মোঃ আব্দুল বাতেন বাচ্চু,
গাজীপুরের শ্রীপুরে গৃহবধূকে অমানুষিক নির্যাতন করে হত্যার পর মরদেহ টয়লেটের ভেতর ফেলে রেখে পালিয়েছে স্বামী শ্বাশুড়ি দেবর। সারা রাতব্যাপী নির্যাতন করে অমানুষিক নির্যাতন করে হত্যা করে গৃহবধূকে।
আজ শনিবার দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের চকপাড়া গ্রামের সলিংমোড় এলাকায় ওই ঘটনা ঘটে।
নিহত গৃহবধূ আমেনা খাতুন (২০) উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের চকপাড়া গ্রামের সলিংমোড় এলাকার আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী। নিহতের বাবার বাড়ি চট্টগ্রাম জেলার সাতকানিয়া উপজেলার কুটিয়াপাড়া গ্রামে।
অভিযুক্ত স্বামী আনোয়ার হোসেন (২৬) উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের চকপাড়া গ্রামের সলিংমোড় এলাকা মঞ্জুর আলীর ছেলে। তিনি পেশায় একজন রাজমিস্ত্রী। অপর অভিযুক্ত শ্বাশুড়ি আনোয়ারা (৫০), দেবর দেলোয়ার (২২), মামি শ্বাশুড়ি রেনু আক্তার (৩৮)।
নিহতের মা মনোয়ারা অভিযোগ করে বলেন, বিয়ের পর থেকে মেয়েকে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন খুবই নির্যাতন করতো। এনিয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান মেম্বার একাধিকবা শালিসি বৈঠক করে। কিন্তু তাতেও মেয়ের উপর অত্যাচার নির্যাতন থামেনি। শনিবার সকাল ১১ টার দিকে মামি রেনু আক্তার মোবাইল করে জানায় মেয়ে মারা গেছে। এরপর আমি আমার লোকজন সহ মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে এসে দেখি খালি বাড়ির একটি রুমের ভেতর টয়লেটে মেয়ের নিথর দেহ পড়ে রয়েছে। স্বামী শ্বশুরবাড়ির সকল লোকজন পালিয়ে গেছে। এরপর আশপাশের লোকজনের কাছে জানতে পারছি গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে মেয়েকে অনেক নির্যাতন করছে।
মাওনা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মিন্টু মোল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, বসতবাড়ির একটি ঘরের টয়লেটের ভেতর থেকে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গৃহবধূর থুঁতনির নিচে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির সকল লোকজন পলাতক রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আমাদেরও সন্দেহ রয়েছে। যেহেতু ওঁরা পালিয়ে গেছে তাহলে রহস্য আছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হচ্ছে। ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।
শ্রীপুর মডেল থানার বারপ্রাপ্ত প্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আকবর আলী খান বলেন ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে
ময়না তদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে ময়না তদন্তের রিপোর্ট পেলে বিস্তারিত জানা যাবে।