদের যারা প্রচারে সমর্থন দিয়েছেন, তাদের প্রতিও দায়বদ্ধতা তৈরি হয়েছে। এখন স্বতন্ত্র প্রার্থিতার সুযোগ থাকায় তারা ভোটের মাঠে থাকতে চাইছেন। নৌকার বিপক্ষে লড়েও জয় পেতে পারেন তারা। তাই তারাও এবার লড়তে পারেন নৌকার বিপক্ষে।
এদিকে আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রাসেল সোমবার সকালে কালিয়াকৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাচনে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা তাজওয়ার আকরাম সাকাপী ইবনে সাজ্জাদ এর নিকট থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেন। পরে দুপুরে নিজ বাসভবনে তার শত শত সমর্থকদের নিয়ে মত বিনিময় সভা করেন। সভায় তিনি আগামী নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেব নির্বাচন করবেন বলে মত প্রকাশ করেন। অপর দিকে বিশিষ্ট শিল্পপতি নুরে আলম সিদ্দিকীও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ঘোষণা দেন। এদিকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন করলে কিছুটা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে আওয়ামীলীগ থেকে মনোনয়ন পাওয়া আ ক ম মোজাম্মের হক।
নুরে আলম সিদ্দকী বলেন, দল থেকে মনোনয়ন না পেলেও আমি নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করবো। সে অনুসারে আমি মাঠে কাজ করে যাচ্ছি।
কালিয়াকৈর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রাসেল বলেন,আমি গাজীপুর-১ আসনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন পাওয়ার জন্য আবেদন করেছিলাম। আমাকে দেওয়া হয়নি। কিন্তু মাননীয় প্রধান মন্ত্রী বলেছেন যারা মনোনয়ন পাননি তারা ইচ্ছা করলে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করতে পারবেন। প্রধান মন্ত্রীর ওই ঘোষণার পর আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
নির্বাচনে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও কালিয়াকৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ বলেন, সোমবার সকালে জনাব রেজাউল করিম রাসেলের পক্ষে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পত্র নিয়েছেন।