পমোঃ আব্দুল বাতেন বাচ্চু,
নিজস্ব প্রতিবেদক :
ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে গাজীপুরের বিভিন্ন উপজেলায় জমে উঠেছে কুরবানির পশুর হাট। গত কয়েক দিন হাটগুলোতে মানুষের তেমন একটা আনাগোনা না থাকলেও ঈদ ঘনিয়ে আসায় ক্রেতারা এখন ভিড় করছেন হাটগুলোতে।
প্রতিদিন জেলার স্থানীয় পশুর হাটগুলোতে অনেক গরু ওঠতে দেখা গেছে।
বিক্রেতারা জানান, এখন কুরবানির জন্য ভারত, ভুটান থেকে দেশে গরু-মহিষ কম আসছে। ফলে এখন কুরবানির বাজার পুরোপুরি দেশীয় পশুনির্ভর হতে যাচ্ছে। ঈদ পর্যন্ত হাটগুলোতে বিদেশি গরুর আসতে না পারলে এবার দেশীয় গরুর খামারিরা লাভবান হতে পারবেন। এতে আগামী দিনে খামারিরা গরুপালনে আরও উৎসাহী হবেন।
ক্রেতারা জানান, গত বছরের চেয়ে এবার গরু ও খাসির দাম অনেক বেশি। পশুর এমন উচ্চমূল্যের কারণে অনেক ক্রেতাকে হতাশা প্রকাশ করতে দেখা গেছে।
এ বিষয়ে বিক্রেতারা জানান, গো-খাদ্যের দাম বেশি হওয়ায় গরু ও বাড়তি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
শ্রীপুর টেংরা ও সদর উপজেলার মির্জাপুর, বাঘের, ভবানীপু, শ্রীপুর উপজেলার মাওনা বাজার,লোহাই বাজার,নিজমাওনা, আক্তাপাড়া,গরুর বাজারে গিয়ে দেখা যায়, পছন্দের পশুটি কিনতে অনেকেই এসেছেন হাটে, কেউ একা এসেছেন, কেউ এসেছেন দলবেঁধে। বিশেষ করে ভবানীপুর মুক্তিযোদ্ধা কলেজের মাঠে গরু বাজারে যেন তিল ধারনের ঠাঁই ছিল না। ক্রেতা-বিক্রেতাদের এই উপস্থিতি যেন ঈদ উৎসবেরই অংশ বিশেষ শুধু ভবানীপুর বা বাঘের বাজার গরুর বাজার নয় জেলার প্রতিটি হাটেই পছন্দের কুরবানির পশু কিনতে ক্রেতাদের ভিড় ছিল চোখে পড়ারমত। আবার অনেকে দাম যাই হোক সেটা না ভেবে শেষ পর্যন্ত পছন্দের পশুটি কিনে বাড়ি ফিরছেন অনেক ক্রেতা, আবার অনেকেই দাম বেশির কারণে কিছুটা অপেক্ষা করার চিন্তা নিয়ে বাড়ি ফিরছেন। অপরদিকে গো-খাদ্যের সংকটের কারণে অনেক ক্রেতাই এখন গরু কিনছে না। তাদের মতে ঈদের দু-এক দিন আগে গরু ক্রয় করবেন তারা।
ভবানীপুর মুক্তিযোদ্ধা কলেজের মাঠে গরুর বাজারে গরু ক্রয় করাতে আসা লোকজনের সাথে কথাবলে জানাজায় গত বছরের চেয়ে গরুর দাম এ বছর আরও বেড়েছে, গতবার মাঝারি সাইজের গরু কিনতে ৬৫-৭০ হাজার টাকা লাগলেও এ বছর সেই গরু কিনতে ৮০-৯০ হাজার টাকা লাগছে।
তবে বিগত বছরগুলোর চেয়ে এবারের হাটগুলোর নিরাপত্তার জন্য পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাড়তি নজরদারির ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যার কারণে ক্রেতা, বিক্রেতারা নির্ভয়ে বেচা-কেনা করতে পারছেন।
গাজীপুরের কয়েকটি পশুর হাট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপকালে জানান, ছিনতাই-চাঁদাবাজী ঠেকাতে ও হাটে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ের নিরাপত্তার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
গাজীপুরের পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্ল্যাহ জানান, কুরবানি পশুর হাটগুলোর নিরাপত্তার জন্য পুলিশের মোবাইল টিম কাজ করছে। জাল নোট ঠেকানোর জন্য পুলিশের নজরদারি রয়েছে। এ ছাড়া ব্যাপারীদের পশু আনা-নেওয়ার ক্ষেত্রেও পুলিশের বাড়তি নজরদারি রয়েছে।পুলিশের পক্ষ থেকে সকলের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে সার্বক্ষণিক পশুর হাটগুলো মনিটরিং করা হচ্ছে।জাল নোট রোধে ও জেলা পুলিশ প্রতিটি হাটে কাজ করছে।