নিজস্ব প্রতিবেদক:
শ্রীপুর উপজেলার মাওনা ইউনিয়নে সিঙ্গারদিঘী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুরুজ্জামান এর বিরুদ্ধে পরকিয়া ও চাকুরী দেওয়ার কথা বলে ঘোষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের উপর ভিত্তিতে আজ (২৩ মে ) বিদ্যালয়ের যাওয়ার পর অভিযুক্ত শিক্ষককে বিদ্যালয়ে পাওয়া যায়নি । হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর আছে । সুরুজ্জামানের সাথে মোঠোফেনে কথা বললে তিনি বলেন আমার উপর আনিত অভিযোগ মিথ্যা, আমার চরিত্রে কলঙ্কের ছাপ লাগানোর জন্য এক শ্রেণীর লোক অপপ্রচার চালাচ্ছে ।
ঘোষ নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন সঠিক নিয়মের মধ্যে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে,কোন প্রকার আর্থিক লেনদেন হয়নি ।
মাওনা ইউনিয়নের আক্তাপাড়া গ্ৰামের মোবারক হোসেন গত সোমবার (২০ মে) শ্রীপুর থানায় তার স্ত্রী’সহ ওই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে পরকিয়া ও ১২ লাখ টাকা ঘুষ নেয়ার বিচার চেয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ দায়ের করার পর স্ত্রী বিউটি আক্তার স্বামী মোবারক হোসেনকে ভয় দেখিয়ে অভিযোগ তুলে আনতে বাধ্য করেন ।
এসব বিষয়ে ভুক্তভোগী মোবারক হোসেন বলেন,আমি জমি বিক্রিয় ও ঋণ করে চাকুরীর জন্য ১২(বার) লক্ষ টাকা দেই । চাকুরী হওয়ার পর থেকে স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুরুজ্জামানের সাথে পরকীয়া লিপ্ত হন বিউটি আক্তার । তিনি আরও বলেন আমার স্ত্রী সুরুজ্জামান এর সাথে কথা বলা ছাড়া থাকতে পারে না । গর্ভের সন্তান কার এ বিষয়ে জানতে চাই ।
অভিযোগের ভিত্তিতে ভিউটি আক্তার এর বাবার বাড়ি মাওনা ইউনিয়নের আক্তাপাড়া গেলে বাড়িতে পাওয়া যায়নি । বিউটি আক্তারের মা বলেন সে তো বাড়িতে নেই সকালে হাসপাতালে গেছে ।
অপরদিকে স্থানীয়দের মধ্যে এ ঘটনা জানাজানি হলে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে ।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক সরফুল আলম বলেন স্যার স্কুল আসার পর হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে বিদ্যালয়ের কাজে শ্রীপুর চলে গেছে । আমার উপর স্কুলের সকল দ্বায়িত্ব দিয়ে গেছে । তিনি আরও বলেন আমরা তো তেমন কিছু জানি না তবে বাহিরের অনেকেই আলোচনা করছে । বিউটি আক্তার বিগত কয়েকদিন যাবৎ স্কুলে আসে না বরং ছুটির দরখাস্তোও দেয়নি
ঘটনাটি সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ বিচারের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
এ ঘটনায় অভিযোগের তদন্তকারী শ্রীপুর থানার কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন ওই লিখিত অভিযোগটি এখনও হাতে পাইনি, অভিযোগ পেলে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এবিষয়ে শ্রীপুর উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সাইফুল ইসলামের সাথে মোঠোফেনে কথা বললে তিনি বলেন আমি কিছু জানি না তাই কোন মন্তব্য করতে চাই না ।