জেলা প্রতিনিধি, নোয়াখালী :
বাবাকে ছেড়ে দেওয়ার শর্তে থানায় হাজির ছিনিয়ে নেওয়া আসামি
নোয়াখালী সদর উপজেলার আন্ডারচর ইউনিয়নের চৌরাস্তা বাজার থেকে আবদুল মতিন নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তখন পুলিশকে পিটিয়ে তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় তার সহযোগীরা। পরে মতিনের বাবা আলী হায়দার বকশীকে আটক করে পুলিশ। আর বাবাকে আটকের পর তাকে ছেড়ে দেওয়ার শর্তে থানায় আত্মসমর্পণ করেন আবদুল মতিন।
মঙ্গলবার গভীররাতে সুধারাম মডেল থানায় এ ঘটনা ঘটে।
আবদুল মতিন আন্ডারচর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আলী হায়দার বকশীর ছেলে। তার বিরুদ্ধে বিদ্যুত বিভাগের একটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে, মতিনকে গ্রেপ্তারের খবর পেয়ে তার ভাইয়েরা কয়েকজন সহযোগীকে নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালান ও একপর্যায়ে মতিনকে ছিনিয়ে নেন। হামলার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা সবাই স্থানীয় আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যুক্ত।
পরে জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. ইব্রাহিম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোর্তাহিন বিল্লাহ ও সুধারাম মডেল থানার ওসি মীর জাহেদুল হক রনির নেতৃত্বে অতিরিক্ত পুলিশ ওই এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা আলী হায়দার বকশীর লোকজনের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
এতে পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আবদুর রব চৌধুরী, এএসআই (এবি) মাকছুদুর রহমান, কনস্টেবল মো. সোহেল ও মো. জুয়েল আহত হন। তাদের উদ্ধার করে ২৫০ শয্যার নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
এ ঘটনায় অভিযান চালিয়ে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আলী হায়দার বকশীসহ তার ১৪ সহযোগীকে আটক করে সুধারাম থানা পুলিশ। পরে মঙ্গলবার গভীর রাতে ছিনিয়ে নেওয়া আসামি আবদুল মতিনকে থানায় আত্মসমর্পণ করিয়ে তার বাবা আলী হায়দার বকশীকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায় একটি পক্ষ।
নোয়াখালী সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো.মোর্তাহীন বিল্লাহ ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন,পরোয়ানাভুক্ত এক আসামিকে গ্রেপ্তার করলে আসামির পরিবারের সদস্য ও সহযোগীরা হামলা চালিয়ে আসামিকে ছিনিয়ে নিয়ে যান। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ১৩ জনকে আটক করে।